বিপিএসসি যেকোনো পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলী অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বাংলাদেশ বিষয়াবলী সাধারণ জ্ঞান নবম ও দশম গ্রেডের পরীক্ষায় 40 মার্ক থেকে থাকে। বিভিন্ন বাংলাদেশ বিষয়াবলী বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ গুলো নিয়ে আমি একটি নোট করার চেষ্টা করেছি। এই নোটে আমি সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়াবলী ২০২০ সালের বিগত সকল কোশ্চেন যুক্ত করার চেষ্টা করেছি ।
বিভিন্ন পরীক্ষায় বাংলাদেশ বিষয়াবলী mcq প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য এই নোট তোমাকে সহযোগিতা করতে পারে। তুমি চাইলে বাংলাদেশ বিষয়াবলী pdf download করে রাখতে পারবে সেই অপশন রাখা হয়েছে।
১।গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২৫ মার্চ ১৯৭১, ১০ এপ্রিল ১৯৭১, ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১
উত্তর : ২৫ মার্চ ১৯৭১ : ২৫ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হামলা চালায়, যার সাংকেতিক নাম ছিল 'অপারেশন সার্চলাইট'।
১০ এপ্রিল ১৯৭১ : ১০ এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার ‘মুজিবনগর সরকার' গঠন করা হয় ।
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ : পাকিস্তানি বর্বর হানাদাররা এ দিনে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে, যা বুদ্ধিজীবী হত্যাদিবস নামে পরিচিত।
২। বাংলাদেশে মোট কয়টি স্থলবন্দর রয়েছে? এর মধ্যে সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরের নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশে মোট ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে। যশোরের ‘বেনাপোল স্থলবন্দর’ সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর।
৩। পূর্ণরূপ লিখুন : VGD, VGF
উত্তর :
VGD : Vulnerable Group Development.
VGF : Vulnerable Group Feeding.
৪। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট কি ছিল? ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কিভাবে স্বাধীনতাকে/ মুক্তিযুদ্ধকে প্রভাবিত করেছে?
উত্তর : ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করে, যারই ফলশ্রুতিতে বাঙালি আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের ২৪ বছরের বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে প্রকারান্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন “এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।” তার ভাষণে সাড়া দিয়ে জনতা স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
৫। ঐতিহাসিক ৬ দফা কবে, কোথায়, কে ঘোষণা করেন?
উত্তর : ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা' ঘোষণা করেন।
৬। বাংলাদেশের চলমান ৬টি মেগা প্রকল্পের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশে চলমান ছয়টি মেগা প্রকল্প হলো-
২০। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ কোনটি? এই সনদ কে, কখন এবং কোথায় ঘোষণা করেন?
উত্তর : বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয় ১৯৬৬ সালে ঘোষিত ছয় দফাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ৬ দফা পেশ করেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় ২৩ মার্চ ১৯৬৬।
২১। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ১৯৭১ সালের বক্তৃতাই ছিল মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা। সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে। ৩ মার্চ ঘোষিত গোলটেবিল বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। ফলে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন, যা ৭ মার্চের ভাষণ নামে পরিচিত। তিনি তার ভাষণে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, 'তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়। মনে রাখবা এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।' তার এ ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তাই বলা যায়, ৭ মার্চের ঘোষণাই মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল।
২২। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের কার্যাবলি উল্লেখ করুন।
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশনের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ১৪০ নং অনুচ্ছেদে কমিশনের দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।
কার্যাবলি :
১. প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদেরকে মনোনয়নের উদ্দেশ্যে যাচাই ও পরীক্ষা পরিচালনা।
২. রাষ্ট্রপতি কোনো বিষয় সম্পর্কে কমিশনের পরামর্শ চাইলে তা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান।
৩. আইনের দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য দায়িত্ব।
২৩। ব্লু ইকোনমি (Blue Economy) কী? সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ব্লু ইকোনমি (Blue Economy) মানে হলো সমুদ্র অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি, সমুদ্রসম্পদ ও সমুদ্রকে ঘিরে গড়ে ওঠা অর্থনীতিকে বলা হয় ব্লু ইকোনমি। Blue Economy বা সমুদ্র অর্থনীতির জনক বলা হয় গুন্টার পাউলিকে।
২৪। . বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি কে? তিনি কোন দেশের নাগরিক?
উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কান । তিনি এস্তোনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
২৫। পদ্মা সেতুর অবস্থান কোথায়? এই সেতুর দৈর্ঘ্য কত? এই সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কতটি জেলাকে ঢাকা ও পূর্বাঞ্চলের সাথে যুক্ত করবে?
উত্তর : পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার দুই প্রান্তকে মিলিত করবে বিধায় এর অবস্থান মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরে। পদ্মাসেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে ঢাকা ও পূর্বাঞ্চলের সাথে যুক্ত করবে।
২৬। উয়ারী বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত? এটি কী জন্য বিখ্যাত?
উত্তর : উয়ারী বটেশ্বর নরসিংদীর বেলাবো ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত। এখানে প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্বের প্রাচীন শিলালিপি, মুদ্রাসহ সভ্যতার অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে।
২৭। সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গঠিত হয়েছে? এই কমিশনের প্রধান দুটি দায়িত্ব বর্ণনা করুন।
উত্তর : সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ১৪০ নং অনুচ্ছেদে দায়িত্বসমূহ বর্ণিত হয়েছে। নিচে প্রধান দুটি দায়িত্ব দেয়া হলো :
১। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদানের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদিগকে মনোনয়নের উদ্দেশ্যে যাচাই ও পরীক্ষা পরিচালনা ।
৩১। এই স্যাটেলাইটের কার্যাবলিসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় কোন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে মনিটর করা হচ্ছে?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কার্যাবলিসহ সকল বিষয় সজীব ওয়াজেদ জয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, গাজীপুর ও সজীব ওয়াজেদ জয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, বেতবুনিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে গাজীপুরের জয়দেবপুরের ভূ উপগ্রহ কেন্দ্রটি হলো মূল স্টেশন এবং ব্যাকআপ হিসেবে বেতবুনিয়া স্টেশনটি রাখা হয়েছে।
৩২।. ছয় দফা কি? কে, কবে এবং কোথায় এই ছয় দফা প্রথম উত্থাপন করেন?
উত্তর : পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়, অবিচার, জুলুম থেকে বাঙালি জনগণকে রক্ষার জন্য স্বায়ত্তশাসনের দাবি সংবলিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে ছয়টি দাবি উত্থাপন করেন, তাই ছয় দফা নামে স্বীকৃত। এটিকে ম্যাগনাকার্টার সাথে তুলনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে সর্বপ্রথম এ ছয় দফা উত্থাপন করেন।
৩২।. ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হন এমন দুজন শহীদের নাম লিখুন।
উত্তর : ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুজন শহীদের নাম : ১. শহীদ আসাদ ও ২. শহীদ মতিউর।
৩৩। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর কোন সেক্টরের অধীনে ছিল? শহীদ জননী কাকে বলা হয়?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ২ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
‘জাহানারা ইমাম' কে শহীদ জননী বলা হয় ।
৩৪।. ঐতিহাসিক দিবসের তাৎপর্য লিখুন। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ কী জন্য স্মরণীয়?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর '৭ মার্চকে' ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চের ভাষণকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্ববর্তী ধাপ বলে অভিহিত করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিল। তাই এই ভাষণকে গেটিসবার্গ ভাষণের সাথে তুলনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। তাই ১০ জানুয়ারিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে অভিহিত করা হয়।
৩৫। . মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র 'Stop Genocide' এর পরিচালক কে ছিলেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র 'Stop Genocide'-এর পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান।
৩৬।. বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ করের উদাহরণসহ সংজ্ঞা লিখুন।
উত্তর : প্রত্যক্ষ কর : প্রত্যক্ষ কর হলো দেশের নাগরিকের আয় ও সম্পদের উপর নির্দিষ্ট হারে আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব। যেমন— আয়কর ও সম্পদ কর।
পরোক্ষ কর : পণ্য ও সেবা, উৎপাদন ও বিক্রয়, আমদানি-রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্যের উপর যে কর আরোপ করা হয় তাই পরোক্ষ কর। যেমন— মূল্য সংযোজন কর, শুল্ক।
৩৭। বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় কত ডলার? জিডিপি কি?
প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৭১% শতাংশ পূরণ করে প্রাকৃতিক গ্যাস। এ যাবত আবিষ্কৃত মোট গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৭টি। দেশে বর্তমানে মোট গ্যাস মজুদের পরিমান ৩৯.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ২৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট ।
কয়লা :
কয়লা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ। দেশে এ যাবত আবিষ্কৃত কয়লা খনির সংখ্যা ৫টি। ৫টি খনিতে মজুদের পরিমাণ আনুমানিক ৭৯৬২ মিলিয়ন টন। সবচেয়ে বড় কয়লাক্ষেত্র জামালগঞ্জ, যেখানে মজুদ আছে প্রায় ৫৪৫০ মিলিয়ন টন। আবিষ্কৃত ৫টি খনির মধ্যে কেবল বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে ২০০৫ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা ব্যবহার করে খনি এলাকায় ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।
৪৫।. সুনীল অর্থনীতি (Blue Economy) সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করুন।
উত্তর : সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতিকে সুনীল অর্থনীতি বলে। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি, সমুদ্র অভ্যন্তরে বিদ্যমান মৎস্য, প্রাণিজ, খনিজ ইত্যাদি এ সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। সমুদ্র মৎস্য সম্পদের মাধ্যমে মানুষের বহুবিধ চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া সমুদ্র থেকে নানারকম খনিজ সম্পদ যেমন বালি, লবণ, কোবাল্ট, গ্রাভেল, তামা, জিরকন, মোনাজাইট ও রুটাইলসহ বহুবিধ সম্পদ আহরণ করা সম্ভব। এছাড়া সমুদ্র তেল-গ্যাসের বিশাল আধার বলে বিশেষভাবে পরিচিত।
৪৬।. পরিবেশ ও প্রতিবেশ কী? বাংলাদেশে বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান কারণ উল্লেখ করুন।
উত্তর : পরিবেশ : মানব সমাজে চারপাশের ভৌত অবস্থা, জলবায়ু, আর্থ সামাজিক অবকাঠামো এবং মানুষ ও প্রাণীর জীবনমানের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী জৈব ও অজৈব উপাদানের সমষ্টিকে পরিবেশ বলে। পরিবেশের উপাদান প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম এ দুই ভাগে বিভক্ত। মানুষ, প্রাণী ও জীব পরিবেশের এক বা উভয় উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। মানব পরিবেশ জড় ও জীব উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
প্রতিবেশ : পরিবেশের যেসব উপাদান দৃশ্যমান এবং পরিবেশে আলোচিত বিষয় বা স্থানের নিকটবর্তী উপাদানকে প্রতিবেশ বলে। পরিবেশকে স্বাভাবিক রাখতে হয় প্রতিবেশকে অনুকূল রাখার জন্য। অর্থাৎ বলা যায় প্রতিবেশ পরিবেশের অংশ বা একটি উপাদান। বাংলাদেশে বায়ুদূষণের ৩ টি কারণ :
ক. যানবাহনের কালো ধোঁয়া;
খ. ধূমপান;
গ. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহার।
৪৭।. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ কী কী প্রযুক্তিগত সেবা/সুবিধা ভোগ করে থাকেন?
উত্তর : ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ
যেসব প্রযুক্তিগত সুবিধা ভোগ করে থাকেন, সেগুলো হলো :
ক. অত্যন্ত সহজে, দ্রুত ও কম খরচে সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রাপ্তির মাধ্যমে জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন।
খ. দ্রুততম সময়ে তথ্য ও সেবা পাওয়ার পথ সুগম হওয়ায় সাশ্রয় হচ্ছে সময় ও অর্থ ।
গ. সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
৪৮।. 'কারাগারের রোজনামচা' কার লেখা?
উত্তর : 'কারাগারের রোজনামচা' গ্রন্থটির রচয়িতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৪৯।. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম কি?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম 'থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস' (ফ্রান্স)।
৫০।. 'বরফগলা নদী' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : 'বরফগলা নদী' গ্রন্থটির রচয়িতা জহির রায়হান
৫১. মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনী BLF-এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : BLF-এর পূর্ণরূপ Bangladesh Liberation Force |
৫২।. একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৫ জন সেক্টর কমান্ডারের নাম লিখুন।
উত্তর : ৫ জন সেক্টর কমান্ডারের নাম-
৫৬।. বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান ০৩টি খাতের নাম উল্লেখ করুন।
উত্তর : ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৩.৬৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান ৩টি খাত হলো :
ক. তৈরি পোশাক (ওভেন): ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাত থেকে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১৪,০৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
খ. নীটওয়্যার: ২০১৯-২০ অর্থবছরে এইখাত থেকে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১৩,৯০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গ. পাটজাত পণ্য : ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাত থেকে। রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৭৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৫৭।. 'প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধে সুন্দরবন বাংলাদেশের জন্য রক্ষাকবচ' ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর : সুন্দরবন শুধু প্রাণিবৈচিত্র্যের আধার নয়, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঢালও বটে। বিশ্বের বৃহত্তম এ শ্বাসমূলি বন ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রবল প্রতিরক্ষাব্যূহ হয়ে ওঠে। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, বুলবুল ও আম্পানের প্রচণ্ড আক্রমণ অনেকাংশে প্রতিহত করেছে এ সুন্দরবন। ফলে প্রতিবার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের ও ফসলের যতটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তার চেয়ে অনেক কম হয়।
১১২। খরিপ শস্য কী?
উত্তর : গ্রীষ্মকালীন শস্যকে খরিপ শস্য বলা হয়। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত উৎপন্ন ফসল, যাদের মাটিতে সঞ্চিত আর্দ্রতা ফসলের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটায়। মূলত খরিপ ফসল বসন্ত বা গ্রীষ্মে বুনে গ্রীষ্মের শেষ বা শীতের শুরুতে তোলা হয়। খরিপ শস্যের মৌসুম ২টি- খরিপ-১ ও খরিপ-২। এই মৌসুমে উৎপন্ন দেশের প্রধান ফসল রোপা আউশ, রোপা আমন, তৈলবীজ, সয়াবিন, ডাল, আখ, চা ইত্যাদি।
১১৩। জুটন কী?
উত্তর : জুটন হলো ৭০ ভাগ পাট ও ৩০ ভাগ তুলার মিশ্রণে তৈরি কাপড়। এ প্রক্রিয়ায় তুলার তৈরি বস্ত্রের বিকল্প হিসেবে এক ধরনের নতুন বস্ত্র উদ্ভাবনের জন্য পাট ও তুলার আঁশ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশানো হয়। পাটকে অন্যান্য কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক তন্তুর সাথে মিশানোর জন্য এই ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়। জুটনের আবিষ্কারক মুহাম্মদ সিদ্দিকুল্লাহ।
১১৫। পাটের জীবন রহস্য কে উন্মোচন করেন?
উত্তর : পাটের জিন বিন্যাস বা জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম। জিনোম সিকোয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে প্রথম উৎপাদিত পাট হলো রবি-১। তিনি ২০১০ সালে তোষা পাটের ও ২০১৩ সালে দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন।
১১৬। সংবিধান মতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নাম কী?
উত্তর : সংবিধান মতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত হলো সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টকে বাংলাদেশ সংবিধানের অভিভাবক বলা হয়।
১১৭। ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ'-এ ঘোষণাটি বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লিখিত হয়েছে?
উত্তর : ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ'- এ ঘোষণাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ৭(১)নং অনুচ্ছেদে উল্লিখিত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে ১১টি ভাগ ও ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৭টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এ সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২।
১১৮। 'সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে?
উত্তর : 'সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে।
১১৯। বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন হয়েছিল কোথায়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল (বৃহত্তর কুষ্টিয়া) বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থেকে জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর) আমবাগানে এ সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১২০। ‘অপারেশন জ্যাকপট' কী?
উত্তর : অপারেশন জ্যাকপট হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন। এ অপারেশন ১৬ আগস্ট ১৯৭১ প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়।
১২১। কোন বিদেশি সাংবাদিক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার খবর সর্বপ্রথম বহির্বিশ্বে প্রকাশ করেন?
উত্তর : আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী বিদেশি সাংবাদিক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং প্রতিবেদন নির্মাতা সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার খবর সর্বপ্রথম বহির্বিশ্বে প্রকাশ করেন।
১২২। বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য জামদানি। জাতিসংঘের বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা (WIPO) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি দেয় ।
১২৩। কোন দেশ প্রথম নিজস্ব তহবিল দিয়ে জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় ফান্ড গঠন করেন?
উত্তর : প্রথম নিজস্ব তহবিল দিয়ে জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় ফান্ড গঠন করে বাংলাদেশ ।
১২৪। বাংলাদেশ কখন জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করে?
উত্তর : বাংলাদেশ জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭। চুক্তির খসড়া উন্মুক্ত করার প্রথম দিনেই বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। ৩২টি দেশ এতে সই করেছে। বাংলাদেশ পুরোপুরি পরমাণু বোমা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাস করে এবং ইতোমধ্যেই বিশ্বের অন্যান্য পারমাণবিক চুক্তিতে সই করেছে।
১২৫। এশিয়ান ক্রিকেট কাপ ২০১৮ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে?
উত্তর : ১৪তম এশিয়ান ক্রিকেট কাপ ১৫-২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হয় যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ।
১২৬। ডেল্টা প্ল্যান কী? সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ডেল্টা পরিকল্পনা হলো দীর্ঘমেয়াদি, একক এবং সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা। সমন্বিত বলতে বোঝায় পানি সম্পর্কিত সকল খাতকে একটি পরিকল্পনায় নিয়ে আসা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও পানির নিরাপত্তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তৈরি হওয়া শত বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাই হলো ডেল্টা প্ল্যান। বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান (বিডিপি) ২১০০ হলো একবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বাংলাদেশ ডেল্টাকে নিরাপদ করার সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ সম্পর্কে একটি বহুল-ভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি, যা বাংলাদেশের জলসম্পদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য প্রভাবগুলো হ্রাস করতে কাজ করবে। সুতরাং, এ পরিকল্পনা একটি সংহত, বিস্তৃত এবং দীর্ঘমেয়াদি ডেল্টা ভিশন
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ অনুমোদন করে। এটি বাস্তবায়িত হবে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায়। কেননা পানি ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডসের প্রযুক্তি ইতোমধ্যে বিশ্বজোড়া অনন্য এক স্বীকৃতি পেয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান থেকে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস দুই দেশই উপকূলবর্তী ও বন্যাপ্রবণ। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে, পানি অব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশে প্রতিবছর অনিয়ন্ত্রিত বন্যা হয়। আর নেদারল্যান্ডস এ ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে বন্যা থেকে সুরক্ষিত থাকে। তাই তাদের এমন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও পানি সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনা করতে চায় ।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে ডেল্টা প্ল্যানে ৩টি উচ্চ স্তরের জাতীয় লক্ষ্য এবং ৬টি নির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই উচ্চ স্তরের লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখে।
উচ্চ স্তরের লক্ষ্যসমূহ:
১. ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ; ২. ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের স্থিতি অর্জন;
৩. ২০৪১ সালে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়িয়ে একটি সমৃদ্ধ দেশ হওয়া।
নির্দিষ্ট লক্ষ্যসমূহ :
উৎপাদন বৃদ্ধি : কাঁচামাল পরিবহনের সহজলভ্যতা ও শিল্পের বিকাশের ফলে ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও শিল্পের বিকাশ : যোগাযোগের উন্নতির কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবসায় সাম্প্রসারণ ও অধিক শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিনিয়োগ : পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন যোগাযোগের ফলে শিল্পের উন্নয়নের কারণে সেতুর দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
সমুদ্র ও স্থল বন্দরগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার : চট্টগ্রামের পাশাপাশি পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরগুলোর ব্যবহারের বিস্তৃততা বাড়বে। একই সাথে বেনাপোলসহ দেশের অন্যান্য স্থল বন্দরগুলোতে কার্যক্রম ব্যাপক আকারে বেড়ে যাবে।
পরিশেষে বলা যায়, সেতুর কারণে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ বেড়ে যাবে আর প্রতিবছর দারিদ্র্য নিরসন হবে ০.৮৪ ভাগ এবং নিঃসন্দেহে পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করেই ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবর্তিত হবে।
১৭৩। বর্তমান সরকারের গৃহীত 'Fast track project' সমূহের নাম লিখুন।
উত্তর : যে বড় প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়নে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে তাকে 'Fast track projer বলে। বর্তমান সরকারের গৃহীত ১০টি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প নিয়ে উল্লেখ করা হলো :
ক. পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প : সরকারের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত প্রকল্প এটি।
খ. মেট্রোরেল প্রকল্প : ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের মাধ্যমে নতুন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে।
গ. পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ : পদ্মা সেতু রেল সংযোগটি ঢাকার সাথে দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোকে সরাসরি রেল যোগাযোগে সংযুক্ত করবে।
ঘ. দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেল প্রকল্প : এ প্রকল্প চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজারের ঘুমধুম সীমান্ত অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বাড়াবে।
ঙ. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প : ২৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রকল্পটি দেশের বিদ্যুৎ-এর চাহিদা মেটাবে।
চ. রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র : রামপালে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এটি।
ছ. এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প : মহেশখালিতে অবস্থিত এ প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
জ. মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প : মহেশখালি-মাতারবাড়ীতে এ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
ঝ. গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প : প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্টের আশঙ্কায় সোনাদিয়ায় অবস্থিত এ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
ঞ. পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প : চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় রাবনাবাদ চ্যানেলে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৭৪। কৃষিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যে সরকারের পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
উত্তর : কৃষি এদেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষি এদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের অন্যতম উৎস। কৃষিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিচে তুলে ধরা হলো :
১. গুণগতমানসম্পন্ন ফসলের বীজ কৃষকদের প্রদান : সরকার বিএডিসির মাধ্যমে মানসম্মত বীজ কৃষকদের প্রদান নিশ্চিত করেছে।
২. নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন : প্রজননবিদরা নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করছে যা উৎপাদন ত্বরান্বিত করছে।
৩. সারের মূল্য হ্রাস ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা : কৃষক স্বল্প মূল্যে ও সঠিক সময়ে সার পাচ্ছে যার সুষম প্রয়োগে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৪. বেসরকারি বীজ আমদানি উৎসাহিতকরণ : প্রাইভেট সেক্টর দেশে প্রচুর সবজি বীজ আমদানির মধ্য দিয়ে যোগান বৃদ্ধি করায় সবজি ও ফসলের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে।
৫. কৃষি যন্ত্রপাতির উন্নয়ন ও ভর্তুকি প্রদান : কৃষক আজ উন্নতমানের কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে এবং ভর্তুকি মূল্যে এ কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারছে।
৬. ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থা প্রচলন : কৃষি তথ্য সার্ভিসের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে কৃষক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করছে যা কৃষির বিকাশ ঘটাচ্ছে।
১৭৫। 'Energy and Power'-এ সরকারের সাফল্য সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : বর্তমান সরকারের সাফল্যের অন্যতম প্রধান খাত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। যেকোনো দেশের উন্নয়নে এ খাত সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিচে 'Energy and Power সেক্টরে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হলো : DIM বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪৫৯৪ মেগা ওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টায় উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাগোষ্ঠীর আওতায় এসেছে প্রায় ৯৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী। প্রায় ৬০ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রিড সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। বিদ্যুৎ বিতরণ লস ৯.৩৫ শতাংশ থেকে নেমে ৮.৭৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য ১২৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরের ২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
বিদ্যুতের উন্নয়নের জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণাধীন রয়েছে ।
এছাড়াও এ খাতের উন্নয়নের জন্য স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন, সমন্বিত ইআরপি বাস্তবায়ন, অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল প্রদানের ব্যবস্থা সরকারকে ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছে। যা প্রমাণ করে 'Energy & Power সেক্টরে সরকারের সাফলা।
১৭৬। আমাদের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে শত্রুর হাত থেকে মাতৃভাষা বাংলাকে ছিনিয়ে আনেন সালাম, রফিক, জব্বার ও বরকতসহ অনেক বীর সন্তান। আর এ ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ অবদান রয়েছে। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা ঘটে এ আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর রাজনীতিবিদসহ ১৪ জন ভাষাবীর ২১ দফা দাবি নিয়ে একটি ইস্তেহার প্রণয়ন করেছিলেন। ঐ ইস্তেহারের দ্বিতীয় দাবিটি ছিল রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত। এ ইস্তেহার প্রণয়নে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য এবং তিনি ছিলেন অন্যতম স্বাক্ষরদাতা। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের ১০ দফা দাবীর অন্যতম দাবি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা, যা উত্থানের কুশীলব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পালিত দেশের প্রথম সফল হরতাল পালনে নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় শেখ মুজিব কারাগারে থাকলেও আন্দোলনকারীদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতেন।
১৭৭। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ'-এর যেকোনো পাঁচটি লাইন লিখুন ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক এক ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি নির্যাতিত বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর । এ ভাষণের প্রতিটি কথাই বাঙালিকে উজ্জিবীত করে। নিচে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পাঁচটি লাইন তুলে ধরা হলো ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।
১৭৮। 'Vision-2021'-এর উপর সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : Vision-2021 বা রূপকল্প ২০২১ ছিল ২০০৮ সালের : জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী ইশতেহার। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনাগুলোই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভিশন ২০২১ নামে পরিচিতি লাভ করে। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিকল্পনাসমূহ :
১. শক্তিশালী গণতন্ত্র ও সংসদ প্রতিষ্ঠা।
২. রাজনৈতিক কাঠামো ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ।
৩. সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির আদান প্রদান।
৪. দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন।
৫. নারীর ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনাসমূহ:
১. মৌলিক চাহিদা পূরণ।
২. জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর।
১৮৬। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর অনুচ্ছেদ উল্লেখপূর্বক রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতিসমূহ লিখুন? আইন ও অধ্যাদেশের মধ্যে পার্থক্য কী লিখুন ।
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ : রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি-এর অনুচ্ছেদ ৮(১) অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি চারটি। যথা- ১. জাতীয়তাবাদ (অনুচ্ছেদ-৯)। ২. সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি (অনুচ্ছেদ-১০)। ৩. গণতন্ত্র ও মানবাধিকার (অনুচ্ছেদ-১১) এবং ৪. ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ-১২)।
সংসদে বিল আকারে যে প্রস্তাব পাশ হয় তাকে আইন বলে। অন্যদিকে দেশে যখন কোনো জরুরি অবস্থা চলতে থাকে বা সংসদের কার্যক্রম চলমান না থাকে তখন কোনো আইন পাশ করার প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রপতি একক ক্ষমতাবলে। আইন জারী করে তাকে অধ্যাদেশ বলে। আইন ও অধ্যাদেশের মধ্যে পার্থক্য হলো
১. সংসদে বিল আকারে যে প্রস্তাব পাশ হয় তাই হলো। আইন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নিজে যে আইন জারী করেন তাকে অধ্যাদেশ বলে । ২. আইন প্রণয়ন শর্তহীন, অন্যদিকে অধ্যাদেশ প্রণয়ন শর্তসাপেক্ষ।
৩. আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আইন বিভাগের হাতে ন্যস্ত,
অন্যদিকে অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতা নির্বাহী/শাসন বিভাগের হাতে ন্যস্ত।
১৮৭। ঐতিহাসিক ছয় দফার যেকোনো তিনটি দফা লিখুন।
উত্তর : ২৫ মার্চ ১৯৭১ : ২৫ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম হামলা চালায়, যার সাংকেতিক নাম ছিল 'অপারেশন সার্চলাইট'।
১০ এপ্রিল ১৯৭১ : ১০ এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার ‘মুজিবনগর সরকার' গঠন করা হয় ।
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ : পাকিস্তানি বর্বর হানাদাররা এ দিনে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করে, যা বুদ্ধিজীবী হত্যাদিবস নামে পরিচিত।
২। বাংলাদেশে মোট কয়টি স্থলবন্দর রয়েছে? এর মধ্যে সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরের নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশে মোট ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে। যশোরের ‘বেনাপোল স্থলবন্দর’ সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর।
৩। পূর্ণরূপ লিখুন : VGD, VGF
উত্তর :
VGD : Vulnerable Group Development.
VGF : Vulnerable Group Feeding.
৪। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট কি ছিল? ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কিভাবে স্বাধীনতাকে/ মুক্তিযুদ্ধকে প্রভাবিত করেছে?
উত্তর : ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করে, যারই ফলশ্রুতিতে বাঙালি আপামর জনসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের ২৪ বছরের বঞ্চনার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে প্রকারান্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন “এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম।” তার ভাষণে সাড়া দিয়ে জনতা স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
৫। ঐতিহাসিক ৬ দফা কবে, কোথায়, কে ঘোষণা করেন?
উত্তর : ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোে বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ‘ছয় দফা' ঘোষণা করেন।
৬। বাংলাদেশের চলমান ৬টি মেগা প্রকল্পের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশে চলমান ছয়টি মেগা প্রকল্প হলো-
(i রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,
(ii) পদ্মা সেতু,
(iii মেট্রোরেল,
(iv) মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র,
(v দোহাজারী ঘুনধুম রেল সংযোগ ও
(vi) পায়রা সমুদ্র বন্দর ।
৭। বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ কি?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।
৮। শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্রটি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে অবস্থিত ।
৯। বাংলাদেশে অবস্থিত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা কত?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের গ্যাস ক্ষেত্রের সংখ্যা ২৭ টি।
১০। ব্লু-ইকনমি কি?
উত্তর : সমুদ্র সম্পদ নির্ভর অর্থনীতি হচ্ছে ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি ।
১১। বাংলাদেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে কত এলাকা সমুদ্রসীমা প্রাপ্ত হয়েছে?
উত্তর : আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ২০১২ সালে ৯ মিয়ানমারের সাথে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় বাংলাদেশ ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিমি সমুদ্র এলাকার অধিকারী হয়েছে।
১২। এ সমুদ্রসীমায় কি কি সম্পদ পাওয়া যাবে?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রাপ্ত সমুদ্রসীমায় গ্যাসক্ষেত্র, বহু মূল্যবান খনিজবালু, ৪৭৫ প্রজাতির মাছ, ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি, তিন প্রজাতির লবস্টার, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া, ৩৩৬ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক পাওয়া যাবে।
১৩। শালবন বিহার কোথায়?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রাচীনতম বৌদ্ধবিহার হলো শালবন বিহার, যা কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত।
১৪। বাংলাদেশের দুটি স্থলবন্দরের নাম অবস্থানসহ লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে দুটি স্থলবন্দর হলো বেনাপোল ও হিলি, যা যথাক্রমে যশোরের শার্শা ও দিনাজপুরের হাকিমপুরে অবস্থিত।
১৫। মরমী কবি কে?
উত্তর : বাংলার সঙ্গীতাঙ্গনের মরমি কবি বলে খ্যাত হলেন হাসন রাজা।
১৬। বাউল সম্রাট কে?
উত্তর : বাউল সম্রাট হিসেবে খ্যাত আধ্যাত্মিক বাউল সাধক লালন শাহ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শাহ আব্দুল করিমকেও বাউল সম্রাট হিসেবে সম্বোধন করা হয়।
১৭। ছন্দের যাদুকর কে?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যে ছন্দের যাদুকর হিসেবে খ্যাত হলেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৮। চরমপত্র কে পাঠ করতেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধকালে চরমপত্র পাঠ করতেন এম আর আখতার মুকুল।
১৯। বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের কয়টি রাজ্য আছে? রাজ্যগুলোর নাম কি কি?
উত্তর : বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতের পাঁচটি রাজ্য অবস্থিত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পাচটি রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম।
৭। বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ কি?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।
৮। শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্রটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : শ্রীকাইল গ্যাস ক্ষেত্রটি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগরে অবস্থিত ।
৯। বাংলাদেশে অবস্থিত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা কত?
উত্তর : বর্তমানে বাংলাদেশের গ্যাস ক্ষেত্রের সংখ্যা ২৭ টি।
১০। ব্লু-ইকনমি কি?
উত্তর : সমুদ্র সম্পদ নির্ভর অর্থনীতি হচ্ছে ব্লু ইকোনমি বা সুনীল অর্থনীতি ।
১১। বাংলাদেশ ভারত ও মিয়ানমার থেকে কত এলাকা সমুদ্রসীমা প্রাপ্ত হয়েছে?
উত্তর : আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে ২০১২ সালে ৯ মিয়ানমারের সাথে এবং ২০১৪ সালে ভারতের সাথে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় বাংলাদেশ ১,১৮,৮১৩ বর্গ কিমি সমুদ্র এলাকার অধিকারী হয়েছে।
১২। এ সমুদ্রসীমায় কি কি সম্পদ পাওয়া যাবে?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রাপ্ত সমুদ্রসীমায় গ্যাসক্ষেত্র, বহু মূল্যবান খনিজবালু, ৪৭৫ প্রজাতির মাছ, ৩৬ প্রজাতির চিংড়ি, তিন প্রজাতির লবস্টার, ২০ প্রজাতির কাঁকড়া, ৩৩৬ প্রজাতির শামুক-ঝিনুক পাওয়া যাবে।
১৩। শালবন বিহার কোথায়?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রাচীনতম বৌদ্ধবিহার হলো শালবন বিহার, যা কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত।
১৪। বাংলাদেশের দুটি স্থলবন্দরের নাম অবস্থানসহ লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে দুটি স্থলবন্দর হলো বেনাপোল ও হিলি, যা যথাক্রমে যশোরের শার্শা ও দিনাজপুরের হাকিমপুরে অবস্থিত।
১৫। মরমী কবি কে?
উত্তর : বাংলার সঙ্গীতাঙ্গনের মরমি কবি বলে খ্যাত হলেন হাসন রাজা।
১৬। বাউল সম্রাট কে?
উত্তর : বাউল সম্রাট হিসেবে খ্যাত আধ্যাত্মিক বাউল সাধক লালন শাহ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে শাহ আব্দুল করিমকেও বাউল সম্রাট হিসেবে সম্বোধন করা হয়।
১৭। ছন্দের যাদুকর কে?
উত্তর : বাংলা সাহিত্যে ছন্দের যাদুকর হিসেবে খ্যাত হলেন সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত।
১৮। চরমপত্র কে পাঠ করতেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধকালে চরমপত্র পাঠ করতেন এম আর আখতার মুকুল।
১৯। বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের কয়টি রাজ্য আছে? রাজ্যগুলোর নাম কি কি?
উত্তর : বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতের পাঁচটি রাজ্য অবস্থিত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের পাচটি রাজ্য হলো পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম।
২০। বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ কোনটি? এই সনদ কে, কখন এবং কোথায় ঘোষণা করেন?
উত্তর : বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ বলা হয় ১৯৬৬ সালে ঘোষিত ছয় দফাকে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ৬ দফা পেশ করেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় ২৩ মার্চ ১৯৬৬।
২১। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ১৯৭১ সালের বক্তৃতাই ছিল মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা। সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে। ৩ মার্চ ঘোষিত গোলটেবিল বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। ফলে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন, যা ৭ মার্চের ভাষণ নামে পরিচিত। তিনি তার ভাষণে পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, 'তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়। মনে রাখবা এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।' তার এ ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার আপামর জনতা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। তাই বলা যায়, ৭ মার্চের ঘোষণাই মূলত স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল।
২২। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের কার্যাবলি উল্লেখ করুন।
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে সরকারি কর্ম কমিশনের কথা বলা হয়েছে। সংবিধানের ১৪০ নং অনুচ্ছেদে কমিশনের দায়িত্বের কথা বলা হয়েছে।
কার্যাবলি :
১. প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদানের জন্য যোগ্য ব্যক্তিদেরকে মনোনয়নের উদ্দেশ্যে যাচাই ও পরীক্ষা পরিচালনা।
২. রাষ্ট্রপতি কোনো বিষয় সম্পর্কে কমিশনের পরামর্শ চাইলে তা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ প্রদান।
৩. আইনের দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য দায়িত্ব।
২৩। ব্লু ইকোনমি (Blue Economy) কী? সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ব্লু ইকোনমি (Blue Economy) মানে হলো সমুদ্র অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি, সমুদ্রসম্পদ ও সমুদ্রকে ঘিরে গড়ে ওঠা অর্থনীতিকে বলা হয় ব্লু ইকোনমি। Blue Economy বা সমুদ্র অর্থনীতির জনক বলা হয় গুন্টার পাউলিকে।
২৪। . বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি কে? তিনি কোন দেশের নাগরিক?
উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি লুই আই কান । তিনি এস্তোনীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।
২৫। পদ্মা সেতুর অবস্থান কোথায়? এই সেতুর দৈর্ঘ্য কত? এই সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কতটি জেলাকে ঢাকা ও পূর্বাঞ্চলের সাথে যুক্ত করবে?
উত্তর : পদ্মা সেতু মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার দুই প্রান্তকে মিলিত করবে বিধায় এর অবস্থান মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরে। পদ্মাসেতুর দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলাকে ঢাকা ও পূর্বাঞ্চলের সাথে যুক্ত করবে।
২৬। উয়ারী বটেশ্বর কোথায় অবস্থিত? এটি কী জন্য বিখ্যাত?
উত্তর : উয়ারী বটেশ্বর নরসিংদীর বেলাবো ও শিবপুর উপজেলায় অবস্থিত। এটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য বিখ্যাত। এখানে প্রায় ৩ হাজার বছর পূর্বের প্রাচীন শিলালিপি, মুদ্রাসহ সভ্যতার অনেক নিদর্শন পাওয়া গেছে।
২৭। সংবিধানের কত অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গঠিত হয়েছে? এই কমিশনের প্রধান দুটি দায়িত্ব বর্ণনা করুন।
উত্তর : সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন গঠিত হয়েছে। সংবিধানের ১৪০ নং অনুচ্ছেদে দায়িত্বসমূহ বর্ণিত হয়েছে। নিচে প্রধান দুটি দায়িত্ব দেয়া হলো :
১। প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগদানের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদিগকে মনোনয়নের উদ্দেশ্যে যাচাই ও পরীক্ষা পরিচালনা ।
২। মহামান্য রাষ্ট্রপতি কোনো বিষয়ে কমিশনের পরামর্শ চাইলে সে সম্বন্ধে রাষ্ট্রপতিকে উপদেশ প্রদান।
২৮। সংবিধানের ৫(ক) অনুচ্ছেদে কি বিষয় উল্লেখ আছে?
উত্তর : সংবিধানের ৫ (ক) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে ‘প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ঢাকা ।”
২৯।. সাংবিধানিক সংস্থা কি? যেকোনো দুটি সাংবিধানিক সংস্থার নাম লিখুন।
উত্তর : সংবিধানে বর্ণিত সুস্পষ্ট বিধি মোতাবেক গঠিত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে সাংবিধানিক সংস্থা বলে । দুটি সাংবিধানিক সংস্থা হলো : ১. বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ও ২. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
৩০।. ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১' কবে, কোথা হতে উৎক্ষেপণ করা হয়? এটি প্রধানত কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: ১১ মে ২০১৮ যুক্তরাষ্ট্রের 'কেনেডি স্পেস সেন্টার' থেকে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১' উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি প্রধানত যোগাযোগ ও সম্প্রচারভিত্তিক স্যাটেলাইট। যে কাজে ব্যবহৃত হয় :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১৬০০ মেগাহার্টজ। এর ব্যান্ডউইডথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে ইন্টারনেট বঞ্চিত অঞ্চল যেমন পার্বত্য ও হাওড় এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া সম্ভব।
২৮। সংবিধানের ৫(ক) অনুচ্ছেদে কি বিষয় উল্লেখ আছে?
উত্তর : সংবিধানের ৫ (ক) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে ‘প্রজাতন্ত্রের রাজধানী ঢাকা ।”
২৯।. সাংবিধানিক সংস্থা কি? যেকোনো দুটি সাংবিধানিক সংস্থার নাম লিখুন।
উত্তর : সংবিধানে বর্ণিত সুস্পষ্ট বিধি মোতাবেক গঠিত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে সাংবিধানিক সংস্থা বলে । দুটি সাংবিধানিক সংস্থা হলো : ১. বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন ও ২. নির্বাচন কমিশন সচিবালয়
৩০।. ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১' কবে, কোথা হতে উৎক্ষেপণ করা হয়? এটি প্রধানত কি কাজে ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: ১১ মে ২০১৮ যুক্তরাষ্ট্রের 'কেনেডি স্পেস সেন্টার' থেকে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১' উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি প্রধানত যোগাযোগ ও সম্প্রচারভিত্তিক স্যাটেলাইট। যে কাজে ব্যবহৃত হয় :
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১৬০০ মেগাহার্টজ। এর ব্যান্ডউইডথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে ইন্টারনেট বঞ্চিত অঞ্চল যেমন পার্বত্য ও হাওড় এলাকায় ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া সম্ভব।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট ও ব্যাংকিং সেবা, টেলিমেডিসিন ও দূরনিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রসারেও ব্যবহার করা যাবে এই স্যাটেলাইটটি।
২. দেশের টিভি চ্যানেলগুলো তাদের নিরবচ্ছিন্ন সম্প্রচারের জন্য এই স্যাটেলাইট ভাড়া নিতে পারবে।
৩. বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়লেও দুর্গত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে।
২. দেশের টিভি চ্যানেলগুলো তাদের নিরবচ্ছিন্ন সম্প্রচারের জন্য এই স্যাটেলাইট ভাড়া নিতে পারবে।
৩. বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়লেও দুর্গত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে।
৩১। এই স্যাটেলাইটের কার্যাবলিসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় কোন ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র থেকে মনিটর করা হচ্ছে?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর কার্যাবলিসহ সকল বিষয় সজীব ওয়াজেদ জয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, গাজীপুর ও সজীব ওয়াজেদ জয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, বেতবুনিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে গাজীপুরের জয়দেবপুরের ভূ উপগ্রহ কেন্দ্রটি হলো মূল স্টেশন এবং ব্যাকআপ হিসেবে বেতবুনিয়া স্টেশনটি রাখা হয়েছে।
৩২।. ছয় দফা কি? কে, কবে এবং কোথায় এই ছয় দফা প্রথম উত্থাপন করেন?
উত্তর : পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়, অবিচার, জুলুম থেকে বাঙালি জনগণকে রক্ষার জন্য স্বায়ত্তশাসনের দাবি সংবলিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যে ছয়টি দাবি উত্থাপন করেন, তাই ছয় দফা নামে স্বীকৃত। এটিকে ম্যাগনাকার্টার সাথে তুলনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে সর্বপ্রথম এ ছয় দফা উত্থাপন করেন।
৩২।. ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হন এমন দুজন শহীদের নাম লিখুন।
উত্তর : ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে নিহত দুজন শহীদের নাম : ১. শহীদ আসাদ ও ২. শহীদ মতিউর।
৩৩। মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর কোন সেক্টরের অধীনে ছিল? শহীদ জননী কাকে বলা হয়?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহর ২ নং সেক্টরের অধীনে ছিল।
‘জাহানারা ইমাম' কে শহীদ জননী বলা হয় ।
৩৪।. ঐতিহাসিক দিবসের তাৎপর্য লিখুন। ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ কী জন্য স্মরণীয়?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর '৭ মার্চকে' ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৭ মার্চের ভাষণকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্ববর্তী ধাপ বলে অভিহিত করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিল। তাই এই ভাষণকে গেটিসবার্গ ভাষণের সাথে তুলনা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ বাংলাদেশে পদার্পণ করেন। তাই ১০ জানুয়ারিকে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে অভিহিত করা হয়।
৩৫। . মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র 'Stop Genocide' এর পরিচালক কে ছিলেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র 'Stop Genocide'-এর পরিচালক ছিলেন জহির রায়হান।
৩৬।. বাংলাদেশে বিদ্যমান প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ করের উদাহরণসহ সংজ্ঞা লিখুন।
উত্তর : প্রত্যক্ষ কর : প্রত্যক্ষ কর হলো দেশের নাগরিকের আয় ও সম্পদের উপর নির্দিষ্ট হারে আদায়কৃত সরকারি রাজস্ব। যেমন— আয়কর ও সম্পদ কর।
পরোক্ষ কর : পণ্য ও সেবা, উৎপাদন ও বিক্রয়, আমদানি-রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ ব্যবসা বাণিজ্যের উপর যে কর আরোপ করা হয় তাই পরোক্ষ কর। যেমন— মূল্য সংযোজন কর, শুল্ক।
৩৭। বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় কত ডলার? জিডিপি কি?
উত্তর : অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০ অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২০৬৪ মার্কিন ডলার।
জিডিপি : কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত সকল দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের আর্থিক মূল্যের সমষ্টিই হলো জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন।
৩৮।. “তিস্তা সেচ প্রকল্প' কোথায়? এই প্রকল্পে কোন কোন জেলার কৃষিকাজ সুবিধাজনক হবে?
উত্তর : তিস্তা সেচ প্রকল্পটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত। এই প্রকল্পটির ফলে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার কৃষিকাজের সুবিধা হবে। উল্লেখ্য, এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প।
৩৯।. BFIDC-এর পূর্ণরূপ কী? এই সংস্থার কাজ কি?
উত্তর : BFIDC-এর পূর্ণরূপ হলো Bangladesh Forest Industries Development Corporation | সংস্থাটি বাংলাদেশের বনাঞ্চলের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা, কাঠ সংগ্রহ ও নির্দিষ্ট স্থানে বনায়নের কাজ করে থাকে।
৪০।. পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন যেকোনো দুটি সংস্থা বা অধিদপ্তরের নাম লিখুন।
উত্তর : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দুটি অধিদপ্তরের নাম হলো- ১. পরিবেশ অধিদপ্তর ও ২. বন অধিদপ্তর।
৪১। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কয়টি এবং কী কী?
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি চারটি। সেগুলো হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
৪২।. ঐতিহাসিক 'ছয়দফা' কী? কে এবং কবে এই ছয়দফা ঘোষণা করেন?
উত্তর : পাকিস্তানের শোষণ, নিপীড়ন ও নির্যাতন থেকে বাঙালিদেরকে মুক্তি দিতে বাঙালির অবিসংবাদিত মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬টি প্রস্তাবভিত্তিক যে মহা মুক্তির সনদ প্রণয়ন করেন, তাই ঐতিহাসিক ৬ দফা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ৬ দফা ঘোষণা করেন।
৪৩।. বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের তিনটি কুফল আলোচনা করুন।
উত্তর : ১৭৯৩ সালের ২৩ মার্চ লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ৩ টি কুফল :
ক. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে জমিদার জমির মালিক হয় এবং কৃষকেরা কেবল জমিদারের ভাড়াটে মজুরে পরিণত হয়।
খ. জমির গুণাগুণ পরীক্ষা না করেই রাজস্ব নির্ধারণ করা হত। এতে অনেক ক্ষেত্রেই রাজস্বের হার বেশি নির্ধারিত হত।
গ. অতিরিক্ত রাজস্বের চাপে কৃষক শ্রেণী মহাজনের কাছে ঋণ নিতে বাধ্য হত। এতে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে কৃষকদের অবস্থা শোষণীয় হয়ে পড়ত।
৪৪।. বাংলাদেশের পাঁচটি প্রধান খনিজ সম্পদের নাম উল্লেখপূর্বক যে কোনো দুটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করুন।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান ৫টি খনিজ সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর, চিনামাটি ও কঠিন শিলা। প্রাকৃতিক গ্যাস :
জিডিপি : কোনো একটি নির্দিষ্ট সময়ে সাধারণত এক বছরে কোনো দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত সকল দ্রব্যসামগ্রী ও সেবাকর্মের আর্থিক মূল্যের সমষ্টিই হলো জিডিপি বা মোট দেশজ উৎপাদন।
৩৮।. “তিস্তা সেচ প্রকল্প' কোথায়? এই প্রকল্পে কোন কোন জেলার কৃষিকাজ সুবিধাজনক হবে?
উত্তর : তিস্তা সেচ প্রকল্পটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত। এই প্রকল্পটির ফলে নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার কৃষিকাজের সুবিধা হবে। উল্লেখ্য, এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প।
৩৯।. BFIDC-এর পূর্ণরূপ কী? এই সংস্থার কাজ কি?
উত্তর : BFIDC-এর পূর্ণরূপ হলো Bangladesh Forest Industries Development Corporation | সংস্থাটি বাংলাদেশের বনাঞ্চলের বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপনা, কাঠ সংগ্রহ ও নির্দিষ্ট স্থানে বনায়নের কাজ করে থাকে।
৪০।. পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীন যেকোনো দুটি সংস্থা বা অধিদপ্তরের নাম লিখুন।
উত্তর : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দুটি অধিদপ্তরের নাম হলো- ১. পরিবেশ অধিদপ্তর ও ২. বন অধিদপ্তর।
৪১। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কয়টি এবং কী কী?
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৮ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি চারটি। সেগুলো হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
৪২।. ঐতিহাসিক 'ছয়দফা' কী? কে এবং কবে এই ছয়দফা ঘোষণা করেন?
উত্তর : পাকিস্তানের শোষণ, নিপীড়ন ও নির্যাতন থেকে বাঙালিদেরকে মুক্তি দিতে বাঙালির অবিসংবাদিত মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬টি প্রস্তাবভিত্তিক যে মহা মুক্তির সনদ প্রণয়ন করেন, তাই ঐতিহাসিক ৬ দফা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ৬ দফা ঘোষণা করেন।
৪৩।. বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা কে প্রবর্তন করেন? চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের তিনটি কুফল আলোচনা করুন।
উত্তর : ১৭৯৩ সালের ২৩ মার্চ লর্ড কর্নওয়ালিস বাংলায় চিরস্থায়ী ভূমি ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ৩ টি কুফল :
ক. চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে জমিদার জমির মালিক হয় এবং কৃষকেরা কেবল জমিদারের ভাড়াটে মজুরে পরিণত হয়।
খ. জমির গুণাগুণ পরীক্ষা না করেই রাজস্ব নির্ধারণ করা হত। এতে অনেক ক্ষেত্রেই রাজস্বের হার বেশি নির্ধারিত হত।
গ. অতিরিক্ত রাজস্বের চাপে কৃষক শ্রেণী মহাজনের কাছে ঋণ নিতে বাধ্য হত। এতে ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে কৃষকদের অবস্থা শোষণীয় হয়ে পড়ত।
৪৪।. বাংলাদেশের পাঁচটি প্রধান খনিজ সম্পদের নাম উল্লেখপূর্বক যে কোনো দুটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করুন।
উত্তর : বাংলাদেশের প্রধান ৫টি খনিজ সম্পদ হলো প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা, চুনাপাথর, চিনামাটি ও কঠিন শিলা। প্রাকৃতিক গ্যাস :
প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের প্রধান খনিজ সম্পদ। দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি চাহিদার প্রায় ৭১% শতাংশ পূরণ করে প্রাকৃতিক গ্যাস। এ যাবত আবিষ্কৃত মোট গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৭টি। দেশে বর্তমানে মোট গ্যাস মজুদের পরিমান ৩৯.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট এবং উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ২৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট ।
কয়লা :
কয়লা বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খনিজ সম্পদ। দেশে এ যাবত আবিষ্কৃত কয়লা খনির সংখ্যা ৫টি। ৫টি খনিতে মজুদের পরিমাণ আনুমানিক ৭৯৬২ মিলিয়ন টন। সবচেয়ে বড় কয়লাক্ষেত্র জামালগঞ্জ, যেখানে মজুদ আছে প্রায় ৫৪৫০ মিলিয়ন টন। আবিষ্কৃত ৫টি খনির মধ্যে কেবল বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ভূগর্ভস্থ পদ্ধতিতে ২০০৫ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা ব্যবহার করে খনি এলাকায় ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।
৪৫।. সুনীল অর্থনীতি (Blue Economy) সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করুন।
উত্তর : সমুদ্রনির্ভর অর্থনীতিকে সুনীল অর্থনীতি বলে। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি, সমুদ্র অভ্যন্তরে বিদ্যমান মৎস্য, প্রাণিজ, খনিজ ইত্যাদি এ সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। সমুদ্র মৎস্য সম্পদের মাধ্যমে মানুষের বহুবিধ চাহিদা পূরণ করে। এছাড়া সমুদ্র থেকে নানারকম খনিজ সম্পদ যেমন বালি, লবণ, কোবাল্ট, গ্রাভেল, তামা, জিরকন, মোনাজাইট ও রুটাইলসহ বহুবিধ সম্পদ আহরণ করা সম্ভব। এছাড়া সমুদ্র তেল-গ্যাসের বিশাল আধার বলে বিশেষভাবে পরিচিত।
৪৬।. পরিবেশ ও প্রতিবেশ কী? বাংলাদেশে বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান কারণ উল্লেখ করুন।
উত্তর : পরিবেশ : মানব সমাজে চারপাশের ভৌত অবস্থা, জলবায়ু, আর্থ সামাজিক অবকাঠামো এবং মানুষ ও প্রাণীর জীবনমানের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী জৈব ও অজৈব উপাদানের সমষ্টিকে পরিবেশ বলে। পরিবেশের উপাদান প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম এ দুই ভাগে বিভক্ত। মানুষ, প্রাণী ও জীব পরিবেশের এক বা উভয় উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। মানব পরিবেশ জড় ও জীব উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত।
প্রতিবেশ : পরিবেশের যেসব উপাদান দৃশ্যমান এবং পরিবেশে আলোচিত বিষয় বা স্থানের নিকটবর্তী উপাদানকে প্রতিবেশ বলে। পরিবেশকে স্বাভাবিক রাখতে হয় প্রতিবেশকে অনুকূল রাখার জন্য। অর্থাৎ বলা যায় প্রতিবেশ পরিবেশের অংশ বা একটি উপাদান। বাংলাদেশে বায়ুদূষণের ৩ টি কারণ :
ক. যানবাহনের কালো ধোঁয়া;
খ. ধূমপান;
গ. জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহার।
৪৭।. ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ কী কী প্রযুক্তিগত সেবা/সুবিধা ভোগ করে থাকেন?
উত্তর : ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ
যেসব প্রযুক্তিগত সুবিধা ভোগ করে থাকেন, সেগুলো হলো :
ক. অত্যন্ত সহজে, দ্রুত ও কম খরচে সরকারি ও বেসরকারি সেবা প্রাপ্তির মাধ্যমে জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন।
খ. দ্রুততম সময়ে তথ্য ও সেবা পাওয়ার পথ সুগম হওয়ায় সাশ্রয় হচ্ছে সময় ও অর্থ ।
গ. সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রতিটি স্তরে অবাধ তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে, যার ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে।
৪৮।. 'কারাগারের রোজনামচা' কার লেখা?
উত্তর : 'কারাগারের রোজনামচা' গ্রন্থটির রচয়িতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
৪৯।. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম কি?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের নাম 'থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস' (ফ্রান্স)।
৫০।. 'বরফগলা নদী' গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
উত্তর : 'বরফগলা নদী' গ্রন্থটির রচয়িতা জহির রায়হান
৫১. মুক্তিযুদ্ধের গেরিলা বাহিনী BLF-এর পূর্ণরূপ কি?
উত্তর : BLF-এর পূর্ণরূপ Bangladesh Liberation Force |
৫২।. একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৫ জন সেক্টর কমান্ডারের নাম লিখুন।
উত্তর : ৫ জন সেক্টর কমান্ডারের নাম-
১. মেজর খালেদ মোশাররফ,
২. মেজর এ. টি. এম হায়দার,
৩. মেজর কে. এম. শফিউল্লাহ,
৪. মেজর মীর শওকত আলী,
৫. মেজর রফিকুল ইসলাম।
৫১. বাংলাদেশের টাকশালের জাতীয় নাম কি? এটা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের টাকশালের জাতীয় নাম 'দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লি:'। এটি গাজীপুরের শিমুলতলীতে অবস্থিত।
৫২. বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কয়টি ও কি কি? সংবিধানের কত অনুচ্ছেদে ইহা বর্ণিত আছে?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ৮(১) অনুযায়ী, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ৪টি—
১. জাতীয়তাবাদ, ২. ॥ সমাজতন্ত্র, ৩. গণতন্ত্র, ৪. ধর্মনিরপেক্ষতা। বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম অনুচ্ছেদে এটা বর্ণিত আছে।
৫৩. BSMMU এর পূর্ণরূপ কি? এটা কোথায় অবস্থিত? কোন সালে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়? এটার পূর্বনাম কি?
উত্তর : BSMMU-এর পূর্ণরূপ হলো Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University। এটি ১৯৬৫ সালে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পূর্বনাম ছিল ‘ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ' (IPGMR) বা সংক্ষেপে পিজি হাসপাতাল ।
৫৪. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা' উল্লেখ করুন।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হবার আগে ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর (২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ইপিআর এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়। উক্ত ঘোষণাটি সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে ১৫০(২) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত হয়। ঘোষণাটি ছিল এরকম “ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।
শেখ মুজিবুর রহমান☝
২৬ মার্চ ১৯৭১"
৫৫।. বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদসমূহ উল্লেখ করুন।
উত্তর : সংবিধান প্রণেতাগণ শুধু বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্যই মৌলিক অধিকার প্রণয়ন করেননি, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ ধারা সংযোজন করেছেন। মৌলিক অধিকার ১৮টি। শুধু বাংলাদেশের নাগরিকরা ভোগ করতে পারেন এমন মৌলিক অধিকার ১২টি। এ ১২টি মৌলিক অধিকার সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদগুলো হলো:
অনুচ্ছেদ-২৭: আইনের দৃষ্টিতে সমতা। অনুচ্ছেদ-২৮: ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ বৈষম্য করা যাবে না।
অনুচ্ছেদ- ২৯: সরকারি চাকরির সমান সুযোগ
অনুচ্ছেদ-৩০ : বিদেশী রাষ্ট্রের উপাধি গ্রহণ।
অনুচ্ছেদ-৩১ : আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার।
অনুচ্ছেদ-৩৬ : চলাফেরার স্বাধীনতা।
অনুচ্ছেদ-৩৭: অনুচ্ছেদ-৩৮ : সংগঠনের স্বাধীনতা।
সমাবেশের স্বাধীনতা।
অনুচ্ছেদ-৩৯ : বাক স্বাধীনতা।
অনুচ্ছেদ-৪০ : পেশা ও বৃত্তির অধিকার। অনুচ্ছেদ ৪২ : সম্পত্তির অধিকার।
অনুচ্ছেদ-৪৩ : গৃহ ও যোগাযোগ রক্ষণ।
২. মেজর এ. টি. এম হায়দার,
৩. মেজর কে. এম. শফিউল্লাহ,
৪. মেজর মীর শওকত আলী,
৫. মেজর রফিকুল ইসলাম।
৫১. বাংলাদেশের টাকশালের জাতীয় নাম কি? এটা কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : বাংলাদেশের টাকশালের জাতীয় নাম 'দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লি:'। এটি গাজীপুরের শিমুলতলীতে অবস্থিত।
৫২. বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি কয়টি ও কি কি? সংবিধানের কত অনুচ্ছেদে ইহা বর্ণিত আছে?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ৮(১) অনুযায়ী, রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ৪টি—
১. জাতীয়তাবাদ, ২. ॥ সমাজতন্ত্র, ৩. গণতন্ত্র, ৪. ধর্মনিরপেক্ষতা। বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম অনুচ্ছেদে এটা বর্ণিত আছে।
৫৩. BSMMU এর পূর্ণরূপ কি? এটা কোথায় অবস্থিত? কোন সালে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়? এটার পূর্বনাম কি?
উত্তর : BSMMU-এর পূর্ণরূপ হলো Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University। এটি ১৯৬৫ সালে রাজধানী ঢাকার শাহবাগে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পূর্বনাম ছিল ‘ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ' (IPGMR) বা সংক্ষেপে পিজি হাসপাতাল ।
৫৪. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা' উল্লেখ করুন।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন। গ্রেফতার হবার আগে ২৫ মার্চ রাত ১২টার পর (২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে) তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন, যা চট্টগ্রামে অবস্থিত তৎকালীন ইপিআর এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয়। উক্ত ঘোষণাটি সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে ১৫০(২) অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত হয়। ঘোষণাটি ছিল এরকম “ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।
শেখ মুজিবুর রহমান☝
২৬ মার্চ ১৯৭১"
৫৫।. বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদসমূহ উল্লেখ করুন।
উত্তর : সংবিধান প্রণেতাগণ শুধু বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্যই মৌলিক অধিকার প্রণয়ন করেননি, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ ধারা সংযোজন করেছেন। মৌলিক অধিকার ১৮টি। শুধু বাংলাদেশের নাগরিকরা ভোগ করতে পারেন এমন মৌলিক অধিকার ১২টি। এ ১২টি মৌলিক অধিকার সংশ্লিষ্ট অনুচ্ছেদগুলো হলো:
অনুচ্ছেদ-২৭: আইনের দৃষ্টিতে সমতা। অনুচ্ছেদ-২৮: ধর্ম, বর্ণ, নারী-পুরুষ বৈষম্য করা যাবে না।
অনুচ্ছেদ- ২৯: সরকারি চাকরির সমান সুযোগ
অনুচ্ছেদ-৩০ : বিদেশী রাষ্ট্রের উপাধি গ্রহণ।
অনুচ্ছেদ-৩১ : আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার।
অনুচ্ছেদ-৩৬ : চলাফেরার স্বাধীনতা।
অনুচ্ছেদ-৩৭: অনুচ্ছেদ-৩৮ : সংগঠনের স্বাধীনতা।
সমাবেশের স্বাধীনতা।
অনুচ্ছেদ-৩৯ : বাক স্বাধীনতা।
অনুচ্ছেদ-৪০ : পেশা ও বৃত্তির অধিকার। অনুচ্ছেদ ৪২ : সম্পত্তির অধিকার।
অনুচ্ছেদ-৪৩ : গৃহ ও যোগাযোগ রক্ষণ।
৫৬।. বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান ০৩টি খাতের নাম উল্লেখ করুন।
উত্তর : ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৩.৬৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান ৩টি খাত হলো :
ক. তৈরি পোশাক (ওভেন): ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাত থেকে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১৪,০৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
খ. নীটওয়্যার: ২০১৯-২০ অর্থবছরে এইখাত থেকে মোট রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ১৩,৯০৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গ. পাটজাত পণ্য : ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাত থেকে। রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৭৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
৫৭।. 'প্রাকৃতিক বিপর্যয় প্রতিরোধে সুন্দরবন বাংলাদেশের জন্য রক্ষাকবচ' ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর : সুন্দরবন শুধু প্রাণিবৈচিত্র্যের আধার নয়, বাংলাদেশের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঢালও বটে। বিশ্বের বৃহত্তম এ শ্বাসমূলি বন ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রবল প্রতিরক্ষাব্যূহ হয়ে ওঠে। ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা, বুলবুল ও আম্পানের প্রচণ্ড আক্রমণ অনেকাংশে প্রতিহত করেছে এ সুন্দরবন। ফলে প্রতিবার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের ও ফসলের যতটা ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তার চেয়ে অনেক কম হয়।
সুন্দরবন না থাকলে সাগর থেকে উৎপন্ন দুর্যোগ বাংলাদেশকে ধুয়ে নিয়ে যেতে কোনো দ্বিধা করত না বলে মনে করেন পরিবেশবিদরা। তাদের মতে, সুন্দরবনকে না বাঁচালে গোটা দক্ষিণাঞ্চল একটা দ্বীপে পরিণত হবে। আবহাওয়াবিদরা জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বনাঞ্চলের ওপর দিয়ে দুই ধরনের ধাক্কা যায়। প্রথমে গ্রিগতির বাতাস, এরপর জলোচ্ছ্বাস। জলোচ্ছ্বাস লোকালয়ে পৌঁছানোর আগে সুন্দরবনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ঢেউয়ের উচ্চতা ও তীব্রতা কমে যায়। পরে সেটা শক্তি হারিয়ে দমকা বাতাসে রূপ নেয় বলে জানান আবহাওয়াবিদরা। এভাবে সুন্দরবন বাংলাদেশকে রক্ষা করায় এ বনকে বাংলাদেশের রক্ষাকবচ বলা হয়।
৫৮।. 'অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় উদীয়মান ব্যাঘ্র (Emerging Tiger) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে' সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : এশিয়ার অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে উদীয়মান বাঘে (ইমার্জিং টাইগার) বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো। ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি আর পরতে পরতে সম্ভাবনা এ দেশকে পৌঁছে দিচ্ছে উৎকর্ষতার শীর্ষে। গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি কেবলই ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিটি খাতে দেখা দিচ্ছে সম্ভাবনা। শিল্প উন্নয়ন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ হওয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থাগুলো।
৫৮।. 'অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় উদীয়মান ব্যাঘ্র (Emerging Tiger) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে' সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : এশিয়ার অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে উদীয়মান বাঘে (ইমার্জিং টাইগার) বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো। ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধি আর পরতে পরতে সম্ভাবনা এ দেশকে পৌঁছে দিচ্ছে উৎকর্ষতার শীর্ষে। গত এক দশকে বাংলাদেশের অর্থনীতি কেবলই ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিটি খাতে দেখা দিচ্ছে সম্ভাবনা। শিল্প উন্নয়ন এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ হওয়ায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ সংস্থাগুলো।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিয়ে ব্যাপক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেছে 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম'। সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন মাপকাঠি প্রকাশের পাশাপাশি উচ্ছ্বসিত প্রশংসার একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করেছে সংস্থাটি। এতে বাংলাদেশকে 'নতুন এশিয়ান টাইগার' বলে অভিহিত করা হয়। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্যচিত্রে বিভিন্ন উপাত্ত উল্লেখ করে প্রথমেই বাংলাদেশের দ্রুত সম্প্রসারণশীল অর্থনীতির কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা বাংলাদেশ বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছে। তাদের বিভিন্ন গবেষণা, জার্নাল এবং তথ্যচিত্রে উঠে আসছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিকগুলো।
৫৯।. বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর : বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল বৈশিষ্ট্য হলো সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়'। এই নীতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও সম্প্রীতির মনোভাব গড়ে তুলছে। ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন *পৃথিবীর সকল জাতির সাথে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা। কারণ একটি দরিদ্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল হবার কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশ শুধু নিজেই সুখে থাকতে চায় না, বরং তারা সর্বদা অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে। তাদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।
৬০। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সাংবিধানিক পদ বলতে কী বুঝায়? চারটি সাংবিধানিক পদের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে যেসব পদের সংজ্ঞা, ক্ষমতা, কার্যবিধি ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে সেসব পদকে সাংবিধানিক পদ বলা হয়। এসব পদের মেয়াদ সাংবিধানিকভাবে নির্দিষ্ট থাকে। ফলে এসব পদের উপর সরকারি হস্তক্ষেপের সুযোগ কম থাকে।
বাংলাদেশের চারটি সাংবিধানিক পদ : ১. রাষ্ট্রপতি, ২. প্রধানমন্ত্রী, ৩. স্পিকার ও ৪ বিচারপতি।
৬১।. বাংলাদেশের মোট আয়তন কত? সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য কত? সবচেয়ে ছোট জেলার নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিমি বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল। এ দেশের সমুদ্র উপকূলের বা জলসীমার দৈর্ঘ্য ৭১১ কিমি। বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলার নাম-নারায়ণগঞ্জ।
৬২। বিশ্বের কোন দুটি দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আছে? মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল? মুজিবনগর কোন সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
উত্তর : সমগ্র বিশ্বে মাত্র দুটি দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রয়েছে । দেশ দুটি হলো- ১. বাংলাদেশ ও ২. যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সুষ্ঠভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্যে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। আর এ যুদ্ধে মুজিবনগর ছিল ৮নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত।
৬৩।. স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত তিনটি অনুষ্ঠানের নাম লিখুন।
উত্তর : স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র হলো বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র। এ কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত তিনটি অনুষ্ঠান হলো ১. চরমপত্র, ২, জল্লাদের দরবার ও ৩. বজ্রকণ্ঠ।
৬৪। ম্যাডোনা-৪৩ কী? কার তৈরি?
উত্তর : ১৯৪৩ সালের (বাংলা ১৩৫০ সাল) দুর্ভিক্ষের ওপর চিত্রিত একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম হলো 'ম্যাডোনা ১৯৪৩' বা ম্যাডোনা-৪৩। এটি অংকন করেন বিখ্যাত। চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।
৫৯।. বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল বৈশিষ্ট্য কি?
উত্তর : বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল বৈশিষ্ট্য হলো সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়'। এই নীতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও সম্প্রীতির মনোভাব গড়ে তুলছে। ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন *পৃথিবীর সকল জাতির সাথে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাই আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা। কারণ একটি দরিদ্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল হবার কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন মতাদর্শ দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশ শুধু নিজেই সুখে থাকতে চায় না, বরং তারা সর্বদা অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে। তাদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চায়।
৬০। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী সাংবিধানিক পদ বলতে কী বুঝায়? চারটি সাংবিধানিক পদের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে যেসব পদের সংজ্ঞা, ক্ষমতা, কার্যবিধি ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে সেসব পদকে সাংবিধানিক পদ বলা হয়। এসব পদের মেয়াদ সাংবিধানিকভাবে নির্দিষ্ট থাকে। ফলে এসব পদের উপর সরকারি হস্তক্ষেপের সুযোগ কম থাকে।
বাংলাদেশের চারটি সাংবিধানিক পদ : ১. রাষ্ট্রপতি, ২. প্রধানমন্ত্রী, ৩. স্পিকার ও ৪ বিচারপতি।
৬১।. বাংলাদেশের মোট আয়তন কত? সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য কত? সবচেয়ে ছোট জেলার নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের মোট আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিমি বা ৫৬,৯৭৭ বর্গমাইল। এ দেশের সমুদ্র উপকূলের বা জলসীমার দৈর্ঘ্য ৭১১ কিমি। বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট জেলার নাম-নারায়ণগঞ্জ।
৬২। বিশ্বের কোন দুটি দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আছে? মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল? মুজিবনগর কোন সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
উত্তর : সমগ্র বিশ্বে মাত্র দুটি দেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র রয়েছে । দেশ দুটি হলো- ১. বাংলাদেশ ও ২. যুক্তরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সুষ্ঠভাবে যুদ্ধ পরিচালনার জন্যে সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। আর এ যুদ্ধে মুজিবনগর ছিল ৮নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত।
৬৩।. স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত তিনটি অনুষ্ঠানের নাম লিখুন।
উত্তর : স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র হলো বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বেতার সম্প্রচার কেন্দ্র। এ কেন্দ্র থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র থেকে প্রচারিত তিনটি অনুষ্ঠান হলো ১. চরমপত্র, ২, জল্লাদের দরবার ও ৩. বজ্রকণ্ঠ।
৬৪। ম্যাডোনা-৪৩ কী? কার তৈরি?
উত্তর : ১৯৪৩ সালের (বাংলা ১৩৫০ সাল) দুর্ভিক্ষের ওপর চিত্রিত একটি বিখ্যাত চিত্রকর্ম হলো 'ম্যাডোনা ১৯৪৩' বা ম্যাডোনা-৪৩। এটি অংকন করেন বিখ্যাত। চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।
৬৫। কার্টুন সিরিজ মীনা-এর নির্মাতা কে?
উত্তর : কার্টুন সিরিজ মীনা-এর নির্মাতা রাম মোহন।
৬৬।. তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে গার্মেন্টস শিল্পের ভূমিকা লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে গার্মেন্টস সেক্টরের ওপর। এদেশে প্রায় ৫ হাজার গার্মেন্টস কারখানা ৮. রয়েছে। আর এসব কারখানার শ্রমিকের ৮০ ভাগই নারী। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা আগে পরিবারের বোঝা হয়ে থাকত। দুর্দশা মেনে নিয়ে তারা নির্ভর করত স্বামী বা বাবার আয়ের ওপর। সেখানে তাদের অনেক লাঞ্ছনা ও নির্যাতন সহ্য করতে হতো।
উত্তর : কার্টুন সিরিজ মীনা-এর নির্মাতা রাম মোহন।
৬৬।. তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে গার্মেন্টস শিল্পের ভূমিকা লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে গার্মেন্টস সেক্টরের ওপর। এদেশে প্রায় ৫ হাজার গার্মেন্টস কারখানা ৮. রয়েছে। আর এসব কারখানার শ্রমিকের ৮০ ভাগই নারী। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা আগে পরিবারের বোঝা হয়ে থাকত। দুর্দশা মেনে নিয়ে তারা নির্ভর করত স্বামী বা বাবার আয়ের ওপর। সেখানে তাদের অনেক লাঞ্ছনা ও নির্যাতন সহ্য করতে হতো।
গার্মেন্টস শিল্পের প্রসারে তাদের সেই দিন বদলেছে। এখন তারাই আজ পরিবারের আয়ের উৎস। গার্মেন্টস সেক্টরে কাজের সুবাদে বাংলাদেশে নারীদের অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা বেড়েছে, হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও বেড়েছে তাদের স্বাধীনতা এবং গুরুত্ব। এখন তাদের মতামতকে পরিবারের বা সমাজের কেউ চাইলেই অগ্রাহ্য করতে। পারেনা। সুতরাং বলা যায় তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়নে গামেন্টেস শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম।
৬৭। সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বলতে কী বুঝায়? Digitalization-এর মাধ্যমে কিভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়?
উত্তর : স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হচ্ছে সুশাসনের প্রধান উপাদান। এটি সরকারের সদিচ্ছা ও আইনের শাসনের ওপর নির্ভর করে। আইন ও নীতি মান্য করে যখন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করা হয় তখন তাকে স্বচ্ছতা বলে। সর্বক্ষেত্রে সচ্ছতা নিশ্চিত হলে সহজেই সঠিক তথ্য পাওয়া যায় এবং দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যায়।
স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে Digitalization : স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি একদিকে যেমন কাজের উৎপাদনশীলতা বাড়ায় তেমনি অন্যদিকে সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনয়নে এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ডিজিটালাইজেশন একটি কার্যকর মাধ্যম। অনেকে ডিজিটালাইজেশনকে আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রগঠনের অন্যতম শর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া সব ধরনের হয়রানি বন্ধে কার্যকরী উপায়। এর মাধ্যমে ব্যয় ও সময় বাঁচে, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিত হয়।
৬৮। মন্ত্রিপরিষদ কাজের জন্য কার কাছে দায়ী?
উত্তর : মন্ত্রিপরিষদ কাজের জন্য দায়ী থাকে জাতীয় সংসদের কাছে।
৬৯।মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান কে?
উত্তর : মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান মাননীয় স্পিকার।
৭০। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইনজীবীকে কী বলা হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে সরকারের প্রধান আইনজীবীকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলা হয় ।
৭১। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল? সেক্টর উল্লেখপূর্বক যেকোনো ৫ (পাঁচ) জন সেক্টর কমান্ডারের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত করতে এবং যুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১১ জুলাই ১৯৭১ সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
সেক্টর উল্লেখপূর্বক ৫ জন সেক্টর কমান্ডারের নাম :
১ নম্বর সেক্টর— মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন)
২ নম্বর সেক্টর— মেজর কেএম খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)
৩ নম্বর সেক্টর— মেজর কেএম শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)
৪ নম্বর সেক্টর— মেজর সিআর (চিত্তরঞ্জন দত্ত
৬৭। সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বলতে কী বুঝায়? Digitalization-এর মাধ্যমে কিভাবে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়?
উত্তর : স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা হচ্ছে সুশাসনের প্রধান উপাদান। এটি সরকারের সদিচ্ছা ও আইনের শাসনের ওপর নির্ভর করে। আইন ও নীতি মান্য করে যখন কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন করা হয় তখন তাকে স্বচ্ছতা বলে। সর্বক্ষেত্রে সচ্ছতা নিশ্চিত হলে সহজেই সঠিক তথ্য পাওয়া যায় এবং দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যায়।
স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে Digitalization : স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে ডিজিটালাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি একদিকে যেমন কাজের উৎপাদনশীলতা বাড়ায় তেমনি অন্যদিকে সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনয়নে এবং দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ডিজিটালাইজেশন একটি কার্যকর মাধ্যম। অনেকে ডিজিটালাইজেশনকে আধুনিক উন্নত রাষ্ট্রগঠনের অন্যতম শর্ত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া সব ধরনের হয়রানি বন্ধে কার্যকরী উপায়। এর মাধ্যমে ব্যয় ও সময় বাঁচে, প্রশাসনিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও গতিশীলতা নিশ্চিত হয়।
৬৮। মন্ত্রিপরিষদ কাজের জন্য কার কাছে দায়ী?
উত্তর : মন্ত্রিপরিষদ কাজের জন্য দায়ী থাকে জাতীয় সংসদের কাছে।
৬৯।মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান কে?
উত্তর : মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে শপথ বাক্য পাঠ করান মাননীয় স্পিকার।
৭০। বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইনজীবীকে কী বলা হয়?
উত্তর : বাংলাদেশে সরকারের প্রধান আইনজীবীকে অ্যাটর্নি জেনারেল বলা হয় ।
৭১। মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল? সেক্টর উল্লেখপূর্বক যেকোনো ৫ (পাঁচ) জন সেক্টর কমান্ডারের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয় নিশ্চিত করতে এবং যুদ্ধ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ১১ জুলাই ১৯৭১ সমগ্র বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়।
সেক্টর উল্লেখপূর্বক ৫ জন সেক্টর কমান্ডারের নাম :
১ নম্বর সেক্টর— মেজর জিয়াউর রহমান (এপ্রিল-জুন)
২ নম্বর সেক্টর— মেজর কেএম খালেদ মোশাররফ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)
৩ নম্বর সেক্টর— মেজর কেএম শফিউল্লাহ (এপ্রিল-সেপ্টেম্বর)
৪ নম্বর সেক্টর— মেজর সিআর (চিত্তরঞ্জন দত্ত
৫ নম্বর সেক্টর— মেজর মীর শওকত আলী
৭২। . বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের জন্য কী কী দিক নির্দেশনা ছিল? সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে অবশ্যম্ভাবী স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি তার ১৮/১৯ মিনিটের ভাষণে একতা, নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য, যুদ্ধ কৌশল, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, শত্রুর মোকাবিলায় করণীয় প্রভৃতি বিষয়ে পূর্ব বাংলার মানুষকে বুদ্ধিদীপ্ত ও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলিষ্ঠ কণ্ঠে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। পরোক্ষ স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হওয়ার জাতির পিতা ও ঐতিহাসিক ভাষণে প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানান। পাকিস্তান সরকারকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে দেয়ার অনন্য কৌশল হিসেবে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বাংলার মানুষকে ট্যাক্স ও খাজনা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ করেন। দেশবাসীর করণীয় নির্ধারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাছারি, আদালত, ফৌজদারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। মোট কথা পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তির সব ধরনের রসদে সম্পূর্ণ ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ।
৭৩। কোথায় কিসের জন্য বিখ্যাত?
ক. সোনারগাঁ; খ. শালবন বিহার; গ. মহাস্থানগড়; ঘ. কান্তজীর মন্দির; ঙ. পাহাড়পুর।
ক. সোনারগাঁ : সোনারগাঁ বা সুবর্ণগ্রাম নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁ বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। এর মধ্যে অন্যতম হলো লোকশিল্প জাদুঘর, ঐতিহ্যবাহী মসলিন ও জামদানি কাপড় ইত্যাদি।
খ. শালবন বিহার : শালবন বিহার কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ির ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। শালবন বিহার প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ যা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে বিখ্যাত।
গ. মহাস্থানগড় : মহাস্থানগড় বগুড়া শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন নগর পুণ্ড্রবর্ধনের ধ্বংসাবশেষ এবং মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশের পুরাকীর্তির জন্য মহাস্থানগড় বিখ্যাত।
ঘ. কান্তজীর মন্দির :
দিনাজপুর শহর থেকে ১২ মাইল কান্ডনগরে কান্তজীর মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি হিন্দুধর্মের কান্ত বা কৃষ্ণের মন্দির হিসেবে খ্যাত, যা লৌকিক রাধা কৃষ্ণের ধর্মীয় প্রথা হিসেবে বাংলায় প্রচলিত।
ড. পাহাড়পুর : পাহাড়পুর নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার অন্তর্গত পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ তথা বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য পাহাড়পুর বিখ্যাত। এটি ইউনেস্কোর একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
৭৪।. বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সম্পর্কে লিখুন।
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ৮ম অনুচ্ছেদ থেকে ২৫তম অনুচ্ছেদ পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা রয়েছে। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা— এ চারটি বিষয়কে রাষ্ট্রের মৌলস্তম্ভ বা মৌলিক আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে আরো বলা হয় যে, অন্য মৌলিক নীতিগুলো উপরিউক্ত ৪টি আদর্শ থেকে উৎসারিত হবে। নিচে রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো :
১. জাতীয়তাবাদ : ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট যে বাঙালি জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, সেই জনগোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধতা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। (অনুচ্ছেদ ৯)
২. সমাজতন্ত্র মানুষের ওপর মানুষের শোষণ থেকে মুক্ত ন্যায়ানুগ সমাজ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হলো রাষ্ট্রের লক্ষ্য। (অনুচ্ছেদ ১০)
৩. গণতন্ত্র : বাংলাদেশ হবে একটি প্রজাতন্ত্র। এর রাজনৈতিক ব্যবস্থা হবে গণতান্ত্রিক। প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। (অনুচ্ছেদ ১১)
৪. ধর্মনিরপেক্ষতা: ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থ হলো সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার অবসান, রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা না দেয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার না করা এবং ধর্মের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বা নিপীড়নের অবসান। (অনুচ্ছেদ ১২)
৭৫। 'বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২০২০' সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার 'ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' নামে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এ মহাপরিকল্পনার কয়েকটি বৈশিষ্ট্যসূচক দিক নিচে তুলে ধরা হলো: রূপকল্প নিরাপদ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতসহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী দ্বীপ গড়ে তোলা। অভিলক্ষ্য (Mission) দৃঢ়, সমন্বিত ও সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল কার্যকরী কৌশল অবলম্বন এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ন্যায়সঙ্গত সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত এবং অন্যান্য ব-দ্বীপ সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলা করে দীর্ঘমেয়াদে পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পরিবেশগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ।
অভীষ্টসমূহ ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০'-এ উচ্চতর পর্যায়ের ৩টি জাতীয় অভীষ্ট এবং ব-দ্বীপ সংশ্লিষ্ট ৬টি নির্দিষ্ট অভীষ্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ব-দ্বীপ সংশ্লিষ্ট অভীষ্টসমূহ উচ্চতর পর্যায়ের অভীষ্ট অর্জনে অবদান রাখবে।
জাতীয় বা উচ্চ পর্যায়ের অভীষ্ট ।
অভীষ্ট-১ : ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ।
। অভীষ্ট-২ : ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন। । অভীষ্ট-৩ : ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জন।
নির্দিষ্ট অভীষ্টসমূহ
। অভীষ্ট-১ : বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপর্যয় থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
। অভীষ্ট-২ : পানি ব্যবহারে অধিকতর দক্ষতা ও নিরাপদ পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
। অভীষ্ট-৩ : সমন্বিত ও টেকসই নদী অঞ্চল এবং মোহনা ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
। অভীষ্ট-৪ : জলাভূমি এবং বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং তাদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
। অভীষ্ট-৫ : অন্তঃ ও আন্তঃদেশীয় পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর প্রতিষ্ঠান ও ন্যায়সঙ্গত সুশাসন গড়ে তোলা। । অভীষ্ট-৬ : ভূমি ও পানি সম্পদের সর্বোত্তম সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৭৬। মৌলিক অধিকার কী? বাংলাদেশের সংবিধানের কোন ভাগে মৌলিক অধিকারের বর্ণনা আছে? মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকারের বিষয়ে সংবিধানে কী ব্যবস্থা রয়েছে? লিখুন।
উত্তর : যখন কতিপয় মানবাধিকারকে কোনো দেশের সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং সাংবিধানিক নিশ্চয়তা প্রদান করা হয় তখন তাদেরকে মৌলিক অধিকার বলে। অর্থাৎ মৌলিক অধিকার হলো মানবাধিকারের অংশ। বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারের বর্ণনা আছে ।
মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকারের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ৪৪নং অনুচ্ছেদ সাপেক্ষে ১০২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির রিট আবেদন করার অধিকারের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
৭৭। লেখক/রচয়িতা কিংবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিচালকের নামসহ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখিত/নির্মিত তিনটি বই কিংবা চলচ্চিত্রের নাম লিখুন।
৭২। . বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের জন্য কী কী দিক নির্দেশনা ছিল? সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে অবশ্যম্ভাবী স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি তার ১৮/১৯ মিনিটের ভাষণে একতা, নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য, যুদ্ধ কৌশল, প্রশাসনিক প্রস্তুতি, শত্রুর মোকাবিলায় করণীয় প্রভৃতি বিষয়ে পূর্ব বাংলার মানুষকে বুদ্ধিদীপ্ত ও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলিষ্ঠ কণ্ঠে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে নির্দেশ দেন। পরোক্ষ স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হওয়ার জাতির পিতা ও ঐতিহাসিক ভাষণে প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের আহ্বান জানান। পাকিস্তান সরকারকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে দেয়ার অনন্য কৌশল হিসেবে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বাংলার মানুষকে ট্যাক্স ও খাজনা বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ করেন। দেশবাসীর করণীয় নির্ধারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আজ থেকে এই বাংলাদেশে কোর্ট-কাছারি, আদালত, ফৌজদারি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। মোট কথা পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়ন থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তির সব ধরনের রসদে সম্পূর্ণ ছিল বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ।
৭৩। কোথায় কিসের জন্য বিখ্যাত?
ক. সোনারগাঁ; খ. শালবন বিহার; গ. মহাস্থানগড়; ঘ. কান্তজীর মন্দির; ঙ. পাহাড়পুর।
ক. সোনারগাঁ : সোনারগাঁ বা সুবর্ণগ্রাম নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁ বিভিন্ন কারণে বিখ্যাত। এর মধ্যে অন্যতম হলো লোকশিল্প জাদুঘর, ঐতিহ্যবাহী মসলিন ও জামদানি কাপড় ইত্যাদি।
খ. শালবন বিহার : শালবন বিহার কুমিল্লা জেলার কোটবাড়ির ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। শালবন বিহার প্রাচীন বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ যা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান হিসেবে বিখ্যাত।
গ. মহাস্থানগড় : মহাস্থানগড় বগুড়া শহর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন নগর পুণ্ড্রবর্ধনের ধ্বংসাবশেষ এবং মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশের পুরাকীর্তির জন্য মহাস্থানগড় বিখ্যাত।
ঘ. কান্তজীর মন্দির :
দিনাজপুর শহর থেকে ১২ মাইল কান্ডনগরে কান্তজীর মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি হিন্দুধর্মের কান্ত বা কৃষ্ণের মন্দির হিসেবে খ্যাত, যা লৌকিক রাধা কৃষ্ণের ধর্মীয় প্রথা হিসেবে বাংলায় প্রচলিত।
ড. পাহাড়পুর : পাহাড়পুর নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার অন্তর্গত পাহাড়পুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ তথা বৌদ্ধ মন্দিরের জন্য পাহাড়পুর বিখ্যাত। এটি ইউনেস্কোর একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট।
৭৪।. বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সম্পর্কে লিখুন।
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ৮ম অনুচ্ছেদ থেকে ২৫তম অনুচ্ছেদ পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি সম্পর্কে ব্যাখ্যা রয়েছে। জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা— এ চারটি বিষয়কে রাষ্ট্রের মৌলস্তম্ভ বা মৌলিক আদর্শ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে আরো বলা হয় যে, অন্য মৌলিক নীতিগুলো উপরিউক্ত ৪টি আদর্শ থেকে উৎসারিত হবে। নিচে রাষ্ট্র পরিচালনার চারটি মূলনীতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হলো :
১. জাতীয়তাবাদ : ভাষাগত এবং সংস্কৃতিগত একক সত্তাবিশিষ্ট যে বাঙালি জনগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, সেই জনগোষ্ঠীর ঐক্যবদ্ধতা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি। (অনুচ্ছেদ ৯)
২. সমাজতন্ত্র মানুষের ওপর মানুষের শোষণ থেকে মুক্ত ন্যায়ানুগ সমাজ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হলো রাষ্ট্রের লক্ষ্য। (অনুচ্ছেদ ১০)
৩. গণতন্ত্র : বাংলাদেশ হবে একটি প্রজাতন্ত্র। এর রাজনৈতিক ব্যবস্থা হবে গণতান্ত্রিক। প্রশাসনের সকল পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। (অনুচ্ছেদ ১১)
৪. ধর্মনিরপেক্ষতা: ধর্মনিরপেক্ষতা অর্থ হলো সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার অবসান, রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা না দেয়া, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মকে ব্যবহার না করা এবং ধর্মের ভিত্তিতে কোনো ব্যক্তির প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বা নিপীড়নের অবসান। (অনুচ্ছেদ ১২)
৭৫। 'বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২০২০' সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার 'ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' নামে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এ মহাপরিকল্পনার কয়েকটি বৈশিষ্ট্যসূচক দিক নিচে তুলে ধরা হলো: রূপকল্প নিরাপদ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতসহিষ্ণু সমৃদ্ধশালী দ্বীপ গড়ে তোলা। অভিলক্ষ্য (Mission) দৃঢ়, সমন্বিত ও সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল কার্যকরী কৌশল অবলম্বন এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ন্যায়সঙ্গত সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত এবং অন্যান্য ব-দ্বীপ সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবিলা করে দীর্ঘমেয়াদে পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও পরিবেশগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণ।
অভীষ্টসমূহ ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০'-এ উচ্চতর পর্যায়ের ৩টি জাতীয় অভীষ্ট এবং ব-দ্বীপ সংশ্লিষ্ট ৬টি নির্দিষ্ট অভীষ্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। ব-দ্বীপ সংশ্লিষ্ট অভীষ্টসমূহ উচ্চতর পর্যায়ের অভীষ্ট অর্জনে অবদান রাখবে।
জাতীয় বা উচ্চ পর্যায়ের অভীষ্ট ।
অভীষ্ট-১ : ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ।
। অভীষ্ট-২ : ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন। । অভীষ্ট-৩ : ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জন।
নির্দিষ্ট অভীষ্টসমূহ
। অভীষ্ট-১ : বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপর্যয় থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
। অভীষ্ট-২ : পানি ব্যবহারে অধিকতর দক্ষতা ও নিরাপদ পানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
। অভীষ্ট-৩ : সমন্বিত ও টেকসই নদী অঞ্চল এবং মোহনা ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা।
। অভীষ্ট-৪ : জলাভূমি এবং বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং তাদের যথোপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
। অভীষ্ট-৫ : অন্তঃ ও আন্তঃদেশীয় পানিসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর প্রতিষ্ঠান ও ন্যায়সঙ্গত সুশাসন গড়ে তোলা। । অভীষ্ট-৬ : ভূমি ও পানি সম্পদের সর্বোত্তম সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করা।
৭৬। মৌলিক অধিকার কী? বাংলাদেশের সংবিধানের কোন ভাগে মৌলিক অধিকারের বর্ণনা আছে? মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকারের বিষয়ে সংবিধানে কী ব্যবস্থা রয়েছে? লিখুন।
উত্তর : যখন কতিপয় মানবাধিকারকে কোনো দেশের সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং সাংবিধানিক নিশ্চয়তা প্রদান করা হয় তখন তাদেরকে মৌলিক অধিকার বলে। অর্থাৎ মৌলিক অধিকার হলো মানবাধিকারের অংশ। বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকারের বর্ণনা আছে ।
মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকারের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ৪৪নং অনুচ্ছেদ সাপেক্ষে ১০২নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির রিট আবেদন করার অধিকারের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
৭৭। লেখক/রচয়িতা কিংবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিচালকের নামসহ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখিত/নির্মিত তিনটি বই কিংবা চলচ্চিত্রের নাম লিখুন।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের উপর লিখিত ৩টি বই হলো :
১. রাইফেল রোটি আওরাত-আনোয়ার পাশা
২. জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প-হুমায়ূন আহমেদ
৩. জলাঙ্গী-শওকত ওসমান
অথবা
চলচ্চিত্র
১. আগামী-মোরশেদুল ইসলাম
২. গেরিলা-নাসির উদ্দীন ইউসুফ
৩. ওরা ১১ জন-চাষী নজরুল ইসলাম
৭৮। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের নামসহ উহাদের প্রধানের পদবি উল্লেখ করুন।
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গের নামসহ উহাদের প্রধানের পদবি নিচে দেয়া হলো :
বিভাগ
১. শাসন বিভাগ ২. আইন বিভাগ ৩. বিচার বিভাগ
প্রধানের পদবি
রাষ্ট্রপতি
স্পিকার
প্রধান বিচারপতি
৭৯। বাংলাদেশের তিনটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার নাম ও অবস্থান সম্পর্কে লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের তিনটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার নাম ও অবস্থান নিচে দেয়া হলো :
অবস্থান এলাকার নাম ১. সুন্দরবন সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট জেলা ২. সেন্টমার্টিন দ্বীপ টেকনাফ, কক্সবাজার ৩. টাঙ্গুয়ার হাওড় সুনামগঞ্জ
৮০। স্থানীয় সরকার কী? বাংলাদেশের দুটি স্থানীয় সরকারের পরিচয় বর্ণনা করুন।
উত্তর : স্থানীয় সরকার বলতে কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সেই এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসনকে বুঝায়, যা কেন্দ্রীয় সরকারেরই একটি সম্প্রসারিত অংশ। বাংলাদেশের দুটি স্থানীয় সরকারের পরিচয় নিচে দেয়া হলো :
ক. উপজেলা পরিষদ : জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান, একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান, একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য (যদি থাকে) এবং উপজেলাধীন প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র (যদি থাকে) উপজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও-কে নিয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত। উপজেলা পরিষদের মেয়াদকাল হবে দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছর। উপজেলা পরিষদের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে প্রশাসন ও সংস্থাপন বিষয়াদি পরিচালনা, জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং জনকল্যাণমূলক কার্য সম্পর্কিত সেবা প্রদান।
খ. সিটি কর্পোরেশন : বাংলাদেশের মহানগরগুলোর স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক যা গঠিত হয় নির্বাচিত ও মনোনীত সদস্যদের নিয়ে। সিটি কর্পোরেশনের সদস্যদের বলা হয় কাউন্সিলর, প্রধানকে বলা হয় মেয়র, মেয়াদকাল ৫ বছর। সিটি কর্পোরেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের অন্যতম হচ্ছে মহানগরের জনজীবনের শ্রীবৃদ্ধি করা, মহানগরের জনগণের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং মহানগরে শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো ।
৮১। বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের সমস্যারোধে তিনটি উপায় সম্পর্কে লিখুন।
উত্তর : চামড়া শিল্প দীর্ঘকাল ধরেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ও রপ্তানির জন্য চামড়া এবং চামড়াজাত সামগ্রী উৎপাদন করে আসছে। চামড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রপ্তানি পণ্য। বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের সমস্যারোধে তিনটি উপায় আলোচনা করা হলো :
ক. চামড়া ব্যবসায়ীদের সহজশর্তে ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
খ. চর্মশ্রমিকদের জন্য কারখানার পরিবেশ স্বাস্থ্যকর, যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করতে হবে।
গ. বায়ারস ইনসেনটিভ হিসেবে আমদানি মূল্যের উপর ভিত্তি করে ফ্লাইট কষ্ট ও হোটেলভাড়ার ওপর থেকে ১০-২৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক ঘোষণা করা।
৮২। বাংলাদেশের ডেল্টাপ্ল্যান সম্পর্কে লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ হলো একক, দীর্ঘমেয়াদি এবং সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর উল্লেখযোগ্য পটভূমি হচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব হ্রাস করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনায় রেখে কৃষি, পানি সম্পদ, ভূমিব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন, শিল্প, বনায়ন মৎস্য সম্পদ ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব প্রদান পূর্বক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পানি সম্পদের সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক উন্নতিকে ত্বরান্বিত করতে দীর্ঘমেয়াদি (৫০-১০০ বছর) যে কর্মকৌশল বাংলাদেশ সরকার হাতে নিয়েছে তাই বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সরকার 'ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' প্রণয়ন করেছে।'
এ মহাপরিকল্পনার আওতায় প্রথম ধাপে ২০২১-২০৩০ সালের কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে ২০৩১ সালে এবং শেষ হবে ২০৫০ সালে। তৃতীয় বা শেষ ধাপের কাজ শুরু হবে ২০৫১ সালে এবং শেষ হবে। ২১০০ সালে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা জিডিপির আড়াই শতাংশ। এ মহাপরিকল্পনায় ৮০ টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, যার মধ্যে ২৭টি প্রকল্প সরকার এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর ৩টি অভীষ্টের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো :
ক. ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ; খ. এই সময়ের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং গ. ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জন ।
৮৩। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে বাংলাদেশ নাম ঘোষণা করেছিলেন? কবে তিনি 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নাম ঘোষণা করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ রেসকোর্স ময়দানের গণসংবর্ধনায় শেখ মুজিবুর রহমানকে তৎকালীন ছাত্র নেতা তোফায়েল আহমদ বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন।
৮৪। জাতির পিতা ঘোষিত ছয়দফা কী নামে পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিল? এই দফাগুলোর অন্ততপক্ষে দুইটি দফা উল্লেখ করুন ।
উত্তর : জাতির পিতা ঘোষিত ছয়দফা কর্মসূচি 'ছয় দফা : আমাদের বাঁচার দাবি' নামে একটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।
ছয় দফার দুটি দফা :
ii. ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র রচনা করে পাকিস্তানকে একটি সত্যিকারের ফেডারেশন বা যুক্তরাষ্ট্ররূপে গড়তে হবে। এতে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং আইন সভাগুলো হবে সার্বভৌম। সকল নির্বাচন সর্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কদের সরাসরি ভোটে অনুষ্ঠিত হবে।
১. রাইফেল রোটি আওরাত-আনোয়ার পাশা
২. জ্যোৎস্না ও জননীর গল্প-হুমায়ূন আহমেদ
৩. জলাঙ্গী-শওকত ওসমান
অথবা
চলচ্চিত্র
১. আগামী-মোরশেদুল ইসলাম
২. গেরিলা-নাসির উদ্দীন ইউসুফ
৩. ওরা ১১ জন-চাষী নজরুল ইসলাম
৭৮। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের নামসহ উহাদের প্রধানের পদবি উল্লেখ করুন।
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের ৩টি অঙ্গের নামসহ উহাদের প্রধানের পদবি নিচে দেয়া হলো :
বিভাগ
১. শাসন বিভাগ ২. আইন বিভাগ ৩. বিচার বিভাগ
প্রধানের পদবি
রাষ্ট্রপতি
স্পিকার
প্রধান বিচারপতি
৭৯। বাংলাদেশের তিনটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার নাম ও অবস্থান সম্পর্কে লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের তিনটি প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার নাম ও অবস্থান নিচে দেয়া হলো :
অবস্থান এলাকার নাম ১. সুন্দরবন সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট জেলা ২. সেন্টমার্টিন দ্বীপ টেকনাফ, কক্সবাজার ৩. টাঙ্গুয়ার হাওড় সুনামগঞ্জ
৮০। স্থানীয় সরকার কী? বাংলাদেশের দুটি স্থানীয় সরকারের পরিচয় বর্ণনা করুন।
উত্তর : স্থানীয় সরকার বলতে কোনো একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সেই এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের শাসনকে বুঝায়, যা কেন্দ্রীয় সরকারেরই একটি সম্প্রসারিত অংশ। বাংলাদেশের দুটি স্থানীয় সরকারের পরিচয় নিচে দেয়া হলো :
ক. উপজেলা পরিষদ : জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন চেয়ারম্যান, একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান, একজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য (যদি থাকে) এবং উপজেলাধীন প্রত্যেক ইউপি চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র (যদি থাকে) উপজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও-কে নিয়ে উপজেলা পরিষদ গঠিত। উপজেলা পরিষদের মেয়াদকাল হবে দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ থেকে পরবর্তী ৫ বছর। উপজেলা পরিষদের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে প্রশাসন ও সংস্থাপন বিষয়াদি পরিচালনা, জনশৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং জনকল্যাণমূলক কার্য সম্পর্কিত সেবা প্রদান।
খ. সিটি কর্পোরেশন : বাংলাদেশের মহানগরগুলোর স্বায়ত্তশাসন ব্যবস্থার একক যা গঠিত হয় নির্বাচিত ও মনোনীত সদস্যদের নিয়ে। সিটি কর্পোরেশনের সদস্যদের বলা হয় কাউন্সিলর, প্রধানকে বলা হয় মেয়র, মেয়াদকাল ৫ বছর। সিটি কর্পোরেশনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের অন্যতম হচ্ছে মহানগরের জনজীবনের শ্রীবৃদ্ধি করা, মহানগরের জনগণের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং মহানগরে শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসার ঘটানো ।
৮১। বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের সমস্যারোধে তিনটি উপায় সম্পর্কে লিখুন।
উত্তর : চামড়া শিল্প দীর্ঘকাল ধরেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ও রপ্তানির জন্য চামড়া এবং চামড়াজাত সামগ্রী উৎপাদন করে আসছে। চামড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রপ্তানি পণ্য। বাংলাদেশের চামড়া শিল্পের সমস্যারোধে তিনটি উপায় আলোচনা করা হলো :
ক. চামড়া ব্যবসায়ীদের সহজশর্তে ঋণদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
খ. চর্মশ্রমিকদের জন্য কারখানার পরিবেশ স্বাস্থ্যকর, যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করতে হবে।
গ. বায়ারস ইনসেনটিভ হিসেবে আমদানি মূল্যের উপর ভিত্তি করে ফ্লাইট কষ্ট ও হোটেলভাড়ার ওপর থেকে ১০-২৫ শতাংশ ক্যাশব্যাক ঘোষণা করা।
৮২। বাংলাদেশের ডেল্টাপ্ল্যান সম্পর্কে লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ হলো একক, দীর্ঘমেয়াদি এবং সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা। ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর উল্লেখযোগ্য পটভূমি হচ্ছে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব হ্রাস করে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিবেচনায় রেখে কৃষি, পানি সম্পদ, ভূমিব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন, শিল্প, বনায়ন মৎস্য সম্পদ ইত্যাদি বিষয়কে গুরুত্ব প্রদান পূর্বক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পানি সম্পদের সুষ্ঠু ও টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে এবং সমন্বিত অর্থনৈতিক উন্নতিকে ত্বরান্বিত করতে দীর্ঘমেয়াদি (৫০-১০০ বছর) যে কর্মকৌশল বাংলাদেশ সরকার হাতে নিয়েছে তাই বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সরকার 'ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' প্রণয়ন করেছে।'
এ মহাপরিকল্পনার আওতায় প্রথম ধাপে ২০২১-২০৩০ সালের কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়। দ্বিতীয় ধাপের কাজ শুরু হবে ২০৩১ সালে এবং শেষ হবে ২০৫০ সালে। তৃতীয় বা শেষ ধাপের কাজ শুরু হবে ২০৫১ সালে এবং শেষ হবে। ২১০০ সালে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা জিডিপির আড়াই শতাংশ। এ মহাপরিকল্পনায় ৮০ টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে, যার মধ্যে ২৭টি প্রকল্প সরকার এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর ৩টি অভীষ্টের কথা উল্লেখ করেন। সেগুলো হলো :
ক. ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ; খ. এই সময়ের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন এবং গ. ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা অর্জন ।
৮৩। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবে বাংলাদেশ নাম ঘোষণা করেছিলেন? কবে তিনি 'বঙ্গবন্ধু' উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন?
উত্তর : ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ নাম ঘোষণা করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ রেসকোর্স ময়দানের গণসংবর্ধনায় শেখ মুজিবুর রহমানকে তৎকালীন ছাত্র নেতা তোফায়েল আহমদ বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করেন।
৮৪। জাতির পিতা ঘোষিত ছয়দফা কী নামে পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিল? এই দফাগুলোর অন্ততপক্ষে দুইটি দফা উল্লেখ করুন ।
উত্তর : জাতির পিতা ঘোষিত ছয়দফা কর্মসূচি 'ছয় দফা : আমাদের বাঁচার দাবি' নামে একটি পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিল।
ছয় দফার দুটি দফা :
ii. ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র রচনা করে পাকিস্তানকে একটি সত্যিকারের ফেডারেশন বা যুক্তরাষ্ট্ররূপে গড়তে হবে। এতে পার্লামেন্টারি পদ্ধতির সরকার থাকবে এবং আইন সভাগুলো হবে সার্বভৌম। সকল নির্বাচন সর্বজনীন প্রাপ্ত বয়স্কদের সরাসরি ভোটে অনুষ্ঠিত হবে।
ii. কেন্দ্রীয় বা ফেডারেল সরকারের এখতিয়ারে কেবল দেশ রক্ষা ও পররাষ্ট্র এ দুটি বিষয় থাকবে। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে।
৮৫। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান? এরূপ আরও একটি প্রতিষ্ঠানের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। সংবিধানের ১৩৭ অনুচ্ছেদের আলোকে এটি প্রতিষ্ঠিত। এরকম আরেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলো নির্বাচন কমিশন।
৮৬ লেখকের নামসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় লেখা যে কোনো তিনটি গ্রন্থের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত তিনটি গ্রন্থ :
গ্রন্থ
১. আগুনের পরশমণি
হুমায়ূন আহমেদ
২. জাহান্নাম হইতে বিদায়
উত্তর : বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা। সংবিধানের ১৩৭ অনুচ্ছেদের আলোকে এটি প্রতিষ্ঠিত। এরকম আরেকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলো নির্বাচন কমিশন।
৮৬ লেখকের নামসহ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় লেখা যে কোনো তিনটি গ্রন্থের নাম লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত তিনটি গ্রন্থ :
গ্রন্থ
১. আগুনের পরশমণি
হুমায়ূন আহমেদ
২. জাহান্নাম হইতে বিদায়
শওকত ওসমান
৩. নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি
সেলিনা হোসেন
৮৭। বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা কে? এই সঙ্গীতটির প্রথম স্তবক লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। রণসঙ্গীতের প্রথম স্তবক :
চল্ চল্ চল্ ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চলরে চলরে চল চল্ চল্ চল্।।
৮৮।'সকল নাগরিক সমান' এ কথাটি বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে? বাংলাদেশের সংবিধান মোট কতবার সংশোধন করা হয়েছে?
উত্তর : 'সকল নাগরিক সমান' এ কথাটি বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে। এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে— 'সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।'
বাংলাদেশের সংবিধান এ পর্যন্ত (মার্চ ২০২১) মোট ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে।
৮৯। শব্দের তীব্রতামাপক যন্ত্রের নাম কী? পানিতে শব্দের বেগ বায়ুর তুলনায় কতগুণ বেশি?
উত্তর : শব্দের তীব্রতামাপক যন্ত্রের নাম অডিওমিটার। পানিতে শব্দের বেগ প্রায় ১৪৯৩ মি/সে., যা বাতাসে শব্দের বেগ প্রায় ৩৩০ মি/সে.-এর তুলনায় প্রায় ৪.৫ গুণ বেশি।
৯০। আকাশ মেঘলা থাকলে বেশি গরম অনুভূত হয় কেন?
উত্তর : আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভূপৃষ্ঠের বিকীর্ণ তাপ আকাশে উঠে যায় ৷ ফলে ভূপৃষ্ঠ শীতল হয়ে পড়ে। কিন্তু মেঘ তাপের অপরিবাহী এবং তা তাপ বিকিরণে বাধা দেয়। তাই আকাশ মেঘলা থাকলে ভূপৃষ্ঠের বিকীর্ণ তাপ এর আশে পাশেই থেকে যায় । ফলে ভ্যাপসা গরম লাগে।
৯১। মাছ কিসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়? ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোন গ্রন্থি থেকে?
উত্তর : মাছ ফুলকার মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালায়। ইনসুলিন একটি হরমোন, যা অগ্ন্যাশয়ের মাঝে অবস্থিত 'আইলেটস্ অফ ল্যাংগারহ্যানস’ থেকে নিঃসরণ হয়।
৯২। বাংলাদেশের সংবিধান কবে থেকে চালু হয়? সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ এবং কয়টি তফসিল রয়েছে? কে সংবিধান সংশোধন করতে পারে?
উত্তর : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান চালু বা কার্যকর হয়। এ সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৭টি তফসিল রয়েছে। সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে জাতীয় সংসদ সংবিধান সংশোধন করতে পারবে।
৩. নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি
সেলিনা হোসেন
৮৭। বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা কে? এই সঙ্গীতটির প্রথম স্তবক লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। রণসঙ্গীতের প্রথম স্তবক :
চল্ চল্ চল্ ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল,
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চলরে চলরে চল চল্ চল্ চল্।।
৮৮।'সকল নাগরিক সমান' এ কথাটি বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে? বাংলাদেশের সংবিধান মোট কতবার সংশোধন করা হয়েছে?
উত্তর : 'সকল নাগরিক সমান' এ কথাটি বাংলাদেশ সংবিধানের ২৭ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে। এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে— 'সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।'
বাংলাদেশের সংবিধান এ পর্যন্ত (মার্চ ২০২১) মোট ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে।
৮৯। শব্দের তীব্রতামাপক যন্ত্রের নাম কী? পানিতে শব্দের বেগ বায়ুর তুলনায় কতগুণ বেশি?
উত্তর : শব্দের তীব্রতামাপক যন্ত্রের নাম অডিওমিটার। পানিতে শব্দের বেগ প্রায় ১৪৯৩ মি/সে., যা বাতাসে শব্দের বেগ প্রায় ৩৩০ মি/সে.-এর তুলনায় প্রায় ৪.৫ গুণ বেশি।
৯০। আকাশ মেঘলা থাকলে বেশি গরম অনুভূত হয় কেন?
উত্তর : আকাশ পরিষ্কার থাকলে ভূপৃষ্ঠের বিকীর্ণ তাপ আকাশে উঠে যায় ৷ ফলে ভূপৃষ্ঠ শীতল হয়ে পড়ে। কিন্তু মেঘ তাপের অপরিবাহী এবং তা তাপ বিকিরণে বাধা দেয়। তাই আকাশ মেঘলা থাকলে ভূপৃষ্ঠের বিকীর্ণ তাপ এর আশে পাশেই থেকে যায় । ফলে ভ্যাপসা গরম লাগে।
৯১। মাছ কিসের সাহায্যে শ্বাসকার্য চালায়? ইনসুলিন নিঃসৃত হয় কোন গ্রন্থি থেকে?
উত্তর : মাছ ফুলকার মাধ্যমে শ্বাসকার্য চালায়। ইনসুলিন একটি হরমোন, যা অগ্ন্যাশয়ের মাঝে অবস্থিত 'আইলেটস্ অফ ল্যাংগারহ্যানস’ থেকে নিঃসরণ হয়।
৯২। বাংলাদেশের সংবিধান কবে থেকে চালু হয়? সংবিধানে কয়টি অনুচ্ছেদ এবং কয়টি তফসিল রয়েছে? কে সংবিধান সংশোধন করতে পারে?
উত্তর : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান চালু বা কার্যকর হয়। এ সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৭টি তফসিল রয়েছে। সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে জাতীয় সংসদ সংবিধান সংশোধন করতে পারবে।
৯৩। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের রূপরেখা বর্ণনা করুন।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায়' গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। এ সময় এ স্থানের নতুন নামকরণ হয় মুজিবনগর। তাই এ বিপ্লবী সরকারকে মুজিবনগর সরকার' বলে আখ্যায়িত করা হয়। এ সরকারে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত করা হয় এবং তার অনুপস্থিতিতে সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার অর্পিত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলামের ওপর। তার নেতৃত্বে বিপ্লবী সরকারের অন্য দপ্তরগুলো নিম্নরূপ :
প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দীন আহমদ, পররাষ্ট্র দপ্তর : খোন্দকার মোশতাক আহমেদ, অর্থ দপ্তর : ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্র দপ্তর : এ এইচ এম কামারুজ্জামান। পরে এম এ জি ওসমানীকে করা হয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। এছাড়া এই বিপ্লবী সরকারকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়ার জন্যই গঠিত হয় ৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ। এতে ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাপ (মোজাফফর), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও কংগ্রেসের একজন করে যথাক্রমে আবদুল হামিদ খান ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, কমরেড মণি সিং, শ্রী মনোরঞ্জন ধর এবং আওয়ামী লীগের ৪ জন সদস্য নিয়ে মোট ৮ সদস্যবিশিষ্ট এ পরিষদ গঠিত হয়। উপদেষ্টা পরিষদ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিপ্লবী সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেন এবং নীতি নির্ধারণে সহায়তা করতেন।
৯৪। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে সরকারের প্রধান উৎস কী কী? এই সম্পদ আহরণের দায়িত্ব কোন সংস্থার উপর অর্পিত?
উত্তর : বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে সরকারের প্রধান উৎসগুলো দুইভাগে বিভক্ত। যথা— ১. কর রাজস্ব ও ২. কর বহির্ভূত রাজস্ব।
১. কর রাজস্ব : এটি সরকারি আয়ের প্রধান উৎস এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ এই দুই ধরনের করের সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশের মোট প্রাপ্ত রাজস্বের ৯০% এর বেশি কর রাজস্ব।
২. কর বহির্ভূত রাজস্ব : কর বহির্ভূত রাজস্বের মধ্যে রয়েছে ফি, মাসুল, টোল ইত্যাদি। মোট রাজস্ব আয়ে এর অবদান ১০% এর কম। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের দায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপর ন্যস্ত।
৯৫। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কে প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন? সেই বাজেটে কত টাকার আয়ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল? ট্যারিফ কী?
উত্তর : স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকারের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন সংসদে উত্থাপিত সেই বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সেই বাজেটকে উন্নয়ন, পুনঃনির্মাণ এবং পুনর্বাসন বাজেট বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই বাজেটে রাজস্ব খাতে উদ্বৃত্ত ছিল ৬৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায়' গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়। এ সময় এ স্থানের নতুন নামকরণ হয় মুজিবনগর। তাই এ বিপ্লবী সরকারকে মুজিবনগর সরকার' বলে আখ্যায়িত করা হয়। এ সরকারে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত করা হয় এবং তার অনুপস্থিতিতে সরকারপ্রধানের দায়িত্বভার অর্পিত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলামের ওপর। তার নেতৃত্বে বিপ্লবী সরকারের অন্য দপ্তরগুলো নিম্নরূপ :
প্রধানমন্ত্রী : তাজউদ্দীন আহমদ, পররাষ্ট্র দপ্তর : খোন্দকার মোশতাক আহমেদ, অর্থ দপ্তর : ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী, স্বরাষ্ট্র দপ্তর : এ এইচ এম কামারুজ্জামান। পরে এম এ জি ওসমানীকে করা হয় দেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী। এছাড়া এই বিপ্লবী সরকারকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেয়ার জন্যই গঠিত হয় ৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ। এতে ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাপ (মোজাফফর), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ও কংগ্রেসের একজন করে যথাক্রমে আবদুল হামিদ খান ভাসানী, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, কমরেড মণি সিং, শ্রী মনোরঞ্জন ধর এবং আওয়ামী লীগের ৪ জন সদস্য নিয়ে মোট ৮ সদস্যবিশিষ্ট এ পরিষদ গঠিত হয়। উপদেষ্টা পরিষদ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বিপ্লবী সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতেন এবং নীতি নির্ধারণে সহায়তা করতেন।
৯৪। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে সরকারের প্রধান উৎস কী কী? এই সম্পদ আহরণের দায়িত্ব কোন সংস্থার উপর অর্পিত?
উত্তর : বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণে সরকারের প্রধান উৎসগুলো দুইভাগে বিভক্ত। যথা— ১. কর রাজস্ব ও ২. কর বহির্ভূত রাজস্ব।
১. কর রাজস্ব : এটি সরকারি আয়ের প্রধান উৎস এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ এই দুই ধরনের করের সমন্বয়ে গঠিত। বাংলাদেশের মোট প্রাপ্ত রাজস্বের ৯০% এর বেশি কর রাজস্ব।
২. কর বহির্ভূত রাজস্ব : কর বহির্ভূত রাজস্বের মধ্যে রয়েছে ফি, মাসুল, টোল ইত্যাদি। মোট রাজস্ব আয়ে এর অবদান ১০% এর কম। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের দায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপর ন্যস্ত।
৯৫। স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে কে প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন? সেই বাজেটে কত টাকার আয়ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল? ট্যারিফ কী?
উত্তর : স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে প্রথম বাজেট পেশ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকারের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। ১৯৭২ সালের ৩০ জুন সংসদে উত্থাপিত সেই বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সেই বাজেটকে উন্নয়ন, পুনঃনির্মাণ এবং পুনর্বাসন বাজেট বলে উল্লেখ করেছিলেন। সেই বাজেটে রাজস্ব খাতে উদ্বৃত্ত ছিল ৬৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
ট্যারিফ : কোনো আমদানি বা রপ্তানিজাত দ্রব্যের আমদানি রপ্তানি শুল্কই হচ্ছে ট্যারিফ। অর্থাৎ, আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করকে ট্যারিফ বলে। রাজস্ব বৃদ্ধি অথবা দেশীয় শিল্পকে রক্ষার জন্য ট্যারিফ কার্যকর করা হয়।
৯৬। ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর' সম্মন্ধে টীকা লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হলো পায়রা সমুদ্র বন্দর। এটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ চ্যানেলে অবস্থিত। ২০১৬ সালে এ বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমুদ্র বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ৯৫% হয়ে থাকে সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে। দেশে উন্নয়নের সাথে সাথে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় পায়রা বন্দর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া এ বন্দরে বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে, ফলে পণ্যের খরচ কম হবে। তাই যত দ্রুত পায়রা বন্দরকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তোলা হবে তত দ্রুত এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থা ও দেশের উন্নয়ন ঘটবে। পদ্মাসেতুর সাথে পায়রা বন্দরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হলে রাজধানীর সাথে এ বন্দরের মালামাল পরিবহন আরো সহজ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়রা বন্দরকে ঘিরে এ অঞ্চলে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে তাতে এ অঞ্চলের মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থনীতি মজবুত হবে। এভাবেই আগামী দিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পায়রা বন্দর বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
৯৭। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? এই রাজনৈতিক জোটে কোন কোন রাজনৈতিক দল অন্তর্ভুক্ত ছিল?
উত্তর : ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক।
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর সমমনা চারটি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। এগুলো হলো—
১. আওয়ামী মুসলিম লীগ (মওলানা ভাসানী),
২. কৃষক শ্রমিক পার্টি (একে ফজলুল হক),
৩. নেজাম-এ ইসলাম (মওলানা আতাহার আলী) ও
৪. বামপন্থী গণতন্ত্রী দল (হাজী দানেশ)।
৯৮।বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত দুটি করে বিখ্যাত কবিতার নাম উল্লেখ করুন।
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত দুটি বিখ্যাত কবিতা— ১. সোনার তরী ও ২. দুই বিঘা জমি। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন রচিত দুটি বিখ্যাত কবিতা— ১. কবর ও ২. নিমন্ত্রণ।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত দুটি বিখ্যাত কবিতা : ১. বিদ্রোহী ও ২. মানুষ।
৯৯। বাংলাদেশের সংবিধানের সাংবিধানিক নাম কি?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের সাংবিধানিক নাম হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।
৯৬। ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর' সম্মন্ধে টীকা লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্র বন্দর হলো পায়রা সমুদ্র বন্দর। এটি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার রামনাবাদ চ্যানেলে অবস্থিত। ২০১৬ সালে এ বন্দরের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সমুদ্র বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ৯৫% হয়ে থাকে সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে। দেশে উন্নয়নের সাথে সাথে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড বেড়ে যাওয়ায় পায়রা বন্দর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাছাড়া এ বন্দরে বেশি ড্রাফটের জাহাজ ভিড়তে পারে, ফলে পণ্যের খরচ কম হবে। তাই যত দ্রুত পায়রা বন্দরকে পূর্ণাঙ্গভাবে গড়ে তোলা হবে তত দ্রুত এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থা ও দেশের উন্নয়ন ঘটবে। পদ্মাসেতুর সাথে পায়রা বন্দরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ চালু হলে রাজধানীর সাথে এ বন্দরের মালামাল পরিবহন আরো সহজ হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পায়রা বন্দরকে ঘিরে এ অঞ্চলে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে তাতে এ অঞ্চলের মানুষের ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থনীতি মজবুত হবে। এভাবেই আগামী দিনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে পায়রা বন্দর বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
৯৭। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন? এই রাজনৈতিক জোটে কোন কোন রাজনৈতিক দল অন্তর্ভুক্ত ছিল?
উত্তর : ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক।
১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর সমমনা চারটি দল নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। এগুলো হলো—
১. আওয়ামী মুসলিম লীগ (মওলানা ভাসানী),
২. কৃষক শ্রমিক পার্টি (একে ফজলুল হক),
৩. নেজাম-এ ইসলাম (মওলানা আতাহার আলী) ও
৪. বামপন্থী গণতন্ত্রী দল (হাজী দানেশ)।
৯৮।বিশ্বকবি রবিন্দ্রনাথ ঠাকুর, পল্লীকবি জসীমউদ্দীন এবং বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত দুটি করে বিখ্যাত কবিতার নাম উল্লেখ করুন।
উত্তর : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত দুটি বিখ্যাত কবিতা— ১. সোনার তরী ও ২. দুই বিঘা জমি। পল্লীকবি জসীমউদ্দীন রচিত দুটি বিখ্যাত কবিতা— ১. কবর ও ২. নিমন্ত্রণ।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত দুটি বিখ্যাত কবিতা : ১. বিদ্রোহী ও ২. মানুষ।
৯৯। বাংলাদেশের সংবিধানের সাংবিধানিক নাম কি?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের সাংবিধানিক নাম হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান।
১০০। সংবিধানে কতটি মৌলিক অধিকার আছে?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১৮টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
১০১। মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানের কত থেকে কত অনুচ্ছেদে আছে?
উত্তর : মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদ থেকে ৪৪ নং অনুচ্ছেদে আছে।
১০২। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি? ইহা বাতিলের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো একপ্রকার শাসন ব্যবস্থা যার অধীনে দুইটি নির্বাচিত সরকারের মধ্যবর্তী সময়কালে সাময়িকভাবে অনির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ কোন দেশের করাই এ সরকারের প্রধান কাজ। শাসনভার গ্রহণ করে থাকে। সাধারণত নির্বাচন পরিচালনা
বাতিলের যৌক্তিকতা : বাংলাদেশে অষ্টম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান কে হবেন তা নিয়ে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়। তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন তা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনে বলা থাকলেও প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব ঘরানার ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা পদে অধিষ্ঠিত করতে চায়। ফলে পরিস্থিতি জটিলতর হয়। আবার, অনির্বাচিত সরকারের ব্যক্তিবর্গের ক্ষমতা আকড়ে থাকার চেষ্টার বিষয়টিও লক্ষ্মণীয় । এ বিষয়গুলোর আলোকে পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়।
১০৩। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান : বাংলাদেশ ২০°৩৪″ উত্তর হতে ২৬°৩৮″ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০১ পূর্ব হতে ৯২°৪১″ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। বাংলাদেে প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে কর্কটক্রান্তি রেখা। সীমানা বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ও : মেঘালয়, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও আসাম এবং পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।
১০৪। মূল্য সংযোজন কর কি? ইহার উদ্দেশ্যগুলো বর্ণনা করুন।
উত্তর : মূল্য সংযোজন কর হচ্ছে কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে তার উৎপাদন ও বন্টনের প্রতিটি পর্যায় শেষে সংযোজিত মূল্যের ওপর শতকরা কর।
উদ্দেশ্য :
১. করারোপ পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনয়ন
২. উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে করের ওপর করারোপ বন্ধকরণ।
৩ কর প্রশাসনকে সুসংহতকরণ এবং
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১৮টি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
১০১। মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানের কত থেকে কত অনুচ্ছেদে আছে?
উত্তর : মৌলিক অধিকারগুলো সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদ থেকে ৪৪ নং অনুচ্ছেদে আছে।
১০২। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কি? ইহা বাতিলের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর : তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা হলো একপ্রকার শাসন ব্যবস্থা যার অধীনে দুইটি নির্বাচিত সরকারের মধ্যবর্তী সময়কালে সাময়িকভাবে অনির্বাচিত ব্যক্তিবর্গ কোন দেশের করাই এ সরকারের প্রধান কাজ। শাসনভার গ্রহণ করে থাকে। সাধারণত নির্বাচন পরিচালনা
বাতিলের যৌক্তিকতা : বাংলাদেশে অষ্টম সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান কে হবেন তা নিয়ে অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়। তত্ত্ববধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কে হবেন তা তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনে বলা থাকলেও প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব ঘরানার ব্যক্তিকে প্রধান উপদেষ্টা পদে অধিষ্ঠিত করতে চায়। ফলে পরিস্থিতি জটিলতর হয়। আবার, অনির্বাচিত সরকারের ব্যক্তিবর্গের ক্ষমতা আকড়ে থাকার চেষ্টার বিষয়টিও লক্ষ্মণীয় । এ বিষয়গুলোর আলোকে পঞ্চদশ সংশোধনীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হয়।
১০৩। বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান : বাংলাদেশ ২০°৩৪″ উত্তর হতে ২৬°৩৮″ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°০১ পূর্ব হতে ৯২°৪১″ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। বাংলাদেে প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে কর্কটক্রান্তি রেখা। সীমানা বাংলাদেশের উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ও : মেঘালয়, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমার, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও আসাম এবং পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ অবস্থিত।
১০৪। মূল্য সংযোজন কর কি? ইহার উদ্দেশ্যগুলো বর্ণনা করুন।
উত্তর : মূল্য সংযোজন কর হচ্ছে কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে তার উৎপাদন ও বন্টনের প্রতিটি পর্যায় শেষে সংযোজিত মূল্যের ওপর শতকরা কর।
উদ্দেশ্য :
১. করারোপ পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনয়ন
২. উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে করের ওপর করারোপ বন্ধকরণ।
৩ কর প্রশাসনকে সুসংহতকরণ এবং
৪. অধিকতর অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের মাধ্যমে সমগ্র অর্থনীতিকে সক্রিয়করণ।
১০৫। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার কোথায় শপথ গ্রহণ করে? উক্ত স্থান নির্বাচনের কারণ বর্ণনা করুন।
১০৫। মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার কোথায় শপথ গ্রহণ করে? উক্ত স্থান নির্বাচনের কারণ বর্ণনা করুন।
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর)।
জায়গা বাছাই করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মতো এমন একটি জায়গা বাছাই করতে বলা হয়েছিল যেখানে ভারত থেকে সহজে প্রবেশ করা যায়, যে এলাকা শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম (বিশেষ করে আকাশ থেকে)। এবং বাংলাদেশের দিক বিবেচনা করলে যেন দুর্গম হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বৈদ্যনাথতলার আমবাগানটি বাছাই করা হয়। সেখানে আমবাগান থাকায় আকাশ থেকে সহজে দেখা যায় না। মেহেরপুর থেকে ১০/১২ কিলোমিটার দূরত্বে হলেও রাস্তাঘাট নষ্ট থাকায় সহজে যাওয়া যায় না। আবার ভারত থেকে সহজে প্রবেশ করা যায়। উপরিউক্ত বিষয়গুলোর আলোকেই বৈদ্যনাথতলা (মুজিবনগর) কেই বাছাই করা হয়।
১০৬। ভাষা শহীদগণের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কে ছিলেন?
জায়গা বাছাই করার ক্ষেত্রে পরিকল্পনা মতো এমন একটি জায়গা বাছাই করতে বলা হয়েছিল যেখানে ভারত থেকে সহজে প্রবেশ করা যায়, যে এলাকা শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কম (বিশেষ করে আকাশ থেকে)। এবং বাংলাদেশের দিক বিবেচনা করলে যেন দুর্গম হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বৈদ্যনাথতলার আমবাগানটি বাছাই করা হয়। সেখানে আমবাগান থাকায় আকাশ থেকে সহজে দেখা যায় না। মেহেরপুর থেকে ১০/১২ কিলোমিটার দূরত্বে হলেও রাস্তাঘাট নষ্ট থাকায় সহজে যাওয়া যায় না। আবার ভারত থেকে সহজে প্রবেশ করা যায়। উপরিউক্ত বিষয়গুলোর আলোকেই বৈদ্যনাথতলা (মুজিবনগর) কেই বাছাই করা হয়।
১০৬। ভাষা শহীদগণের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কে ছিলেন?
উত্তর : ভাষা শহীদগণের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান (এমএ) বিভাগের ছাত্র ছিলেন আবুল বরকত।
১০৭। একুশের প্রথম কবিতা রচনা করেন কে?
উত্তর : একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে প্রথম রচিত কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’-এর রচয়িতা মাহবুব উল আলম চৌধুরী।
১০৮। পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় কবে?
উত্তর : পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬। ২৩ মার্চ ১৯৫৬ সংবিধান কার্যকরের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করা হয়। সংবিধানের ২১৪(১) অনুচ্ছেদে বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২১৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু এবং বাংলা।
১০৯। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কোন সালে দায়ের করা হয়?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। আর এ মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ । বঙ্গবন্ধুসহ এ মামলার আসামি ছিলেন ৩৫ জন।
১১০। 'জাগ্রত চৌরঙ্গী' ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য 'জাগত চৌরঙ্গী' গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সংঘটিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের চেতনার আলোকে ও শহীদ হুরমত আলীসহ অন্য শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয় জাগ্রত চৌরঙ্গী।
১১১। 'জাগ্রত চৌরঙ্গী' ভাস্কর্যটির স্থপতি কে? ভাস্কর্যটি কোন সালে নির্মিত হয়?
১০৭। একুশের প্রথম কবিতা রচনা করেন কে?
উত্তর : একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে প্রথম রচিত কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি’-এর রচয়িতা মাহবুব উল আলম চৌধুরী।
১০৮। পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় কবে?
উত্তর : পাকিস্তানের সংবিধানে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৬। ২৩ মার্চ ১৯৫৬ সংবিধান কার্যকরের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করা হয়। সংবিধানের ২১৪(১) অনুচ্ছেদে বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২১৪(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু এবং বাংলা।
১০৯। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা কোন সালে দায়ের করা হয়?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করা হয়। আর এ মামলা প্রত্যাহার করা হয় ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯ । বঙ্গবন্ধুসহ এ মামলার আসামি ছিলেন ৩৫ জন।
১১০। 'জাগ্রত চৌরঙ্গী' ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য 'জাগত চৌরঙ্গী' গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সংঘটিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামের চেতনার আলোকে ও শহীদ হুরমত আলীসহ অন্য শহীদদের স্মরণে নির্মিত হয় জাগ্রত চৌরঙ্গী।
১১১। 'জাগ্রত চৌরঙ্গী' ভাস্কর্যটির স্থপতি কে? ভাস্কর্যটি কোন সালে নির্মিত হয়?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গীর স্থপতি ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত প্রথম ভাস্কর্য 'জাগ্রত চৌরঙ্গী' ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করা হয়।
১১২। খরিপ শস্য কী?
উত্তর : গ্রীষ্মকালীন শস্যকে খরিপ শস্য বলা হয়। এপ্রিল থেকে নভেম্বর পর্যন্ত উৎপন্ন ফসল, যাদের মাটিতে সঞ্চিত আর্দ্রতা ফসলের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মেটায়। মূলত খরিপ ফসল বসন্ত বা গ্রীষ্মে বুনে গ্রীষ্মের শেষ বা শীতের শুরুতে তোলা হয়। খরিপ শস্যের মৌসুম ২টি- খরিপ-১ ও খরিপ-২। এই মৌসুমে উৎপন্ন দেশের প্রধান ফসল রোপা আউশ, রোপা আমন, তৈলবীজ, সয়াবিন, ডাল, আখ, চা ইত্যাদি।
১১৩। জুটন কী?
উত্তর : জুটন হলো ৭০ ভাগ পাট ও ৩০ ভাগ তুলার মিশ্রণে তৈরি কাপড়। এ প্রক্রিয়ায় তুলার তৈরি বস্ত্রের বিকল্প হিসেবে এক ধরনের নতুন বস্ত্র উদ্ভাবনের জন্য পাট ও তুলার আঁশ নির্দিষ্ট অনুপাতে মিশানো হয়। পাটকে অন্যান্য কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক তন্তুর সাথে মিশানোর জন্য এই ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হয়। জুটনের আবিষ্কারক মুহাম্মদ সিদ্দিকুল্লাহ।
১১৫। পাটের জীবন রহস্য কে উন্মোচন করেন?
উত্তর : পাটের জিন বিন্যাস বা জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম। জিনোম সিকোয়েন্সকে কাজে লাগিয়ে প্রথম উৎপাদিত পাট হলো রবি-১। তিনি ২০১০ সালে তোষা পাটের ও ২০১৩ সালে দেশি পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেন।
১১৬। সংবিধান মতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের নাম কী?
উত্তর : সংবিধান মতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত হলো সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টকে বাংলাদেশ সংবিধানের অভিভাবক বলা হয়।
১১৭। ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ'-এ ঘোষণাটি বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে উল্লিখিত হয়েছে?
উত্তর : ‘প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ'- এ ঘোষণাটি বাংলাদেশের সংবিধানের ৭(১)নং অনুচ্ছেদে উল্লিখিত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে ১১টি ভাগ ও ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধানে এ পর্যন্ত ১৭টি সংশোধনী আনা হয়েছে। এ সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২।
১১৮। 'সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে?
উত্তর : 'সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত আছে।
১১৯। বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার গঠন হয়েছিল কোথায়?
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল (বৃহত্তর কুষ্টিয়া) বর্তমান মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর থেকে জারিকৃত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার গঠন করা হয়। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার (বর্তমান মুজিবনগর) আমবাগানে এ সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
১২০। ‘অপারেশন জ্যাকপট' কী?
উত্তর : অপারেশন জ্যাকপট হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নৌ-সেক্টর পরিচালিত সফলতম গেরিলা অপারেশন। এ অপারেশন ১৬ আগস্ট ১৯৭১ প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্র বন্দর এবং দেশের অভ্যন্তরে চাঁদপুর ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে একই সময়ে পরিচালিত হয়।
১২১। কোন বিদেশি সাংবাদিক ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার খবর সর্বপ্রথম বহির্বিশ্বে প্রকাশ করেন?
উত্তর : আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ী বিদেশি সাংবাদিক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং প্রতিবেদন নির্মাতা সাইমন ড্রিং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বর্বরতার খবর সর্বপ্রথম বহির্বিশ্বে প্রকাশ করেন।
১২২। বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য জামদানি। জাতিসংঘের বিশ্ব বুদ্ধিবৃত্তিক সংস্থা (WIPO) ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি দেয় ।
১২৩। কোন দেশ প্রথম নিজস্ব তহবিল দিয়ে জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় ফান্ড গঠন করেন?
উত্তর : প্রথম নিজস্ব তহবিল দিয়ে জলবায়ু প্রভাব মোকাবিলায় ফান্ড গঠন করে বাংলাদেশ ।
১২৪। বাংলাদেশ কখন জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করে?
উত্তর : বাংলাদেশ জাতিসংঘের পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তি স্বাক্ষর করে ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭। চুক্তির খসড়া উন্মুক্ত করার প্রথম দিনেই বাংলাদেশ স্বাক্ষর করে। ৩২টি দেশ এতে সই করেছে। বাংলাদেশ পুরোপুরি পরমাণু বোমা নিরস্ত্রীকরণে বিশ্বাস করে এবং ইতোমধ্যেই বিশ্বের অন্যান্য পারমাণবিক চুক্তিতে সই করেছে।
১২৫। এশিয়ান ক্রিকেট কাপ ২০১৮ কোথায় অনুষ্ঠিত হয়েছে?
উত্তর : ১৪তম এশিয়ান ক্রিকেট কাপ ১৫-২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হয় যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ।
১২৬। ডেল্টা প্ল্যান কী? সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ডেল্টা পরিকল্পনা হলো দীর্ঘমেয়াদি, একক এবং সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা। সমন্বিত বলতে বোঝায় পানি সম্পর্কিত সকল খাতকে একটি পরিকল্পনায় নিয়ে আসা। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, খাদ্য ও পানির নিরাপত্তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় তৈরি হওয়া শত বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনাই হলো ডেল্টা প্ল্যান। বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান (বিডিপি) ২১০০ হলো একবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বাংলাদেশ ডেল্টাকে নিরাপদ করার সম্ভাব্য পরিবর্তন এবং প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ সম্পর্কে একটি বহুল-ভিত্তিক দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি, যা বাংলাদেশের জলসম্পদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য প্রভাবগুলো হ্রাস করতে কাজ করবে। সুতরাং, এ পরিকল্পনা একটি সংহত, বিস্তৃত এবং দীর্ঘমেয়াদি ডেল্টা ভিশন
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সরকার ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ অনুমোদন করে। এটি বাস্তবায়িত হবে নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায়। কেননা পানি ব্যবস্থাপনায় নেদারল্যান্ডসের প্রযুক্তি ইতোমধ্যে বিশ্বজোড়া অনন্য এক স্বীকৃতি পেয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান থেকে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস দুই দেশই উপকূলবর্তী ও বন্যাপ্রবণ। কিন্তু পার্থক্য হচ্ছে, পানি অব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশে প্রতিবছর অনিয়ন্ত্রিত বন্যা হয়। আর নেদারল্যান্ডস এ ক্ষেত্রে সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে বন্যা থেকে সুরক্ষিত থাকে। তাই তাদের এমন অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও পানি সম্পদের যথাযথ ব্যবস্থাপনা করতে চায় ।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে ডেল্টা প্ল্যানে ৩টি উচ্চ স্তরের জাতীয় লক্ষ্য এবং ৬টি নির্দিষ্ট লক্ষ্য প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এই উচ্চ স্তরের লক্ষ্য অর্জনে অবদান রাখে।
উচ্চ স্তরের লক্ষ্যসমূহ:
১. ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ; ২. ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের স্থিতি অর্জন;
৩. ২০৪১ সালে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছাড়িয়ে একটি সমৃদ্ধ দেশ হওয়া।
নির্দিষ্ট লক্ষ্যসমূহ :
১. বন্যা ও জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত বিপর্যয় থেকে সুরক্ষা। নিশ্চিত করা;
২. জলের সুরক্ষা এবং জলের ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ানো;
২. জলের সুরক্ষা এবং জলের ব্যবহারের দক্ষতা বাড়ানো;
৩. টেকসই এবং সংহত নদী ব্যবস্থা এবং মোহনা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ;
৪. জলাভূমি ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং তাদের বুদ্ধিমান ব্যবহার প্রচার;
৫. দেশে বিদেশে ও আন্তঃসীমান্ত জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য সুসংগত প্রশাসন ব্যবস্থা কার্যকর;
৪. জলাভূমি ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণ এবং তাদের বুদ্ধিমান ব্যবহার প্রচার;
৫. দেশে বিদেশে ও আন্তঃসীমান্ত জলসম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য সুসংগত প্রশাসন ব্যবস্থা কার্যকর;
৬. জমি এবং জলের উৎসের সর্বোত্তম এবং সংহত ব্যবহার অর্জন করুন।
১২৭। আমাদের জাতীয় চার নেতার নাম লিখুন। তাঁরা মুজিবনগর সরকারের কে কোন পদে দায়িত্ব পালন করেন? কোথায় এবং কত তারিখে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন?
উত্তর : জাতীয় চার নেতার নাম হলো— সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। জাতীয় এ চার নেতা ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারে নিম্নোক্ত দায়িত্বগুলো পালন করেন।
১. সৈয়দ নজরুল ইসলাম-উপরাষ্ট্রপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২. তাজউদ্দীন আহমদ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ৩. মোহাম্মদ মনসুর আলী-অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
৪. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান-স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করেন।
১২৮। বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহ কী কী?
১২৭। আমাদের জাতীয় চার নেতার নাম লিখুন। তাঁরা মুজিবনগর সরকারের কে কোন পদে দায়িত্ব পালন করেন? কোথায় এবং কত তারিখে মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করেন?
উত্তর : জাতীয় চার নেতার নাম হলো— সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান। জাতীয় এ চার নেতা ১৯৭১ সালে গঠিত মুজিবনগর সরকারে নিম্নোক্ত দায়িত্বগুলো পালন করেন।
১. সৈয়দ নজরুল ইসলাম-উপরাষ্ট্রপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
২. তাজউদ্দীন আহমদ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ৩. মোহাম্মদ মনসুর আলী-অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
৪. আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান-স্বরাষ্ট্র, কৃষি এবং ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলায় (বর্তমান মুজিবনগর) শপথ গ্রহণ করেন।
১২৮। বাংলার প্রাচীন জনপদসমূহ কী কী?
উত্তর : প্রাচীন বাংলার অংশগুলো বিভিন্ন জনপদে বিভক্ত ছিল। সে জনপদসমূহ হলো— পুণ্ড্র, বরেন্দ্র, বঙ্গ, গৌড়, সমতট, হরিকেল, চন্দ্রদ্বীপ, রাঢ়, শ্রীহট্ট ও তাম্রলিপি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক ‘আগুনের পরশমণি' চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। গম্ভীরা বাংলার লোকসংগীতের অন্যতম একটি ধারা। এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহ ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলের একটি সংগীত।
১৩০। ট্রানজিট কী? ট্রানজিটের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : যখন একটি দেশ চুক্তি ও নির্দিষ্ট মাশুল পরিশোধের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দেশের ভূখণ্ড ও জলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের জন্য পণ্য ও মানুষ পরিবহন করে নিয়ে যায়। তাকে ট্রানজিট বলে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও মাশুল আদায়ের মাধ্যমে ট্রানজিটে দেশ যেমন লাভবান হয় তেমনি অব্যবস্থাপনা ও অনির্দিষ্ট মাশুল নির্ণয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনাও রয়েছে। ট্রানজিটের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো হলো : সুবিধাসমূহ :
১. ট্রানজিটের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয় যা অর্থনীতিকে গতিশীল করে।
২. পণ্য ও মানব পরিবহনে খরচ কমে আসে।
৩. নির্দিষ্ট গন্তব্যে পণ্য ও মানুষ পৌঁছাতে যাতায়াত পথ ও সময়ের সাশ্রয় হয়।
৪. ট্রানজিট কেন্দ্রিক ব্যবসার প্রসার ঘটবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ।
৫. পণ্য রপ্তানিতে আঞ্চলিক চেইনের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অসুবিধাসমূহ :
১. যাতায়াত অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয় সাধন হয়, যা সংরক্ষণে বিপুল ব্যয় করতে হয়।
২. অবৈধ ও নিষিদ্ধ পণ্য চোরাচালানের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. ট্রানজিট ট্যারিফ আদায় পর্যাপ্ত না হলে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায় । ৪. পণ্য পরিবহনের চাপের কারণে বন্দরে পণ্যের জট বেধে পণ্য খালাসে অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।
১৩১। পার্বত্য শান্তিচুক্তির গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পাহাড়িদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্পাদিত একটি শান্তিচুক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা। এরপর ধীরে ধীরে উপজাতি-বাঙালি সংঘর্ষ হ্রাস পায়। এই শান্তিচুক্তির ৭২টি ধারার অধিকাংশ সরকার বাস্তবায়ন করেছে এবং অবশিষ্টগুলোও বাস্তবায়নের পথে।
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিকভাবেও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ভূমিবিষয়ক আইন ও বিধিমালা ছিল না। এখন ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইন ২০০১ প্রণয়ন এবং ২০১৬ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে, যা চলমান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাজেটে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকার বেইলি রোডে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স। শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোয় স্বাস্থ্য খাতে দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে। পূর্বে পার্বত্য অঞ্চলে কোনো মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও কমিউনিটি ক্লিনিক ছিল না। বর্তমানে ট্রাইবাল স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় তিন পার্বত্য জেলায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শান্তিচুক্তির পূর্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম ছিল। শান্তিচুক্তির পর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ কোটার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও বিশেষ কোটার ব্যবস্থা রয়েছে পার্বত্য উপজাতিদের জন্য। তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব নয়, এরকম পরিবারকে সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিচুক্তির পূর্বে পার্বত্য অঞ্চলে মাত্র ২০০ কিলোমিটার রাস্তা ছিল। রুমা ও থানচি উপজেলার ১০. সাঙ্গু নদীর ওপর কোনো সেতু ছিল না। এখন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রাস্তা ও বিভিন্ন আকারের সেতু কালভার্ট নির্মাণ করছে। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে টেলিযোগাযোগ, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আওতা বৃদ্ধি এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা হয়েছে, যা শান্তিচুক্তির আগে ছিল না বললেই চলে।
শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার উপজাতিদের নিজস্ব ভাষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় চুক্তির আলোকে পার্বত্য জেলায় বেশকিছু এলাকা পর্যটন উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে, যা এখন দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই পার্বত্য শান্তিচুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
১৩২। বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলো কী কী? বাংলাদেশের সংবিধান মতে রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ কত বছর?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের ২য় পরিচ্ছদের ৮নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ৪টি। যথা— (ক) জাতীয়তাবাদ (খ) সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি (গ) গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং (ঘ) ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা। সংবিধানের ৫০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ পাঁচ বছর। সংবিধানের ৫০(১) অনুচ্ছেদ 'এই সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর মেয়াদে তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
১৩৩। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ কয়টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল? কোন সেক্টরে নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না?
উত্তর : জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মাধ্যমে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশকে প্রথমে ৭টি সেক্টরে ভাগ করেন। পরবর্তীতে ১১ জুলাই ১৯৭১ যুদ্ধকৌশলের সুবিধার্থে ৭টি সেক্টরের স্থলে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে এবং ৬৪টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। তন্মধ্যে ১০নং সেক্টর নৌ-কমান্ড নিয়ে গঠিত হয়। এ সেক্টরে কোনো নিয়মিত কমান্ডার ছিলেন না। এ সেক্টর গঠনের উদ্যোক্তা ছিলেন ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীর আট জন বাঙালি কর্মকর্তা।
১৩৪। টীকা লিখুন (যেকোনো দুটি) : জুম চাষ, রোহিঙ্গা, শীতল পাটি
উত্তর : জুম চাষ : বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচলিত চাষাবাদ পদ্ধতি এর প্রকৃত অর্থ হলো স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষাবাদ করা। এ ধরনের চাষাবাদে শুষ্ক মৌসুমে বনভূমি কেটে বা পুড়িয়ে স্বল্পসময়ের জন্য (১-৩ বছর) ফসল চাষাবাদের পর প্রাকৃতিক বনভূমির পুনর্জন্ম ও মৃত্তিকার উর্বরতার ক্ষয়পূরণের জন্য দীর্ঘসময় (১০-৪০ বছর) পতিত রাখা হয়। জুম বা স্থানান্তর চাষাবাদ সাধারণভাবে 'সুইডেন চাষাবাদ' বা 'জঙ্গল পরিষ্কার' ও পোড়ানো চাষাবাদ হিসেবে পরিচিত।
রোহিঙ্গা : নবম-দশম শতাব্দীতে আরাকান রাজ্য ‘রোহান' : কিংবা 'রোহাঙ' নামে পরিচিত ছিল, সেই অঞ্চলের অধিবাসী হিসেবেই 'রোহিঙ্গা' শব্দের উদ্ভব। রোহিঙ্গারা পূর্বতন বার্মা, অধুনা মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের মুসলমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। আরাকানি মুসলিমরা সেখানে হাজার বছর ধরে বসবাস করে এলেও বাংলাভাষী ও মুসলিম হওয়ার কারণে তারা মিয়ানমার সরকার ও নাগরিকদের কাছে 'বিদেশী' 'বাঙালি' বা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা।
১২৯। 'আগুনের পরশমণি' ছায়াছবির পরিচালক কে? গম্ভীরা কোন অঞ্চলের সঙ্গীত?
১৩০। ট্রানজিট কী? ট্রানজিটের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : যখন একটি দেশ চুক্তি ও নির্দিষ্ট মাশুল পরিশোধের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দেশের ভূখণ্ড ও জলপথ ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশের জন্য পণ্য ও মানুষ পরিবহন করে নিয়ে যায়। তাকে ট্রানজিট বলে। সঠিক ব্যবস্থাপনা ও মাশুল আদায়ের মাধ্যমে ট্রানজিটে দেশ যেমন লাভবান হয় তেমনি অব্যবস্থাপনা ও অনির্দিষ্ট মাশুল নির্ণয়ে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনাও রয়েছে। ট্রানজিটের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো হলো : সুবিধাসমূহ :
১. ট্রানজিটের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হয় যা অর্থনীতিকে গতিশীল করে।
২. পণ্য ও মানব পরিবহনে খরচ কমে আসে।
৩. নির্দিষ্ট গন্তব্যে পণ্য ও মানুষ পৌঁছাতে যাতায়াত পথ ও সময়ের সাশ্রয় হয়।
৪. ট্রানজিট কেন্দ্রিক ব্যবসার প্রসার ঘটবে এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ।
৫. পণ্য রপ্তানিতে আঞ্চলিক চেইনের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অসুবিধাসমূহ :
১. যাতায়াত অবকাঠামোতে ব্যাপক ক্ষয় সাধন হয়, যা সংরক্ষণে বিপুল ব্যয় করতে হয়।
২. অবৈধ ও নিষিদ্ধ পণ্য চোরাচালানের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৩. ট্রানজিট ট্যারিফ আদায় পর্যাপ্ত না হলে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায় । ৪. পণ্য পরিবহনের চাপের কারণে বন্দরে পণ্যের জট বেধে পণ্য খালাসে অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হতে পারে।
১৩১। পার্বত্য শান্তিচুক্তির গুরুত্ব সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি পাহাড়িদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধ এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্পাদিত একটি শান্তিচুক্তি। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের প্রতিনিধি জনসংহতি সমিতির সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের ২ ডিসেম্বর এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। এতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং শান্তি বাহিনীর পক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতা সন্তু লারমা। এরপর ধীরে ধীরে উপজাতি-বাঙালি সংঘর্ষ হ্রাস পায়। এই শান্তিচুক্তির ৭২টি ধারার অধিকাংশ সরকার বাস্তবায়ন করেছে এবং অবশিষ্টগুলোও বাস্তবায়নের পথে।
বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ-সামাজিকভাবেও অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ভূমিবিষয়ক আইন ও বিধিমালা ছিল না। এখন ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি আইন ২০০১ প্রণয়ন এবং ২০১৬ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়েছে, যা চলমান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বাজেটে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকার বেইলি রোডে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স। শান্তিচুক্তির পর পার্বত্য অঞ্চলের জেলাগুলোয় স্বাস্থ্য খাতে দ্রুত অগ্রগতি হয়েছে। পূর্বে পার্বত্য অঞ্চলে কোনো মেডিকেল কলেজ, নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও কমিউনিটি ক্লিনিক ছিল না। বর্তমানে ট্রাইবাল স্বাস্থ্য কর্মসূচির আওতায় তিন পার্বত্য জেলায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। শান্তিচুক্তির পূর্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা খুবই কম ছিল। শান্তিচুক্তির পর অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে উপজাতি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ কোটার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও বিশেষ কোটার ব্যবস্থা রয়েছে পার্বত্য উপজাতিদের জন্য। তিন পার্বত্য জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব নয়, এরকম পরিবারকে সৌর বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শান্তিচুক্তির পূর্বে পার্বত্য অঞ্চলে মাত্র ২০০ কিলোমিটার রাস্তা ছিল। রুমা ও থানচি উপজেলার ১০. সাঙ্গু নদীর ওপর কোনো সেতু ছিল না। এখন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম এলাকায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রাস্তা ও বিভিন্ন আকারের সেতু কালভার্ট নির্মাণ করছে। শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর পার্বত্য চট্টগ্রামে টেলিযোগাযোগ, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের আওতা বৃদ্ধি এবং ইন্টারনেট ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করা হয়েছে, যা শান্তিচুক্তির আগে ছিল না বললেই চলে।
শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার উপজাতিদের নিজস্ব ভাষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় চুক্তির আলোকে পার্বত্য জেলায় বেশকিছু এলাকা পর্যটন উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে, যা এখন দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জায়গায় পরিণত হয়েছে। তাই পার্বত্য শান্তিচুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম।
১৩২। বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিগুলো কী কী? বাংলাদেশের সংবিধান মতে রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ কত বছর?
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের ২য় পরিচ্ছদের ৮নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ৪টি। যথা— (ক) জাতীয়তাবাদ (খ) সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি (গ) গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং (ঘ) ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা। সংবিধানের ৫০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ পাঁচ বছর। সংবিধানের ৫০(১) অনুচ্ছেদ 'এই সংবিধানের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর মেয়াদে তাঁহার পদে অধিষ্ঠিত থাকিবেন। তবে শর্ত থাকে যে, রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
১৩৩। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ কয়টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল? কোন সেক্টরে নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না?
উত্তর : জেনারেল এম. এ. জি ওসমানী মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মাধ্যমে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ বাংলাদেশকে প্রথমে ৭টি সেক্টরে ভাগ করেন। পরবর্তীতে ১১ জুলাই ১৯৭১ যুদ্ধকৌশলের সুবিধার্থে ৭টি সেক্টরের স্থলে সমগ্র দেশকে ১১টি সেক্টরে এবং ৬৪টি সাব-সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। তন্মধ্যে ১০নং সেক্টর নৌ-কমান্ড নিয়ে গঠিত হয়। এ সেক্টরে কোনো নিয়মিত কমান্ডার ছিলেন না। এ সেক্টর গঠনের উদ্যোক্তা ছিলেন ফ্রান্সে প্রশিক্ষণরত তৎকালীন পাকিস্তান নৌবাহিনীর আট জন বাঙালি কর্মকর্তা।
১৩৪। টীকা লিখুন (যেকোনো দুটি) : জুম চাষ, রোহিঙ্গা, শীতল পাটি
উত্তর : জুম চাষ : বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চলে প্রচলিত চাষাবাদ পদ্ধতি এর প্রকৃত অর্থ হলো স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে চাষাবাদ করা। এ ধরনের চাষাবাদে শুষ্ক মৌসুমে বনভূমি কেটে বা পুড়িয়ে স্বল্পসময়ের জন্য (১-৩ বছর) ফসল চাষাবাদের পর প্রাকৃতিক বনভূমির পুনর্জন্ম ও মৃত্তিকার উর্বরতার ক্ষয়পূরণের জন্য দীর্ঘসময় (১০-৪০ বছর) পতিত রাখা হয়। জুম বা স্থানান্তর চাষাবাদ সাধারণভাবে 'সুইডেন চাষাবাদ' বা 'জঙ্গল পরিষ্কার' ও পোড়ানো চাষাবাদ হিসেবে পরিচিত।
রোহিঙ্গা : নবম-দশম শতাব্দীতে আরাকান রাজ্য ‘রোহান' : কিংবা 'রোহাঙ' নামে পরিচিত ছিল, সেই অঞ্চলের অধিবাসী হিসেবেই 'রোহিঙ্গা' শব্দের উদ্ভব। রোহিঙ্গারা পূর্বতন বার্মা, অধুনা মিয়ানমারের রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের মুসলমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। আরাকানি মুসলিমরা সেখানে হাজার বছর ধরে বসবাস করে এলেও বাংলাভাষী ও মুসলিম হওয়ার কারণে তারা মিয়ানমার সরকার ও নাগরিকদের কাছে 'বিদেশী' 'বাঙালি' বা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর নাম রোহিঙ্গা।
শীতল পাটি : শীতল পাটির নামের মধ্যেই রয়েছে এর গুণ। এ পাটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গরমে ঠাণ্ডা অনুভূত হয়। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি হওয়ার কারণে স্বাস্থ্যসম্মত এ পাটি। শীতল পাটির বুনন শিল্পীরা ‘পটিয়াল' বা 'পাটিকর' নামে পরিচিত। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা UNESCO বাংলাদেশের শীতল পাটিকে অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দেয়। 'ছন্দের যাদুকর' সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত তার 'খাঁটি সোনা' কবিতায় বাংলার মাটিকে তুলনা করেছেন শীতল পাটির সাথে।
১৩৫। ভাওয়াইয়া ও মনিপুরী নৃত্য কী
উত্তর : ভাওয়াইয়া : বাংলা লোকসঙ্গীতের একটি বিশিষ্ট ধারার নাম ভাওয়াইয়া। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের রংপুর অঞ্চলে এ গান বিশেষভাবে প্রচলিত। রংপুর অঞ্চলে মেঠো পথ দিয়ে মহিষের গাড়ি চালনার সময় গাড়িয়ালরা বিশেষ এ ধরনের গান গেয়ে থাকে।
মণিপুরী নৃত্য : সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার জুড়ে বসবাসরত 'মণিপুরী' ক্ষুদে-নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী। তাদের সংস্কৃতির উজ্জ্বলতম দিক হলো 'মণিপুরী' নৃত্য, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। মণিপুরী নৃত্যকলা তার কোমলতা, রুচিশীল ভঙ্গিমা ও সৌন্দর্য দিয়ে জয় করেছে অসংখ্য দর্শকের মন।
১৩৬। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষার উপায় সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ডেঙ্গুর জন্য দায়ী মশা 'এডিস মশা', যার একটি কামড়ই ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য যথেষ্ট। এডিস মশার দুই রকম প্রজাতি আছে। একটির নাম এডিস ইজিপ্টি ও অপরটি এডিস এলবোপিক্টাস। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষার উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো আবৃত থাকা : হাত আর পা মশার জন্য সবচাইতে সহজ লক্ষ্য। তাই ঘরে বাইরে যেখানেই থাকুন, চেষ্টা করতে হবে যথাসম্ভব কাপড়ে আবৃত থাকা।
বদ্ধ পানি অপসারণ : মশার বংশবিস্তারের আদর্শ স্থান হলো জমে থাকা পানি। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে অন্যতম হলো যেসব জায়গায় পানি জমে থাকতে পারে সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলা।
মশা দূরে রাখা গাছ : মশা তাড়ানোর একটি কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর উপায় হলো মশা দূরে রাখে এমন গাছ ঘরের আশপাশে রোপন করা । তুলসি, সিট্রোনেলা, লেমনগ্রাস ইত্যাদি এ কাজে কার্যকর।
ঘরোয়া সমাধান : মশা দূরে রাখার নিরাপদ উপায় হলো ঘরোয়া উপাদান, যা প্রায় সবার রান্নাঘরেই আছে। মৃদু কর্পূর, সরিষার তেলের সঙ্গে মেশানো ক্যারম সিও বা আজওয়াই ইত্যাদি মশা তাড়াতে কাজে আসে।
ময়লা রাখার পাত্র : যেকোনো ময়লা রাখার পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। আর ব্যবহারের সময় তা ঢেকে রাখতে হবে। জীবাণু ভরা ময়লার পাত্র মশা টানে।
মশা তাড়ানোর ওষুধ: মশা তাড়ানোর স্প্রে, মলম ইত্যাদি ব্যবহারে জোর দিতে হবে। ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই
এগুলো ব্যবহার করা উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে সব ধরনের রোগ দূরে থাকবে।
দরজা-জানালা বন্ধ : দিনের শেষে এবং রাতেই মশার উপদ্রব বেশি হয়। তাই এই সময় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখলে মশা ঢুকতে পারবে কম। পাশাপাশি জানালা ও দরজার 'মসকিউটো নেট' লাগানো যেতে পারে।
১৩৭। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (Proclamation of Independence) বলতে কী বুঝায়? এ ঘোষণাপত্রে কোন কোন মৌলিক বিষয়কে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে?
১৩৫। ভাওয়াইয়া ও মনিপুরী নৃত্য কী
উত্তর : ভাওয়াইয়া : বাংলা লোকসঙ্গীতের একটি বিশিষ্ট ধারার নাম ভাওয়াইয়া। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের রংপুর অঞ্চলে এ গান বিশেষভাবে প্রচলিত। রংপুর অঞ্চলে মেঠো পথ দিয়ে মহিষের গাড়ি চালনার সময় গাড়িয়ালরা বিশেষ এ ধরনের গান গেয়ে থাকে।
মণিপুরী নৃত্য : সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার জুড়ে বসবাসরত 'মণিপুরী' ক্ষুদে-নৃগোষ্ঠীর সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী। তাদের সংস্কৃতির উজ্জ্বলতম দিক হলো 'মণিপুরী' নৃত্য, যা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। মণিপুরী নৃত্যকলা তার কোমলতা, রুচিশীল ভঙ্গিমা ও সৌন্দর্য দিয়ে জয় করেছে অসংখ্য দর্শকের মন।
১৩৬। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষার উপায় সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ডেঙ্গুর জন্য দায়ী মশা 'এডিস মশা', যার একটি কামড়ই ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য যথেষ্ট। এডিস মশার দুই রকম প্রজাতি আছে। একটির নাম এডিস ইজিপ্টি ও অপরটি এডিস এলবোপিক্টাস। ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষার উপায় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো আবৃত থাকা : হাত আর পা মশার জন্য সবচাইতে সহজ লক্ষ্য। তাই ঘরে বাইরে যেখানেই থাকুন, চেষ্টা করতে হবে যথাসম্ভব কাপড়ে আবৃত থাকা।
বদ্ধ পানি অপসারণ : মশার বংশবিস্তারের আদর্শ স্থান হলো জমে থাকা পানি। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে অন্যতম হলো যেসব জায়গায় পানি জমে থাকতে পারে সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলা।
মশা দূরে রাখা গাছ : মশা তাড়ানোর একটি কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর উপায় হলো মশা দূরে রাখে এমন গাছ ঘরের আশপাশে রোপন করা । তুলসি, সিট্রোনেলা, লেমনগ্রাস ইত্যাদি এ কাজে কার্যকর।
ঘরোয়া সমাধান : মশা দূরে রাখার নিরাপদ উপায় হলো ঘরোয়া উপাদান, যা প্রায় সবার রান্নাঘরেই আছে। মৃদু কর্পূর, সরিষার তেলের সঙ্গে মেশানো ক্যারম সিও বা আজওয়াই ইত্যাদি মশা তাড়াতে কাজে আসে।
ময়লা রাখার পাত্র : যেকোনো ময়লা রাখার পাত্র প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। আর ব্যবহারের সময় তা ঢেকে রাখতে হবে। জীবাণু ভরা ময়লার পাত্র মশা টানে।
মশা তাড়ানোর ওষুধ: মশা তাড়ানোর স্প্রে, মলম ইত্যাদি ব্যবহারে জোর দিতে হবে। ঘরে কিংবা বাইরে সবখানেই
এগুলো ব্যবহার করা উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হলে সব ধরনের রোগ দূরে থাকবে।
দরজা-জানালা বন্ধ : দিনের শেষে এবং রাতেই মশার উপদ্রব বেশি হয়। তাই এই সময় ঘরের দরজা জানালা বন্ধ রাখলে মশা ঢুকতে পারবে কম। পাশাপাশি জানালা ও দরজার 'মসকিউটো নেট' লাগানো যেতে পারে।
১৩৭। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (Proclamation of Independence) বলতে কী বুঝায়? এ ঘোষণাপত্রে কোন কোন মৌলিক বিষয়কে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বলতে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তা এবং প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার বা মুজিবনগর সরকার কর্তৃক ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত ঘোষণাপত্রকে বোঝায়। এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে নবগঠিত প্রবাসী আইন পরিষদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করে এবং এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমেই ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়া হয় এবং একই সাথে ২৬ মার্চ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা কার্যকর হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে ১০ এপ্রিল ১৯৭১ গঠিত প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের বৈধতারও স্বীকৃতি পায়।
১৩৮। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদানের জন্য সর্বমোট কতজনকে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়? খেতাবগুলো কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদানের জন্য সর্বমোট ৬৭৬ জনকে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়। খেতাব চারটি হলো- বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীরবিক্রম এবং বীরপ্রতীক । খেতাব প্রাপ্তদের মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ- ৭ জন, বীর উত্তম, ৬৮ জন, বীরবিক্রম- ১৭৫ জন এবং বীরপ্রতীক- ৪২৬ জন।
১৩৯। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর নাম লিখুন।
১৩৮। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদানের জন্য সর্বমোট কতজনকে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়? খেতাবগুলো কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদানের জন্য সর্বমোট ৬৭৬ জনকে বীরত্বসূচক খেতাব প্রদান করা হয়। খেতাব চারটি হলো- বীরশ্রেষ্ঠ, বীর উত্তম, বীরবিক্রম এবং বীরপ্রতীক । খেতাব প্রাপ্তদের মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ- ৭ জন, বীর উত্তম, ৬৮ জন, বীরবিক্রম- ১৭৫ জন এবং বীরপ্রতীক- ৪২৬ জন।
১৩৯। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর নাম লিখুন।
উত্তর : ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। প্রকল্পগুলো হলো— ১. আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প, ২. আশ্রয়ণ প্রকল্প, ৩. ডিজিটাল বাংলাদেশ, ৪. শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, ৫. নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রম, ৬. ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ৭. সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম, ৮. কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, ৯. বিনিয়োগ বিকাশ, ১০. পরিবেশ সুরক্ষা।
১৪০। বিদেশের শ্রম বাজারে কি পরিমাণ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন? পৃথিবীর কোন দেশে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন?
১৪০। বিদেশের শ্রম বাজারে কি পরিমাণ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন? পৃথিবীর কোন দেশে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন?
উত্তর : প্রতিবছরই বাংলাদেশিরা কাজ নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন বিশ্বের নানা দেশে। প্রতিবছর প্রায় ১০ লাখ কর্মী বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন প্রবাসে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০ অনুসারে বিশ্বের ১৭২টি দেশের শ্রম বাজারে ১ কোটি ৮১ লাখ ২১৮ জন বাংলাদেশি কর্মরত রয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বে শ্রম বাজার সংকুচিত হলেও সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে, ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৭ জন। এর পরেই রয়েছে ওমান, কাতার ও বাহরাইনের মতো দেশগুলো।
১৪১। বাংলাদেশে প্রধানত কয়টি উৎস হতে মৎস্য আহরণ করা হয়? বাংলাদেশে স্বীকৃত একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র কোনটি?
১৪১। বাংলাদেশে প্রধানত কয়টি উৎস হতে মৎস্য আহরণ করা হয়? বাংলাদেশে স্বীকৃত একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র কোনটি?
উত্তর : নদীমাতৃক বাংলাদেশ বিশাল জলসম্পদে সমৃদ্ধ। সারাদেশ জুড়ে রয়েছে অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুর । বাংলাদেশ প্রধানত ২টি উৎস হতে মৎস্য আহরণ করে থাকে। যথা— অভ্যন্তরীণ উৎস এবং সামুদ্রিক উৎস। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে রয়েছে মুক্ত জলাশয় ও বন্ধ জলাশয়। মুক্ত জলাশয়ের আয়তন প্রায় 80.89 লাখ ১ এবং বদ্ধ জলাশয়ের আয়তন প্রায় ৫.২৮ লাখ হেক্টর। আর সামুদ্রিক উৎসের জলসীমার আয়তন প্রায় ১৬৬ লাখ হেক্টর। বাংলাদেশে স্বীকৃত একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলার হালদা নদী ।
১৪২। বাংলাদেশের প্রথম সরকার কখন গঠন করা হয়? এই সরকার গঠনের আইনগত ভিত্তি কী?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার, যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। এ সরকারের স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি হলো ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঘোষণা, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুজিবনগর সরকারকে স্বীকৃতি ও আইনগত বৈধতা প্রদান করা হয়।
১৪৩। চীনামাটি পাওয়া যায়? বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে কোন খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়া, দীঘিপাড়া ও ফুলবাড়ীতে কয়লা পাওয়া যায়। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অবস্থান পার্বতীপুর উপজেলার চৌহট্টি গ্রামে। দেশের সর্ববৃহৎ কয়লাখনির অবস্থান নওয়াবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়ায়। এছাড়া জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ ও রংপুর জেলার খালাশপীরে কয়লা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রথম চীনামাটির সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৭ সালে, ভেদিকুরা, দুর্গাপুর, নেত্রকোনা। দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়া, বড়পুকুরিয়া ও দীঘিপাড়ায় চীনামাটি পাওয়া যায়। এছাড়া নওগাঁর পত্নীতলা, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চীনামাটি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে প্রবাল জাতীয় চুনাপাথর পাওয়া যায়। ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে এই খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হয় ।
১৪৪। 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' কে লিখেছেন?
উত্তর : ১৮ জুন ২০১২ প্রকাশিত 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' লিখেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রন্থটির ভূমিকার রচয়িতা শেখ হাসিনা।
১৪৫। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সুন্দরবন কোন সেক্টরের অধীনে ছিল? ঐ সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের নাম লিখুন।
উত্তর : স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সুন্দরবন ৯নং সেক্টরের অধীন ছিল। ৯নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডররা হলেন মেজর এম.এ. জলিল (ডিসেম্বর পর্যন্ত), মেজর এম. এ. মঞ্জুর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও মেজর জয়নাল আবেদীন। ৯নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত বর্তমান জেলাসমূহ হলো বরিশাল (আংশিক), বরগুণা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের দক্ষিণাংশ।
১৪৬। ইউনেস্কো কত সালে কত তারিখে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে?
উত্তর : ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। ইউনেস্কোর ৩০তম (নির্বাহী পরিষদের ১৫৭তম অধিবেশনে) সাধারণ অধিবেশনে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। যা ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৪৭। মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা কত তারিখ থেকে শুরু হয়েছে?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের ১০০তম বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ঘোষিত মুজিবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয় ১০ জানুয়ারি ২০২০।
১৪৮। সম্প্রতি লালমনিরহাট জেলায় স্থাপিত বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কী? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয় শিক্ষা দেয়া হবে?
উত্তর : সম্প্রতি লালমনিরহাট জেলায় স্থাপিত বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এ্যান্ড অ্যারোম্পেস বিশ্ববিদ্যালয়'। এটি দেশের ৪৬তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে ৬ মে ২০১৯।
১৫০। বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি ও সমাপ্তি কোন নদীর? নদীটির উৎপত্তিস্থল কোথায়?
১৪২। বাংলাদেশের প্রথম সরকার কখন গঠন করা হয়? এই সরকার গঠনের আইনগত ভিত্তি কী?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত হয় বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার, যা মুজিবনগর সরকার নামে পরিচিত। এ সরকারের স্বীকৃতি ও আইনগত ভিত্তি হলো ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। এ ঘোষণাপত্রের মাধ্যমেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ঘোষণা, ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুজিবনগর সরকারকে স্বীকৃতি ও আইনগত বৈধতা প্রদান করা হয়।
১৪৩। চীনামাটি পাওয়া যায়? বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে কোন খনিজ সম্পদ পাওয়া যায়?
উত্তর : বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়া, দীঘিপাড়া ও ফুলবাড়ীতে কয়লা পাওয়া যায়। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অবস্থান পার্বতীপুর উপজেলার চৌহট্টি গ্রামে। দেশের সর্ববৃহৎ কয়লাখনির অবস্থান নওয়াবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়ায়। এছাড়া জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ ও রংপুর জেলার খালাশপীরে কয়লা পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রথম চীনামাটির সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৭ সালে, ভেদিকুরা, দুর্গাপুর, নেত্রকোনা। দিনাজপুর জেলার মধ্যপাড়া, বড়পুকুরিয়া ও দীঘিপাড়ায় চীনামাটি পাওয়া যায়। এছাড়া নওগাঁর পত্নীতলা, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চীনামাটি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে প্রবাল জাতীয় চুনাপাথর পাওয়া যায়। ১৯৫৮ সালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে এই খনিজ সম্পদ আবিষ্কৃত হয় ।
১৪৪। 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' কে লিখেছেন?
উত্তর : ১৮ জুন ২০১২ প্রকাশিত 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' লিখেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গ্রন্থটির ভূমিকার রচয়িতা শেখ হাসিনা।
১৪৫। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সুন্দরবন কোন সেক্টরের অধীনে ছিল? ঐ সেক্টরের সেক্টর কমান্ডারের নাম লিখুন।
উত্তর : স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সুন্দরবন ৯নং সেক্টরের অধীন ছিল। ৯নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডররা হলেন মেজর এম.এ. জলিল (ডিসেম্বর পর্যন্ত), মেজর এম. এ. মঞ্জুর (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও মেজর জয়নাল আবেদীন। ৯নং সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত বর্তমান জেলাসমূহ হলো বরিশাল (আংশিক), বরগুণা, ভোলা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের দক্ষিণাংশ।
১৪৬। ইউনেস্কো কত সালে কত তারিখে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে?
উত্তর : ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। ইউনেস্কোর ৩০তম (নির্বাহী পরিষদের ১৫৭তম অধিবেশনে) সাধারণ অধিবেশনে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। যা ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
১৪৭। মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা কত তারিখ থেকে শুরু হয়েছে?
উত্তর : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের ১০০তম বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ঘোষিত মুজিবর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হয় ১০ জানুয়ারি ২০২০।
১৪৮। সম্প্রতি লালমনিরহাট জেলায় স্থাপিত বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম কী? এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন বিষয় শিক্ষা দেয়া হবে?
উত্তর : সম্প্রতি লালমনিরহাট জেলায় স্থাপিত বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এ্যান্ড অ্যারোম্পেস বিশ্ববিদ্যালয়'। এটি দেশের ৪৬তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে ৬ মে ২০১৯।
১৫০। বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি ও সমাপ্তি কোন নদীর? নদীটির উৎপত্তিস্থল কোথায়?
উত্তর : বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি ও সমাপ্তি নদী হালদা। হালদা নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি উপজেলার বাদনাতলী ইউনিয়নের পাহাড়ি গ্রাম সালদায়। সালদার নাম অনুসারেই এ নদী পরিচিতি পায় হালদা নামে।
১৫১। বাংলাদেশের সংবিধানে মোট কতটি অনুচ্ছেদ আছে? সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিধান রাখা হয়েছে?
উত্তর : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ কার্যকর হওয়া বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
সংবিধানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিধান রাখা হয়েছে ১৮ক অনুচ্ছেদে। সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদ উল্লেখ রয়েছে— ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।'
১৫১। পৃথিবীর হৃৎপিণ্ড বলা হয় কোন বনকে? ঐ বনটির বর্তমান সমস্যাগুলো লিখুন।
১৫১। বাংলাদেশের সংবিধানে মোট কতটি অনুচ্ছেদ আছে? সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিধান রাখা হয়েছে?
উত্তর : ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ কার্যকর হওয়া বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
সংবিধানে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বিধান রাখা হয়েছে ১৮ক অনুচ্ছেদে। সংবিধানের ১৮ক অনুচ্ছেদ উল্লেখ রয়েছে— ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।'
১৫১। পৃথিবীর হৃৎপিণ্ড বলা হয় কোন বনকে? ঐ বনটির বর্তমান সমস্যাগুলো লিখুন।
উত্তর : পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন আমাজন বন থেকে আসায় ‘আমাজন বন’ কে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। আমাজন বনটি
১৫২। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ক. কবে জন্মগ্রহণ করেন?
১৫২। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ক. কবে জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন ।
খ. কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : তিনি গোপালগঞ্জ জেলার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
গ. কত তারিখে পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন?
উত্তর : তিনি ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং লন্ডন-দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন।
১৫৩। মুজিবনগর সরকার গঠনের আইনি ভিত্তি কী ছিল?
উত্তর : ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পাকিস্তানের ১৬৯ আসনের ১৬৭ আসনে জয়লাভ প্রাদেশিক পরিষদের ৩১০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে জয়ী হওয়া, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি এবং অস্থায়ী সরকার কর্তৃক ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই মুজিবনগর সরকারের আইনী ভিত্তি।
১৫৩। কোন সংবিধান অনুযায়ী ঐ সরকার পরিচালিত হয়েছিল?
উত্তর : ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র' নামের দলিলটি মুক্তিযুদ্ধের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। আর এ সংবিধান অনুযায়ী মুজিবনগর সরকার পরিচালিত হয়েছিল ।
১৫৪। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে কখন ৬ দফার ঘোষণা করেন? ঐতিহাসিক উক্ত ৬ দফায় কোন বিষয়টি প্রাধান্য পায়?
উত্তর : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ঐতিহাসিক 'ছয় দফা' কর্মসূচি ঘোষণা করেন। উক্ত ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির প্রধান বিষয় ছিল বাংলাদেশের প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন।
১৫৪। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কয়টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল? ‘অপারেশন জ্যাকপট' কী?
উত্তর : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সমর সমগ্র বাংলাদেশকে এগারোটি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল । পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বাংলাদেশের নৌপথ দিয়ে সৈন্য ও অন্যান্য সমর সরঞ্জাম পরিবহনের ব্যবস্থা বানচাল করার জন্য ১৬ আগস্ট ১৯৭১ প্রথম প্রহরে বাঙালি নৌ কমান্ডো বাহিনীর পরিচালিত অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট' নামে পরিচিত।
১৫৫। বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নাম কী এবং এ গোষ্ঠী কোন এলাকায় বসবাস করে?
উত্তর : বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী হলো চাকমা। এ নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাস করে।
১৫৬। বাংলাদেশের জিডিপিতে কোন খাতের অবদান সর্বোচ্চ এবং শতকরা কত ভাগ?
উত্তর : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০ অনুযায়ী জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান সর্বোচ্চ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতের অবদান ৫১.৩০ (সাময়িক)।
১৫৭। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি কোথায় অবস্থিত? পল্লী উন্নয়নে এর ভূমিকা আলোচনা করুন।
উত্তর : বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (BARD) কুমিল্লা জেলার কোটবাড়িতে অবস্থিত। ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান পল্লী মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও পল্লীর দারিদ্র্য বিমোচনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
পল্লী উন্নয়নে বার্ড-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণার সমন্বিত প্রয়োগের ফলে বার্ড একটি বিশেষায়িত্ব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। 'কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও সমন্বিত চাষাবাদ' মডেল ব্যবহারে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও শ্রমিকের ঘাটতি সমাধান সম্ভব হবে। আমীণ উন্নয়ণে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি উদ্ভাবিত কুমিল্লা মডেল দেশে ও বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশে এ মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে। বার্ড উদ্ভাবিত বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন কুমিল্লা মডেলের আওতায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সমবায় থানা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্র, পল্লী পূর্ত কর্মসূচি এবং থানা সেচ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পল্লীর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে। এছাড়াও পল্লী উন্নয়নে বার্ড প্রাসঙ্গিক গবেষণা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দান, দেশি, বিদেশি সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজনের মধ্য দিয়ে পল্লীর দারিদ্র্য ও জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ৩. বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কিভাবে নির্বাচিত হন?
১৫৮গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন্যূনতম বয়স কত?
উত্তর : বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যগণের ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন্যূনতম বয়স পঁয়ত্রিশ (৩৫) বছর।
১৫৯। মৎস্য খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন।
উত্তর : জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের ভূমিকা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। দেশের মোট জিডিপি'র ৩.৫২ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি'র এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৬.৩৭%) মৎস্য খাতের অবদান।
বর্তমান বিশ্বে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় । সার্বিকভাবে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। করোনা মহামারিতে অন্যান্য খাত যেখানে ধুকছে সেখানে মৎস্য খাতের প্রবৃদ্ধি চলমান রয়েছে এবং এর প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। মৎস্য খাতের এ ব্যাপক অগ্রগতির পিছনে যে বিষয়গুলির ভূমিকা অধিক তা হলো জেলেদের মাঝে সচেতনতা তৈরি, ডিম পাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা নিষিদ্ধকরণ, জাটকা বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞা এবং দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি ।
মাছ মানুষের আমিষের অন্যতম উৎস। তাই মৎস্য খাতের অগ্রগতির চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমিষের অভাব পূরণ এবং বিশ্বে মাছ উৎপাদনে শীর্ষে আরোহণ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
১৬০। বাংলাদেশে বছরে কী হারে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে? জমির পরিমাণ কম হওয়া সত্ত্বেও কৃষির অগ্রগতির বিষয়ে আপনার মতামত লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় প্রতিবছর কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৫.৭৭ লক্ষ হেক্টর যা প্রতিবছর প্রায় পৌনে ১ শতাংশ হারে হ্রাস পাচ্ছে। কৃষিজমি অকৃষি খাতে ব্যবহার এবং ফসল উৎপাদনে আদি কৃষকের অনাগ্রহ কৃষি জমির পরিমাণ দিন দিন কমিয়ে দিচ্ছে যা একটি চিন্তার বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বল্প কৃষির জমি ব্যবহার করে কৃষির যে অগ্রগতি সাধন হয়েছে তা চোখে পড়ার মতো। আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত কৃষি পদ্ধতির ব্যবহার, প্রযুক্তির উন্নয়ন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি, এক ফসলের নির্ভরশীলতা কমানো, বিভিন্ন হাইব্রিড প্রজাতির জাত উদ্ভাবন, মাটির ব্যবহার কমিয়ে কোকোপিট দিয়ে হাইড্রোপনিক পরিবেশে সারাবছর ফসল উৎপাদন, উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার, যা কৃষির অগ্রগতির পিছনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে কৃষিজমি কম হওয়া সত্ত্বেও।
১৬১। আগামী অর্থবছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধির হার কত হবে মর্মে আশা করা হচ্ছে? উক্ত প্রবৃদ্ধির জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : আগামী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.২%। কিন্তু করোনা মহামারিতে প্রবৃদ্ধির এ হার কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনো মহামারিতে খাদ্য, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য খাতে বিশ্বব্যাপী। ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছে। তাই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে।
খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি : খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ, যা প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।
রেমিটেন্স প্রবাহ ঠিক রাখা : রেমিটেন্স প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য প্রবাসীদের ব্যাপক উৎসাহ ও প্রণোদনা দিতে হবে। এছাড়াও ব্যবসায়িক খাতে প্রণোদনা দিয়ে ব্যবসায় টিকিয়ে রাখা, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি, আমদানি সীমিতকরণ, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আনা, বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো, বিনিয়োগ ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
১৬২। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণে কী বিধান রয়েছে তা অনুচ্ছেদ উল্লেখপূর্বক সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগ ‘মৌলিক অধিকার’ অনুসারে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক নাগরিক ১৮টি মৌলিক অধিকার ভোগ করেন। নিচে তা উল্লেখ করা হলো : অনুচ্ছেদ- ২৭: আইনের চোখে সকল নাগরিকের সমতা লাভের অধিকার
২৮(১) ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ ইত্যাদির কারণে বৈষম্য মুক্ত থাকার অধিকার
খ. কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর : তিনি গোপালগঞ্জ জেলার পাটগাতি ইউনিয়নের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
গ. কত তারিখে পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্ত হয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন?
উত্তর : তিনি ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং লন্ডন-দিল্লি হয়ে ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন।
১৫৩। মুজিবনগর সরকার গঠনের আইনি ভিত্তি কী ছিল?
উত্তর : ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পাকিস্তানের ১৬৯ আসনের ১৬৭ আসনে জয়লাভ প্রাদেশিক পরিষদের ৩১০ আসনের মধ্যে ২৯৮ আসনে জয়ী হওয়া, ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি এবং অস্থায়ী সরকার কর্তৃক ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ গৃহীত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রই মুজিবনগর সরকারের আইনী ভিত্তি।
১৫৩। কোন সংবিধান অনুযায়ী ঐ সরকার পরিচালিত হয়েছিল?
উত্তর : ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র' নামের দলিলটি মুক্তিযুদ্ধের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধান হিসেবে কার্যকর ছিল। আর এ সংবিধান অনুযায়ী মুজিবনগর সরকার পরিচালিত হয়েছিল ।
১৫৪। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে কখন ৬ দফার ঘোষণা করেন? ঐতিহাসিক উক্ত ৬ দফায় কোন বিষয়টি প্রাধান্য পায়?
উত্তর : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ঐতিহাসিক 'ছয় দফা' কর্মসূচি ঘোষণা করেন। উক্ত ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচির প্রধান বিষয় ছিল বাংলাদেশের প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন।
১৫৪। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কয়টি সেক্টরে বিভক্ত ছিল? ‘অপারেশন জ্যাকপট' কী?
উত্তর : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ সমর সমগ্র বাংলাদেশকে এগারোটি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়েছিল । পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বাংলাদেশের নৌপথ দিয়ে সৈন্য ও অন্যান্য সমর সরঞ্জাম পরিবহনের ব্যবস্থা বানচাল করার জন্য ১৬ আগস্ট ১৯৭১ প্রথম প্রহরে বাঙালি নৌ কমান্ডো বাহিনীর পরিচালিত অভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপট' নামে পরিচিত।
১৫৫। বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নাম কী এবং এ গোষ্ঠী কোন এলাকায় বসবাস করে?
উত্তর : বাংলাদেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী হলো চাকমা। এ নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বাস করে।
১৫৬। বাংলাদেশের জিডিপিতে কোন খাতের অবদান সর্বোচ্চ এবং শতকরা কত ভাগ?
উত্তর : বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২০ অনুযায়ী জিডিপিতে সেবা খাতের অবদান সর্বোচ্চ, ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতের অবদান ৫১.৩০ (সাময়িক)।
১৫৭। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি কোথায় অবস্থিত? পল্লী উন্নয়নে এর ভূমিকা আলোচনা করুন।
উত্তর : বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (BARD) কুমিল্লা জেলার কোটবাড়িতে অবস্থিত। ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান পল্লী মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ও পল্লীর দারিদ্র্য বিমোচনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
পল্লী উন্নয়নে বার্ড-এর ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রায়োগিক গবেষণার সমন্বিত প্রয়োগের ফলে বার্ড একটি বিশেষায়িত্ব প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। 'কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও সমন্বিত চাষাবাদ' মডেল ব্যবহারে কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও শ্রমিকের ঘাটতি সমাধান সম্ভব হবে। আমীণ উন্নয়ণে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি উদ্ভাবিত কুমিল্লা মডেল দেশে ও বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে এবং বিভিন্ন দেশে এ মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে। বার্ড উদ্ভাবিত বিভিন্ন কর্মসূচি যেমন কুমিল্লা মডেলের আওতায় দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সমবায় থানা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্র, পল্লী পূর্ত কর্মসূচি এবং থানা সেচ কর্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে পল্লীর উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে। এছাড়াও পল্লী উন্নয়নে বার্ড প্রাসঙ্গিক গবেষণা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ দান, দেশি, বিদেশি সেমিনার ও কর্মশালার আয়োজনের মধ্য দিয়ে পল্লীর দারিদ্র্য ও জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ৩. বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কিভাবে নির্বাচিত হন?
১৫৮গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন্যূনতম বয়স কত?
উত্তর : বাংলাদেশ সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংসদ সদস্যগণের ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি হওয়ার ন্যূনতম বয়স পঁয়ত্রিশ (৩৫) বছর।
১৫৯। মৎস্য খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিন।
উত্তর : জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাতের ভূমিকা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। দেশের মোট জিডিপি'র ৩.৫২ শতাংশ এবং কৃষিজ জিডিপি'র এক-চতুর্থাংশের বেশি (২৬.৩৭%) মৎস্য খাতের অবদান।
বর্তমান বিশ্বে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এবং স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয় । সার্বিকভাবে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ। করোনা মহামারিতে অন্যান্য খাত যেখানে ধুকছে সেখানে মৎস্য খাতের প্রবৃদ্ধি চলমান রয়েছে এবং এর প্রবৃদ্ধি বেড়েই চলেছে। মৎস্য খাতের এ ব্যাপক অগ্রগতির পিছনে যে বিষয়গুলির ভূমিকা অধিক তা হলো জেলেদের মাঝে সচেতনতা তৈরি, ডিম পাড়ার মৌসুমে মাছ ধরা নিষিদ্ধকরণ, জাটকা বেচাকেনায় নিষেধাজ্ঞা এবং দেশের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি ।
মাছ মানুষের আমিষের অন্যতম উৎস। তাই মৎস্য খাতের অগ্রগতির চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে আমিষের অভাব পূরণ এবং বিশ্বে মাছ উৎপাদনে শীর্ষে আরোহণ করার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
১৬০। বাংলাদেশে বছরে কী হারে কৃষি জমির পরিমাণ কমছে? জমির পরিমাণ কম হওয়া সত্ত্বেও কৃষির অগ্রগতির বিষয়ে আপনার মতামত লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় প্রতিবছর কৃষি জমির পরিমাণ কমছে। বাংলাদেশে মোট আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ৮৫.৭৭ লক্ষ হেক্টর যা প্রতিবছর প্রায় পৌনে ১ শতাংশ হারে হ্রাস পাচ্ছে। কৃষিজমি অকৃষি খাতে ব্যবহার এবং ফসল উৎপাদনে আদি কৃষকের অনাগ্রহ কৃষি জমির পরিমাণ দিন দিন কমিয়ে দিচ্ছে যা একটি চিন্তার বিষয়। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বল্প কৃষির জমি ব্যবহার করে কৃষির যে অগ্রগতি সাধন হয়েছে তা চোখে পড়ার মতো। আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত কৃষি পদ্ধতির ব্যবহার, প্রযুক্তির উন্নয়ন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি, এক ফসলের নির্ভরশীলতা কমানো, বিভিন্ন হাইব্রিড প্রজাতির জাত উদ্ভাবন, মাটির ব্যবহার কমিয়ে কোকোপিট দিয়ে হাইড্রোপনিক পরিবেশে সারাবছর ফসল উৎপাদন, উচ্চ ফলনশীল বীজের ব্যবহার, যা কৃষির অগ্রগতির পিছনে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে কৃষিজমি কম হওয়া সত্ত্বেও।
১৬১। আগামী অর্থবছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধির হার কত হবে মর্মে আশা করা হচ্ছে? উক্ত প্রবৃদ্ধির জন্য কি কি পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : আগামী অর্থবছর অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরের শুরুতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮.২%। কিন্তু করোনা মহামারিতে প্রবৃদ্ধির এ হার কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনো মহামারিতে খাদ্য, অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য খাতে বিশ্বব্যাপী। ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছে। তাই প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে।
খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি : খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণ, যা প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করবে।
রেমিটেন্স প্রবাহ ঠিক রাখা : রেমিটেন্স প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য প্রবাসীদের ব্যাপক উৎসাহ ও প্রণোদনা দিতে হবে। এছাড়াও ব্যবসায়িক খাতে প্রণোদনা দিয়ে ব্যবসায় টিকিয়ে রাখা, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধি, আমদানি সীমিতকরণ, বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য আনা, বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো, বিনিয়োগ ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করা প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
১৬২। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণে কী বিধান রয়েছে তা অনুচ্ছেদ উল্লেখপূর্বক সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগ ‘মৌলিক অধিকার’ অনুসারে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক নাগরিক ১৮টি মৌলিক অধিকার ভোগ করেন। নিচে তা উল্লেখ করা হলো : অনুচ্ছেদ- ২৭: আইনের চোখে সকল নাগরিকের সমতা লাভের অধিকার
২৮(১) ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ ইত্যাদির কারণে বৈষম্য মুক্ত থাকার অধিকার
২৯(১) : সরকারি নিয়োগে সমতা লাভের অধিকার
৩০ : রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিদেশি খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধ।
৩১ : আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার
৩২: জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা লাভের অধিকার
৩৩ : গ্রেফতার ও আটকের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কারণ জানার অধিকার
৩৪ : জোরজবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধ করণের অধিকার
৩৫ : যথাযথ বিচার লাভ ও শাস্তি ভোগের অধিকার
৩৬ : চলাফেরার স্বাধীনতার অধিকার
৩৭ : সমাবেশের অধিকার
৩৮ : সংগঠনের স্বাধীনতার অধিকার
৩৯ : চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার অধিকার
৪০ : পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতার অধিকার
৪১ : ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার
৪২ : সম্পত্তি লাভের অধিকার
৪৩ : নিরাপত্তার সহিত বাসগৃহে বসবাস এবং চিঠিপত্র ও অন্যান্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা লাভের অধিকার
৪৪ : মৌলিক অধিকার বলবৎকরণের অধিকার।
১৬৩। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা কী? বাংলাদেশে এ রকম এলাকা আছে কি?
উত্তর : কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে বা ভবিষ্যতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এবং সেখানকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঐ নির্দিষ্ট এলাকাকে ECA বা Ecologically Critical Area ঘোষণা করা হয় বা ঐ এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে বিভিন্ন সময়ে কিছু এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে ১৩টি এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকাগুলো হলো- সুন্দরবন, কক্সবাজার টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সোনাদিয়া দ্বীপ, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, মারজাত বাঁওড়, গুলশান-বারিধারা লেক, বুড়িগঙ্গা নদী, তুরাগ নদী, বালু নদী, শীতলক্ষ্যা নদী এবং জাফলং-ডাউকি নদী।
১৬৪। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুন্দরবনের গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখুন।
৩০ : রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমোদন ব্যতীত বিদেশি খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধ।
৩১ : আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার
৩২: জীবন ও ব্যক্তি স্বাধীনতা লাভের অধিকার
৩৩ : গ্রেফতার ও আটকের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কারণ জানার অধিকার
৩৪ : জোরজবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধ করণের অধিকার
৩৫ : যথাযথ বিচার লাভ ও শাস্তি ভোগের অধিকার
৩৬ : চলাফেরার স্বাধীনতার অধিকার
৩৭ : সমাবেশের অধিকার
৩৮ : সংগঠনের স্বাধীনতার অধিকার
৩৯ : চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার অধিকার
৪০ : পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতার অধিকার
৪১ : ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার
৪২ : সম্পত্তি লাভের অধিকার
৪৩ : নিরাপত্তার সহিত বাসগৃহে বসবাস এবং চিঠিপত্র ও অন্যান্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা লাভের অধিকার
৪৪ : মৌলিক অধিকার বলবৎকরণের অধিকার।
১৬৩। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা কী? বাংলাদেশে এ রকম এলাকা আছে কি?
উত্তর : কোনো একটি নির্দিষ্ট স্থান সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে বা ভবিষ্যতে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় এবং সেখানকার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ঐ নির্দিষ্ট এলাকাকে ECA বা Ecologically Critical Area ঘোষণা করা হয় বা ঐ এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিবেশগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ অনুসারে বিভিন্ন সময়ে কিছু এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে ১৩টি এলাকাকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এলাকাগুলো হলো- সুন্দরবন, কক্সবাজার টেকনাফ সমুদ্র সৈকত, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সোনাদিয়া দ্বীপ, হাকালুকি হাওর, টাঙ্গুয়ার হাওর, মারজাত বাঁওড়, গুলশান-বারিধারা লেক, বুড়িগঙ্গা নদী, তুরাগ নদী, বালু নদী, শীতলক্ষ্যা নদী এবং জাফলং-ডাউকি নদী।
১৬৪। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুন্দরবনের গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ফুসফুস খ্যাত সুন্দরবন অক্সিজেনের এক বিশাল ফ্যাক্টরি হিসেবে কাজ করে। সুন্দরবনের মোট আয়তনের প্রায় ৬২ শতাংশ বাংলাদেশে। সমুদ্র থেকে ওঠে আসা দুর্যোগগুলোকে প্রথমেই মোকাবেলা করে এ বন। বন একদিকে যেমন আমাদের বড় বিপদ থেকে রক্ষা করছে অন্যদিকে এ বনের অর্থনৈতিক গুরুত্বও । অরপরিসীম নিচে সুন্দরবনের গুরুত্ব সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো :
১. প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা : প্রলয়ংকারী সিডর, আইলা, রোয়ানু, বুলবুল ও ফনির ক্ষত কাটতে না কাটতেই আম্পানের সামনে বুকপেতে দিয়ে উপকূলীয় মানুষকে রক্ষা করছে।
২. বনজ সম্পদের বিশাল ভান্ডার : এ বন থেকে আমরা বনজ সম্পদের চাহিদা পূরণ করছি
১. প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা : প্রলয়ংকারী সিডর, আইলা, রোয়ানু, বুলবুল ও ফনির ক্ষত কাটতে না কাটতেই আম্পানের সামনে বুকপেতে দিয়ে উপকূলীয় মানুষকে রক্ষা করছে।
২. বনজ সম্পদের বিশাল ভান্ডার : এ বন থেকে আমরা বনজ সম্পদের চাহিদা পূরণ করছি
৩. প্রাকৃতিক পরিবেশ ভারসাম্য: সুন্দরবন হলো বাংলাদেশের অক্সিজেনের ফ্যাক্টরি যা অক্সিজেন প্রদান ও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করছে।
১৬৫। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ-এর গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে এ স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বিকাল ৩.২০ মিনিটে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ১৮ মিনিট ব্যাপী যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। স্বাধীনতা অর্জনে ৭ মার্চ ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসলেও মূলত ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেন পরোক্ষভাবে। এই ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতাকামী মানুষ, সচেতন নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, দেশপ্রেমিক, সাধারণ জনতা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয় ও দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এক দুঃসাহসিক প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ভাষণে সুস্পষ্টভাবে নাগরিকের অধিকার আদায়ের জন্য প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে ও মুক্তি পেতে হবে এ বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া ছিল। যার ফলে মুক্তিকামী মানুষ খুব সহজেই স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই বলা যায় যে, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ ছিল এক মুক্তির ভাষণ।
১৬৬। কৃষিতে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর : কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষনীয়। কৃষি জমি কমতে থাকা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরা, লবণাক্ততা এবং বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা এবং দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন তিনগুণেরও বেশি, গম দ্বিগুণ, খাদ্য শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশের তালিকায় ওঠে এসেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, মাছ উৎপাদনে পঞ্চম, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। আর নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবনে বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
সবজি পাঁচগুণ এবং ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে দশগুণ। স্বাধীনতার পর দেশের হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন হতো ২ টন যা এখন উৎপাদিত হচ্ছে ৬ টনেরও বেশি, আর ভুট্টার গড় উৎপাদনে বিশ্বের গড় উৎপাদনের চেয়ে ১.৭৬ টন বেশি। উৎপাদন করছে বাংলাদেশ।
তাই বলা যায় দেশের যত উন্নয়ন হয়েছে তার মধ্যে খাদ্য ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি অন্যতম।
১৬৫। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ-এর গুরুত্ব সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে এ স্বাধীনতা একদিনে অর্জিত হয়নি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বিকাল ৩.২০ মিনিটে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ১৮ মিনিট ব্যাপী যে ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন তা ছিল মূলত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। স্বাধীনতা অর্জনে ৭ মার্চ ভাষণের গুরুত্ব অপরিসীম। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসলেও মূলত ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেন পরোক্ষভাবে। এই ভাষণের মাধ্যমে স্বাধীনতাকামী মানুষ, সচেতন নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী, দেশপ্রেমিক, সাধারণ জনতা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয় ও দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য এক দুঃসাহসিক প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ভাষণে সুস্পষ্টভাবে নাগরিকের অধিকার আদায়ের জন্য প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে ও মুক্তি পেতে হবে এ বিষয়ে পরিষ্কার নির্দেশনা দেওয়া ছিল। যার ফলে মুক্তিকামী মানুষ খুব সহজেই স্বাধীনতার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাই বলা যায় যে, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের জন্য ৭ মার্চের ভাষণ ছিল এক মুক্তির ভাষণ।
১৬৬। কৃষিতে বাংলাদেশের অবস্থান ব্যাখ্যা করুন।
উত্তর : কৃষিতে বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষনীয়। কৃষি জমি কমতে থাকা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, অতিবৃষ্টি, খরা, লবণাক্ততা এবং বৈরী প্রকৃতিতেও খাদ্যশস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উদাহরণ। বন্যা, খরা, লবণাক্ততা এবং দুর্যোগ সহিষ্ণু শস্যের জাত উদ্ভাবনেও শীর্ষে বাংলাদেশের নাম। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন তিনগুণেরও বেশি, গম দ্বিগুণ, খাদ্য শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর ক্ষেত্রে শীর্ষ দেশের তালিকায় ওঠে এসেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয়, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, মাছ উৎপাদনে পঞ্চম, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আম উৎপাদনে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে। আর নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবনে বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
সবজি পাঁচগুণ এবং ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে দশগুণ। স্বাধীনতার পর দেশের হেক্টর প্রতি চাল উৎপাদন হতো ২ টন যা এখন উৎপাদিত হচ্ছে ৬ টনেরও বেশি, আর ভুট্টার গড় উৎপাদনে বিশ্বের গড় উৎপাদনের চেয়ে ১.৭৬ টন বেশি। উৎপাদন করছে বাংলাদেশ।
তাই বলা যায় দেশের যত উন্নয়ন হয়েছে তার মধ্যে খাদ্য ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি অন্যতম।
১৬৭। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে আপনার মনে হয়— সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : পদ্মা সেতু নিঃসন্দেহে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়নে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অংশের সেতুবন্ধন তৈরি হবে। পায়রা বন্দর, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতসহ দুই তীরে গড়ে ওঠা অর্থনৈতিক জোনগুলোকে সরাসরি সংযুক্ত করবে রাজধানীর সঙ্গে। গতি পাবে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা। এতে মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ১ থেকে ১.৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। দারিদ্র্যের হার কমবে ০.৮৪ শতাংশ। নতুন করে গড়ে ওঠবে ভারি শিল্প কারখানা। আর এরই অপেক্ষায় যেন বাংলাদেশ, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে প্রধানত তিন ধরনের পরিবর্তন আসবে। যথা : প্রথমত, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ, ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়বে।
দ্বিতীয়ত, কৃষিপণ্য সরাসরি কম সময়ের ভিতর রাজধানীসহ অন্যত্র কৃষক সরাসরি পাঠাতে পারবেন এবং ভালো দাম পাবেন। তৃতীয়ত, যোগাযোগের সহজলভ্যতার কারণে ব্যাপক বিসা ও বাণিজ্যের অগ্রগতি হবে এবং ঐ অঞ্চলের কাঠামোগত পরিবর্তন সাধিত হবে।
পরিশেষে বলা যায়, পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে।
১৬৮। বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত চারটি মূলনীতি কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশ সংবিধানের 'দ্বিতীয় ভাগে’ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি শিরোনামে ৮ থেকে ২৫ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত চারটি মূলনীতি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এগুলো হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। নিচে মূলনীতিগুলো আলোচনা করা হলো :
ক. জাতীয়তাবাদ : বাঙালি জাতি যে ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, সেই বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি ।
খ. সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি : মানুষের উপর মানুষের শোষণের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে। সমাজতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করার লক্ষ্য হলো মেহনতি মানুষকে সকল প্রকার শোষণ হতে মুক্তি দেওয়া ।
গ. গণতন্ত্র : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যেখানে মৌলিক মানবাধিকার, স্বাধীনতার নিশ্চয়তা এবং মানব সত্তার মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হবে এবং প্রশাসনের সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
ঘ. ধর্মনিরপেক্ষতা : বাংলাদেশ হবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যেখানে রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনো ধর্মের ব্যবহার, কোনো বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির বৈষম্য বা তার উপর উৎপীড়ন করা হবে না।
পরিশেষে বলা যায়, মূলনীতিগুলো হলো রাষ্ট্র শাসনের মূলসূত্র। সরকারের কর্তব্য হলো রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে মূলনীতিগুলো প্রয়োগ করা ।
১৬৮। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন। প্রায় দশ লক্ষাধিক লোকের সামনে বজ্রকণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেন, 'এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' তিনি এ ভাষণটি দিয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে। মূলত এ ভাষণেই তিনি বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ভাষণটি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। নিচে ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হলো :
১. দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা।
দ্বিতীয়ত, কৃষিপণ্য সরাসরি কম সময়ের ভিতর রাজধানীসহ অন্যত্র কৃষক সরাসরি পাঠাতে পারবেন এবং ভালো দাম পাবেন। তৃতীয়ত, যোগাযোগের সহজলভ্যতার কারণে ব্যাপক বিসা ও বাণিজ্যের অগ্রগতি হবে এবং ঐ অঞ্চলের কাঠামোগত পরিবর্তন সাধিত হবে।
পরিশেষে বলা যায়, পদ্মা সেতু দেশের অর্থনীতিতে বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে।
১৬৮। বাংলাদেশের সংবিধানে বর্ণিত চারটি মূলনীতি কী কী?
উত্তর : বাংলাদেশ সংবিধানের 'দ্বিতীয় ভাগে’ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি শিরোনামে ৮ থেকে ২৫ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত চারটি মূলনীতি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এগুলো হলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। নিচে মূলনীতিগুলো আলোচনা করা হলো :
ক. জাতীয়তাবাদ : বাঙালি জাতি যে ঐক্যবদ্ধ ও সংকল্পবদ্ধ সংগ্রাম করে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করেছে, সেই বাঙালি জাতির ঐক্য ও সংহতি হবে বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি ।
খ. সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি : মানুষের উপর মানুষের শোষণের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়ানুগ ও সাম্যবাদী সমাজ নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হবে। সমাজতন্ত্রকে মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করার লক্ষ্য হলো মেহনতি মানুষকে সকল প্রকার শোষণ হতে মুক্তি দেওয়া ।
গ. গণতন্ত্র : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। যেখানে মৌলিক মানবাধিকার, স্বাধীনতার নিশ্চয়তা এবং মানব সত্তার মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হবে এবং প্রশাসনের সব পর্যায়ে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
ঘ. ধর্মনিরপেক্ষতা : বাংলাদেশ হবে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র, যেখানে রাষ্ট্র কর্তৃক কোনো ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কোনো ধর্মের ব্যবহার, কোনো বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির বৈষম্য বা তার উপর উৎপীড়ন করা হবে না।
পরিশেষে বলা যায়, মূলনীতিগুলো হলো রাষ্ট্র শাসনের মূলসূত্র। সরকারের কর্তব্য হলো রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে মূলনীতিগুলো প্রয়োগ করা ।
১৬৮। বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের গুরুত্ব সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবনের শ্রেষ্ঠ ভাষণটি দিয়েছিলেন। প্রায় দশ লক্ষাধিক লোকের সামনে বজ্রকণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেন, 'এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।' তিনি এ ভাষণটি দিয়েছিলেন তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে। মূলত এ ভাষণেই তিনি বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ভাষণটি ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। নিচে ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হলো :
১. দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা।
২. অত্যাচার ও সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো
৩. প্রতিটি বাঙালিকে যুদ্ধ জয়ের প্রেরণা দেওয়া।
৪. সংগ্রাম ও ঐক্যের মূলমন্ত্র হিসেবে নির্দেশনা।
৩. প্রতিটি বাঙালিকে যুদ্ধ জয়ের প্রেরণা দেওয়া।
৪. সংগ্রাম ও ঐক্যের মূলমন্ত্র হিসেবে নির্দেশনা।
৫. স্বাধীনতা সংগ্রামের ঐতিহাসিক মুহূর্তে রণাঙ্গনে যাওয়ার উদ্দীপনা যুগিয়েছিল।
৬. একটি দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত রচনা করেছে এ ভাষণ।
৬. একটি দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত রচনা করেছে এ ভাষণ।
৭. এ ভাষণ বাংলাদেশের মানুষের জন্য তখন একটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে।
পরিশেষে বলা যায়, এ ভাষণ শুধু বাংলার মানুষের জন্য নয়,
সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
১৬৯। বাংলাদেশের সংবিধানের কোন ভাগে এবং কতটি অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। মৌলিক অধিকার বলবৎকরণের পদ্ধতি কী?
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগ’ মৌলিক অধিকার শিরোনামে ২৬ থেকে ৪৭ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকগণ ১৮ ধরনের মৌলিক অধিকার ভোগ করে থাকেন।
বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয় তবে তা বলবৎকরণের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৪ (১) অনুযায়ী অধিকারগুলো বলবৎ করার জন্য বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ নম্বর অনুচ্ছেদের (১) নম্বর দফা অনুযায়ী হাইকার্টে মামলা করে মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ করতে পারবেন।
আবার, অনুচ্ছেদ ৪৪ (২) অনুযায়ী সংবিধানের ১০২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগের যে ক্ষমতা আছে তাতে হস্তক্ষেপ না করে সংসদ ইচ্ছা করলে অন্য কোনো
আদালতকে আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে উক্ত অনুচ্ছেদে বর্ণিত যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের অনুমস্থি দিতে পারেন।
পরিশেষে বলা যায়, এ ভাষণ শুধু বাংলার মানুষের জন্য নয়,
সারা বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
১৬৯। বাংলাদেশের সংবিধানের কোন ভাগে এবং কতটি অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। মৌলিক অধিকার বলবৎকরণের পদ্ধতি কী?
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় ভাগ’ মৌলিক অধিকার শিরোনামে ২৬ থেকে ৪৭ অনুচ্ছেদ পর্যন্ত মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নাগরিকগণ ১৮ ধরনের মৌলিক অধিকার ভোগ করে থাকেন।
বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যদি মৌলিক অধিকার হতে বঞ্চিত হয় তবে তা বলবৎকরণের জন্য নিম্নলিখিত পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৪ (১) অনুযায়ী অধিকারগুলো বলবৎ করার জন্য বাংলাদেশ সংবিধানের ১০২ নম্বর অনুচ্ছেদের (১) নম্বর দফা অনুযায়ী হাইকার্টে মামলা করে মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ করতে পারবেন।
আবার, অনুচ্ছেদ ৪৪ (২) অনুযায়ী সংবিধানের ১০২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্ট বিভাগের যে ক্ষমতা আছে তাতে হস্তক্ষেপ না করে সংসদ ইচ্ছা করলে অন্য কোনো
আদালতকে আদালতের এখতিয়ারের স্থানীয় সীমার মধ্যে উক্ত অনুচ্ছেদে বর্ণিত যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগের অনুমস্থি দিতে পারেন।
১৭০। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি কে? তিনি বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে এখন উন্নয়নের রোল মডেল'বিষয়ে আপনার মতামত সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে এডিবি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে উপমহাদেশের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখছে। বাংলাদেশকে পৃথিবীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল করতে যে বিষয়গুলো ব্যাপর ভূমিকা রেখেছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
১ শিক্ষাখাতে সাফল্য : বর্তমানে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৪% শতাংশ, শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সরকার বছরের ১ম দিনে সব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করছে। ঝরে পড়া ঠেকাতে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত।
২. স্বাস্থ্য সেবায় সাফল্য : শিশুদের টিকাদান, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, জেলায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেছে।
৩ নারী ও শিশু উন্নয়নে এবং নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্য : তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে নারী ও শিশুর উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও নারীর বঞ্চনার তিক্ত অভিজ্ঞতাকে পিছনে ফেলে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে।
৪. ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন : ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে সরকার যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। করা হয়েছে বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। গঠন
৫. কৃষিতে কৃতিত্ব ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন : কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, মানসম্মত বীজ ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন কয়েকগুণ। বেড়েছে যার ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক দেশ।
পরিশেষে বলা যায়, উন্নয়নের এই ধারায় ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে রূপান্তর আর স্বপ্ন। নয় বাস্তবতা। এসব কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে এক উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
১৭১। জলবায়ু পরিবর্তন বলতে কী বোঝায়? বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে পাঁচটি ক্ষতিকর প্রভাবের নাম উল্লেখ করুন।
উত্তর : কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন যার ব্যাপ্তি কয়েক যুগ থেকে কয়েক লক্ষ বছর পর্যন্ত হতে পারে তাকে জলবায়ু পরিবর্তন বলা হয়। জলবায়ু পরিবর্তন বিভিন্ন নিয়ামকের উপর নির্ভর হতে পারে যেমন জৈব প্রক্রিয়াসমূহ ভূত্বক গঠনের পাততত্ত্ব, সৌর বিকিরণের পরিবর্তন, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ইত্যাদি। তাই বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তন হলো কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা এলাকার দীর্ঘমেয়াদে আবহাওয়ার পরিবর্তন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। নিম্নে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের পাঁচটি ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ করা হলো :
১. ঋতুর পরিবর্তন : পৃথিবীর পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঋতুর আগমন ও প্রস্থানের সময় কাল পরিবর্তিত হচ্ছে। এতে গ্রীষ্মকালে অস্বাভাবিক গরম ও শীতকালে তীব্র শীত দেখা যাচ্ছে।
২. বৃষ্টিপাত হ্রাস : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে পূর্বের চেয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃষ্টিপাতের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে যার ফলে ফসল উৎপাদনে ৮ এটি ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে।
৩. লবণাক্ততা বৃদ্ধি : বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদ-নদীর পানি প্রবাহ শুকনো মৌসুমে স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে না। ফলে নদীর পানির বিপুল চাপের কারণে সমুদ্রের লোনাপানি যতটুকু এলাকা জুড়ে আটকে থাকার কথা ততটুকু থাকে না। তাই পানির প্রবাহ কম থাকার কারণে সমুদ্রের লোনাপানি স্থলভাগের কাছাকাছি চলে আসছে।
৪. প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি : জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদী ভাঙনসহ নানারকম দুর্যোগ।
৫. মরুময়তা: প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মরুময়ভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে এর প্রভাবটা সবচেয়ে বেশি।
১৭২। পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
উত্তর : অর্থনৈতিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে এডিবি, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশকে উপমহাদেশের উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখছে। বাংলাদেশকে পৃথিবীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল করতে যে বিষয়গুলো ব্যাপর ভূমিকা রেখেছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো।
১ শিক্ষাখাতে সাফল্য : বর্তমানে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৭৪.৪% শতাংশ, শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে সরকার বছরের ১ম দিনে সব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে বই বিতরণ করছে। ঝরে পড়া ঠেকাতে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রাথমিক স্তর পর্যন্ত।
২. স্বাস্থ্য সেবায় সাফল্য : শিশুদের টিকাদান, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, জেলায় হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক পরিবর্তন সাধন করেছে।
৩ নারী ও শিশু উন্নয়নে এবং নারীর ক্ষমতায়নে সাফল্য : তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে নারী ও শিশুর উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখায় জাতিসংঘের সাউথ-সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও নারীর বঞ্চনার তিক্ত অভিজ্ঞতাকে পিছনে ফেলে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে।
৪. ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন : ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে সরকার যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ৪৫৫০টি ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। করা হয়েছে বিশাল ন্যাশনাল ওয়েব পোর্টাল। গঠন
৫. কৃষিতে কৃতিত্ব ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন : কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার, মানসম্মত বীজ ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদন কয়েকগুণ। বেড়েছে যার ফলে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ এক দেশ।
পরিশেষে বলা যায়, উন্নয়নের এই ধারায় ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে রূপান্তর আর স্বপ্ন। নয় বাস্তবতা। এসব কারণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে এক উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
১৭১। জলবায়ু পরিবর্তন বলতে কী বোঝায়? বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে পাঁচটি ক্ষতিকর প্রভাবের নাম উল্লেখ করুন।
উত্তর : কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন যার ব্যাপ্তি কয়েক যুগ থেকে কয়েক লক্ষ বছর পর্যন্ত হতে পারে তাকে জলবায়ু পরিবর্তন বলা হয়। জলবায়ু পরিবর্তন বিভিন্ন নিয়ামকের উপর নির্ভর হতে পারে যেমন জৈব প্রক্রিয়াসমূহ ভূত্বক গঠনের পাততত্ত্ব, সৌর বিকিরণের পরিবর্তন, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ইত্যাদি। তাই বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তন হলো কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চল বা এলাকার দীর্ঘমেয়াদে আবহাওয়ার পরিবর্তন।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। নিম্নে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের পাঁচটি ক্ষতিকর প্রভাব উল্লেখ করা হলো :
১. ঋতুর পরিবর্তন : পৃথিবীর পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সাথে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঋতুর আগমন ও প্রস্থানের সময় কাল পরিবর্তিত হচ্ছে। এতে গ্রীষ্মকালে অস্বাভাবিক গরম ও শীতকালে তীব্র শীত দেখা যাচ্ছে।
২. বৃষ্টিপাত হ্রাস : জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দেশে পূর্বের চেয়ে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৃষ্টিপাতের মাত্রা আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে যার ফলে ফসল উৎপাদনে ৮ এটি ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছে।
৩. লবণাক্ততা বৃদ্ধি : বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় নদ-নদীর পানি প্রবাহ শুকনো মৌসুমে স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে না। ফলে নদীর পানির বিপুল চাপের কারণে সমুদ্রের লোনাপানি যতটুকু এলাকা জুড়ে আটকে থাকার কথা ততটুকু থাকে না। তাই পানির প্রবাহ কম থাকার কারণে সমুদ্রের লোনাপানি স্থলভাগের কাছাকাছি চলে আসছে।
৪. প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি : জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশে বৃদ্ধি পেয়েছে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, নদী ভাঙনসহ নানারকম দুর্যোগ।
৫. মরুময়তা: প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে মরুময়ভাব দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে এর প্রভাবটা সবচেয়ে বেশি।
১৭২। পদ্মা সেতুর অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব সংক্ষেপে বর্ণনা করুন।
উত্তর : যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে একটি দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আবর্তিত হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে কৃষিপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল এবং শিল্পজাত পণ্য সামগ্রী সহজে ও স্বল্প ব্যয়ে স্থানান্তর করতে সুবিধা হয়। যা দেশের উৎপাদন বৃদ্ধি, শিল্প ও ব্যবসায়ের প্রসার ঘটাতে সাহায্য করে। নিজে পদ্মাসেতুর অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব তুলে ধরা হলো:
উৎপাদন বৃদ্ধি : কাঁচামাল পরিবহনের সহজলভ্যতা ও শিল্পের বিকাশের ফলে ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
ব্যবসায় সম্প্রসারণ ও শিল্পের বিকাশ : যোগাযোগের উন্নতির কারণে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ব্যবসায় সাম্প্রসারণ ও অধিক শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও বিনিয়োগ : পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন যোগাযোগের ফলে শিল্পের উন্নয়নের কারণে সেতুর দুই পাড়ের মানুষের জীবনযাত্রার মানের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে।
সমুদ্র ও স্থল বন্দরগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার : চট্টগ্রামের পাশাপাশি পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরগুলোর ব্যবহারের বিস্তৃততা বাড়বে। একই সাথে বেনাপোলসহ দেশের অন্যান্য স্থল বন্দরগুলোতে কার্যক্রম ব্যাপক আকারে বেড়ে যাবে।
পরিশেষে বলা যায়, সেতুর কারণে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ বেড়ে যাবে আর প্রতিবছর দারিদ্র্য নিরসন হবে ০.৮৪ ভাগ এবং নিঃসন্দেহে পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করেই ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতি আবর্তিত হবে।
১৭৩। বর্তমান সরকারের গৃহীত 'Fast track project' সমূহের নাম লিখুন।
উত্তর : যে বড় প্রকল্পগুলো অগ্রাধিকারভিত্তিতে বাস্তবায়নে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করে তাকে 'Fast track projer বলে। বর্তমান সরকারের গৃহীত ১০টি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প নিয়ে উল্লেখ করা হলো :
ক. পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প : সরকারের সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত প্রকল্প এটি।
খ. মেট্রোরেল প্রকল্প : ঢাকার উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের মাধ্যমে নতুন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি হবে।
গ. পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ : পদ্মা সেতু রেল সংযোগটি ঢাকার সাথে দক্ষিণ বঙ্গের জেলাগুলোকে সরাসরি রেল যোগাযোগে সংযুক্ত করবে।
ঘ. দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেল প্রকল্প : এ প্রকল্প চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজারের ঘুমধুম সীমান্ত অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বাড়াবে।
ঙ. রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প : ২৪০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন প্রকল্পটি দেশের বিদ্যুৎ-এর চাহিদা মেটাবে।
চ. রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র : রামপালে নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এটি।
ছ. এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প : মহেশখালিতে অবস্থিত এ প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে।
জ. মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প : মহেশখালি-মাতারবাড়ীতে এ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।
ঝ. গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প : প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্টের আশঙ্কায় সোনাদিয়ায় অবস্থিত এ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে।
ঞ. পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প : চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ায় রাবনাবাদ চ্যানেলে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৭৪। কৃষিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যে সরকারের পদক্ষেপসমূহ সংক্ষেপে উল্লেখ করুন।
উত্তর : কৃষি এদেশের অর্থনীতির এক অতি গুরুত্বপূর্ণ খাত। কৃষি এদেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের অন্যতম উৎস। কৃষিতে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো নিচে তুলে ধরা হলো :
১. গুণগতমানসম্পন্ন ফসলের বীজ কৃষকদের প্রদান : সরকার বিএডিসির মাধ্যমে মানসম্মত বীজ কৃষকদের প্রদান নিশ্চিত করেছে।
২. নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন : প্রজননবিদরা নতুন নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করছে যা উৎপাদন ত্বরান্বিত করছে।
৩. সারের মূল্য হ্রাস ও দক্ষ ব্যবস্থাপনা : কৃষক স্বল্প মূল্যে ও সঠিক সময়ে সার পাচ্ছে যার সুষম প্রয়োগে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৪. বেসরকারি বীজ আমদানি উৎসাহিতকরণ : প্রাইভেট সেক্টর দেশে প্রচুর সবজি বীজ আমদানির মধ্য দিয়ে যোগান বৃদ্ধি করায় সবজি ও ফসলের ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে।
৫. কৃষি যন্ত্রপাতির উন্নয়ন ও ভর্তুকি প্রদান : কৃষক আজ উন্নতমানের কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছে এবং ভর্তুকি মূল্যে এ কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করতে পারছে।
৬. ডিজিটাল কৃষি ব্যবস্থা প্রচলন : কৃষি তথ্য সার্ভিসের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে কৃষক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ গ্রহণ করছে যা কৃষির বিকাশ ঘটাচ্ছে।
১৭৫। 'Energy and Power'-এ সরকারের সাফল্য সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : বর্তমান সরকারের সাফল্যের অন্যতম প্রধান খাত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি। যেকোনো দেশের উন্নয়নে এ খাত সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। নিচে 'Energy and Power সেক্টরে সরকারের সাফল্য তুলে ধরা হলো : DIM বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪৫৯৪ মেগা ওয়াট (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। মাথাপিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২০ কিলোওয়াট ঘণ্টা থেকে বেড়ে ৫১২ কিলোওয়াট ঘণ্টায় উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ সুবিধাগোষ্ঠীর আওতায় এসেছে প্রায় ৯৯ শতাংশ জনগোষ্ঠী। প্রায় ৬০ লক্ষ সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে গ্রিড সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে। বিদ্যুৎ বিতরণ লস ৯.৩৫ শতাংশ থেকে নেমে ৮.৭৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বিদ্যুৎ খাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য ১২৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন এবং ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরের ২ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।
বিদ্যুতের উন্নয়নের জন্য রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্প এবং রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণাধীন রয়েছে ।
এছাড়াও এ খাতের উন্নয়নের জন্য স্মার্ট প্রি-পেইড মিটার স্থাপন, সমন্বিত ইআরপি বাস্তবায়ন, অনলাইনে বিদ্যুৎ বিল প্রদানের ব্যবস্থা সরকারকে ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছে। যা প্রমাণ করে 'Energy & Power সেক্টরে সরকারের সাফলা।
১৭৬। আমাদের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে শত্রুর হাত থেকে মাতৃভাষা বাংলাকে ছিনিয়ে আনেন সালাম, রফিক, জব্বার ও বরকতসহ অনেক বীর সন্তান। আর এ ভাষা আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশেষ অবদান রয়েছে। মূলত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা ঘটে এ আন্দোলনের মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান সৃষ্টির পর রাজনীতিবিদসহ ১৪ জন ভাষাবীর ২১ দফা দাবি নিয়ে একটি ইস্তেহার প্রণয়ন করেছিলেন। ঐ ইস্তেহারের দ্বিতীয় দাবিটি ছিল রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত। এ ইস্তেহার প্রণয়নে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য এবং তিনি ছিলেন অন্যতম স্বাক্ষরদাতা। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের ১০ দফা দাবীর অন্যতম দাবি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা, যা উত্থানের কুশীলব ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পালিত দেশের প্রথম সফল হরতাল পালনে নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় শেখ মুজিব কারাগারে থাকলেও আন্দোলনকারীদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিতেন।
১৭৭। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ভাষণ'-এর যেকোনো পাঁচটি লাইন লিখুন ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ঐতিহাসিক এক ভাষণ দিয়েছিলেন। এ ভাষণের মাধ্যমে তিনি নির্যাতিত বাঙালিকে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে নিরস্ত্র বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর । এ ভাষণের প্রতিটি কথাই বাঙালিকে উজ্জিবীত করে। নিচে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পাঁচটি লাইন তুলে ধরা হলো ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বোঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়।
১৭৮। 'Vision-2021'-এর উপর সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : Vision-2021 বা রূপকল্প ২০২১ ছিল ২০০৮ সালের : জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি নির্বাচনী ইশতেহার। ২০২১ সালে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে গৃহীত পরিকল্পনাগুলোই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভিশন ২০২১ নামে পরিচিতি লাভ করে। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে সরকারের গৃহীত সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিকল্পনাসমূহ :
১. শক্তিশালী গণতন্ত্র ও সংসদ প্রতিষ্ঠা।
২. রাজনৈতিক কাঠামো ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ।
৩. সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও রাজনৈতিক সংস্কৃতির আদান প্রদান।
৪. দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গঠন।
৫. নারীর ক্ষমতায়ন ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনাসমূহ:
১. মৌলিক চাহিদা পূরণ।
২. জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর।
৩. দারিদ্র্যের হ্রাস।
৪. খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ।
৫. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন।
৪. খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ।
৫. শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের মানোন্নয়ন।
৬. শিল্প উন্নয়ন ও জ্বালানি নিরাপত্তা।
৭. অবকাঠামো উন্নয়ন।
১৮৯। 'করোনাভাইরাস' কী? সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : করোনাভাইরাস অনেকগুলো ভাইরাসের একটি বড় পরিবার এবং অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস যা জীবজন্তু ও মানুষের কারণ হতে পারে। বেশ কয়েকটি করোনাভাইরাস মিলে মানুষের মধ্যে সাধারণ ঠান্ডা লাগা থেকে শুরু করে মিডিল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম এবং সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম-এর মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে। করোনাভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি হলো কোভিড-১৯ যা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হচ্ছে। এই নতুন ভাইরাস বা রোগটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে ছড়িয়ে বর্তমানে বিশ্বের ১৯১টি দেশের প্রায় নয় কোটি মানুষকে আক্রান্ত এবং প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাস মানুষের হাঁচি, কাশি, ড্রপলেটের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শকৃত জিনিস এবং কাছাকাছি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
নতুন এই নোভেল করোনাভাইরাস দ্বারা পুরো বিশ্ব এলোমেলো হয়ে গিয়েছে গত এক বছরে কিন্তু আশার কথা হলো বিজ্ঞানীরা স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকা আবিষ্কারের কারণে এর দ্রুত বিস্তার রোধ ও এর দ্বারা ঘটিত মৃত্যু কমানো সম্ভব হবে।
১৮০। সাংবিধানিক পদ বলতে কী বুঝায়? চারটি সাংবিধানিক পদের নাম লিখুন।
উত্তর : সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের যে পদগুলোর নিয়োগ পদ্ধতি, পদের মেয়াদ, পদত্যাগ ও অপসারণ, পদমর্যাদা ও গুরুত্ব এবং কার্যাবলি সংবিধানে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে তাকে সাংবিধানিক পদ বলে। নিচে ৪টি সাংবিধানিক পদের নাম উল্লেখ করা হলো : ১. রাষ্ট্রপতি ২. প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ৩. প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিগণ ৪. স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার।
১৮১। মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের পার্থক্যগুলো লিখুন।
৭. অবকাঠামো উন্নয়ন।
১৮৯। 'করোনাভাইরাস' কী? সংক্ষেপে আলোচনা করুন।
উত্তর : করোনাভাইরাস অনেকগুলো ভাইরাসের একটি বড় পরিবার এবং অত্যন্ত সংক্রামক একটি ভাইরাস যা জীবজন্তু ও মানুষের কারণ হতে পারে। বেশ কয়েকটি করোনাভাইরাস মিলে মানুষের মধ্যে সাধারণ ঠান্ডা লাগা থেকে শুরু করে মিডিল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম এবং সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম-এর মতো মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে। করোনাভাইরাসের একটি নতুন প্রজাতি হলো কোভিড-১৯ যা মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হচ্ছে। এই নতুন ভাইরাস বা রোগটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে ছড়িয়ে বর্তমানে বিশ্বের ১৯১টি দেশের প্রায় নয় কোটি মানুষকে আক্রান্ত এবং প্রায় সাড়ে ১৮ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটিয়েছে। নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাস মানুষের হাঁচি, কাশি, ড্রপলেটের মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শকৃত জিনিস এবং কাছাকাছি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
নতুন এই নোভেল করোনাভাইরাস দ্বারা পুরো বিশ্ব এলোমেলো হয়ে গিয়েছে গত এক বছরে কিন্তু আশার কথা হলো বিজ্ঞানীরা স্বল্প সময়ের মধ্যে টিকা আবিষ্কারের কারণে এর দ্রুত বিস্তার রোধ ও এর দ্বারা ঘটিত মৃত্যু কমানো সম্ভব হবে।
১৮০। সাংবিধানিক পদ বলতে কী বুঝায়? চারটি সাংবিধানিক পদের নাম লিখুন।
উত্তর : সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের যে পদগুলোর নিয়োগ পদ্ধতি, পদের মেয়াদ, পদত্যাগ ও অপসারণ, পদমর্যাদা ও গুরুত্ব এবং কার্যাবলি সংবিধানে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে তাকে সাংবিধানিক পদ বলে। নিচে ৪টি সাংবিধানিক পদের নাম উল্লেখ করা হলো : ১. রাষ্ট্রপতি ২. প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী ৩. প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিগণ ৪. স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার।
১৮১। মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের পার্থক্যগুলো লিখুন।
উত্তর : নাগরিকের মৌলিক অধিকার সংবিধানে উল্লেখ থাকে যা সরকার কর্তৃক অলঙ্ঘনীয়। পক্ষান্তরে মানবাধিকার হলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ব্যক্তির অধিকার, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের পার্থক্যগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. মৌলিক অধিকারের উৎস সংবিধান বা শাসনতন্ত্র অন্যদিকে সমগ্র বিশ্বের সাধারণ মানুষের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকার ঘোষিত ও স্বীকৃত।
১. মৌলিক অধিকারের উৎস সংবিধান বা শাসনতন্ত্র অন্যদিকে সমগ্র বিশ্বের সাধারণ মানুষের জন্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকার ঘোষিত ও স্বীকৃত।
২. মৌলিক অধিকারের সীমা রাষ্ট্রীয় পরিমণ্ডলে আবদ্ধ। কিন্তু মানবাধিকার বৈশ্বিক।
৩. মৌলিক অধিকারের জন্য প্রয়োজনে মানুষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। অন্যদিকে মানবাধিকার আন্তর্জাতিক অধিকার। ৪. মৌলিক অধিকার সহজেই বাস্তবায়ন করা যায়। অন্যদিকে মানবাধিকার কেবল একটি দেশের উপর নির্ভর করে না। তাই এটি বাস্তবায়ন কিছুটা কঠিন।
১৮২। ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি কবে কোথায় ঘোষণা করা হয়? দুটি দফা লিখুন।
উত্তর : ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। নিচে ছয়দফা দাবির দুটি দফা উল্লেখ করা হলো :
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি : পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্র, যার সরকার হবে। পার্লামেন্টারি ধরনের এবং আইনসভাগুলো হলো সার্বভৌম। প্রতিনিধিগণ জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্রীয় সরকারের বা ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা কেবল দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যথা : দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে।
১৮৩। বহুমুখীকরণ কী? বাংলাদেশের প্রধান ছয়টি রফতানি পণ্যের নাম লিখুন।
উত্তর : কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট একটি পণ্য উৎপাদনের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে বলে পণ্য বহুমুখীকরণ। পণ্য বহুমুখীকরণ কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে। পণ্যের বহুমুখীকরণে ব্যবসায়ের ঝুঁকি হ্রাস ও সুযোগ বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত ছয়টি প্রধান পণ্য নিচে উল্লেখ করা হলো : ক. তৈরি পোশাক; খ. নীটওয়্যার; গ. চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; ঘ, পাট ও পাটজাত পণ্য; ঙ. মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য; চ. কৃষিজাত পণ্য ।
১৮৪। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (Delta Plan) বলতে কি বুঝায়? ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যগুলো লিখুন।
উত্তর : ব-দ্বীপ পরিকল্পনা একটি দীর্ঘমেয়াদি ও সামষ্টিক পরিকল্পনা, দেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত বিবর্তনাধীন সমস্যাগুলো বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে সহায়তা করার জন্য কৌশলগত যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বলে। এ পরিকল্পনায় বিভিন্ন হটস্পট নির্ধারণ করে তার ঝুঁকি মোকাবেলায় নির্দিষ্ট রূপ রেখার বাস্তবায়ন করা হয়। ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
১. ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ।
২. ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা।
৩. ২০৪১ সালে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা লাভ।
১৮৫। মহান মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কতজন? কতজন বিদেশি নাগরিক মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বসূচক খেতাব পান? তার/তাঁদের নাম লিখুন।
উত্তর : মহান মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৬ জন। যার মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জন, বীরউত্তম ৬৮ জন, বীরবিক্রম ১৭৫ জন এবং বীরপ্রতীক ৪২৬ জন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ একজন বিদেশি নাগরিককে বীরত্বসূচক খেতাব বীরপ্রতীক প্রদান করা হয়। একমাত্র বিদেশি বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত হলেন নেদারল্যান্ডসের বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড। যিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ১ এবং ২-এ যুদ্ধ করেছেন।
৩. মৌলিক অধিকারের জন্য প্রয়োজনে মানুষ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে। অন্যদিকে মানবাধিকার আন্তর্জাতিক অধিকার। ৪. মৌলিক অধিকার সহজেই বাস্তবায়ন করা যায়। অন্যদিকে মানবাধিকার কেবল একটি দেশের উপর নির্ভর করে না। তাই এটি বাস্তবায়ন কিছুটা কঠিন।
১৮২। ঐতিহাসিক ৬ দফা দাবি কবে কোথায় ঘোষণা করা হয়? দুটি দফা লিখুন।
উত্তর : ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ৬ দফা দাবি পেশ করেন। নিচে ছয়দফা দাবির দুটি দফা উল্লেখ করা হলো :
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি : পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশনভিত্তিক রাষ্ট্র, যার সরকার হবে। পার্লামেন্টারি ধরনের এবং আইনসভাগুলো হলো সার্বভৌম। প্রতিনিধিগণ জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্রীয় সরকারের বা ফেডারেল সরকারের ক্ষমতা কেবল দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে। যথা : দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে পূর্ণ ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে।
১৮৩। বহুমুখীকরণ কী? বাংলাদেশের প্রধান ছয়টি রফতানি পণ্যের নাম লিখুন।
উত্তর : কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট একটি পণ্য উৎপাদনের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন চাহিদা বিবেচনা করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে বলে পণ্য বহুমুখীকরণ। পণ্য বহুমুখীকরণ কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে। পণ্যের বহুমুখীকরণে ব্যবসায়ের ঝুঁকি হ্রাস ও সুযোগ বৃদ্ধি করে।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিকৃত ছয়টি প্রধান পণ্য নিচে উল্লেখ করা হলো : ক. তৈরি পোশাক; খ. নীটওয়্যার; গ. চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য; ঘ, পাট ও পাটজাত পণ্য; ঙ. মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য; চ. কৃষিজাত পণ্য ।
১৮৪। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (Delta Plan) বলতে কি বুঝায়? ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যগুলো লিখুন।
উত্তর : ব-দ্বীপ পরিকল্পনা একটি দীর্ঘমেয়াদি ও সামষ্টিক পরিকল্পনা, দেশের পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত বিবর্তনাধীন সমস্যাগুলো বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে সহায়তা করার জন্য কৌশলগত যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় তাকে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বলে। এ পরিকল্পনায় বিভিন্ন হটস্পট নির্ধারণ করে তার ঝুঁকি মোকাবেলায় নির্দিষ্ট রূপ রেখার বাস্তবায়ন করা হয়। ব-দ্বীপ পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্যগুলো হলো :
১. ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ।
২. ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ ও মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা।
৩. ২০৪১ সালে একটি সমৃদ্ধ দেশের মর্যাদা লাভ।
১৮৫। মহান মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কতজন? কতজন বিদেশি নাগরিক মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বসূচক খেতাব পান? তার/তাঁদের নাম লিখুন।
উত্তর : মহান মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ৬৭৬ জন। যার মধ্যে বীরশ্রেষ্ঠ ৭ জন, বীরউত্তম ৬৮ জন, বীরবিক্রম ১৭৫ জন এবং বীরপ্রতীক ৪২৬ জন।
মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ একজন বিদেশি নাগরিককে বীরত্বসূচক খেতাব বীরপ্রতীক প্রদান করা হয়। একমাত্র বিদেশি বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত হলেন নেদারল্যান্ডসের বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ডব্লিউ এ এস ওডারল্যান্ড। যিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ১ এবং ২-এ যুদ্ধ করেছেন।
১৮৬। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর অনুচ্ছেদ উল্লেখপূর্বক রাষ্ট্রপরিচালনার মূলনীতিসমূহ লিখুন? আইন ও অধ্যাদেশের মধ্যে পার্থক্য কী লিখুন ।
উত্তর : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগ : রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি-এর অনুচ্ছেদ ৮(১) অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি চারটি। যথা- ১. জাতীয়তাবাদ (অনুচ্ছেদ-৯)। ২. সমাজতন্ত্র ও শোষণমুক্তি (অনুচ্ছেদ-১০)। ৩. গণতন্ত্র ও মানবাধিকার (অনুচ্ছেদ-১১) এবং ৪. ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা (অনুচ্ছেদ-১২)।
সংসদে বিল আকারে যে প্রস্তাব পাশ হয় তাকে আইন বলে। অন্যদিকে দেশে যখন কোনো জরুরি অবস্থা চলতে থাকে বা সংসদের কার্যক্রম চলমান না থাকে তখন কোনো আইন পাশ করার প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রপতি একক ক্ষমতাবলে। আইন জারী করে তাকে অধ্যাদেশ বলে। আইন ও অধ্যাদেশের মধ্যে পার্থক্য হলো
১. সংসদে বিল আকারে যে প্রস্তাব পাশ হয় তাই হলো। আইন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি নিজে যে আইন জারী করেন তাকে অধ্যাদেশ বলে । ২. আইন প্রণয়ন শর্তহীন, অন্যদিকে অধ্যাদেশ প্রণয়ন শর্তসাপেক্ষ।
৩. আইন প্রণয়নের ক্ষমতা আইন বিভাগের হাতে ন্যস্ত,
অন্যদিকে অধ্যাদেশ প্রণয়নের ক্ষমতা নির্বাহী/শাসন বিভাগের হাতে ন্যস্ত।
১৮৭। ঐতিহাসিক ছয় দফার যেকোনো তিনটি দফা লিখুন।
উত্তর : ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধীদলগুলোর সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফার দাবীগুলো উত্থাপন করেন। নিচে ছয় দফা দাবীর ৩টি দফা উল্লেখ করা হলো
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি : পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশন ভিত্তিক রাষ্ট্র এবং এর সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের, যেখানে জনগণের সরাসরি ভোটে সব পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেবলমাত্র দুটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে যথা : দেশ রক্ষা এবং বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গরাষ্ট্রের ক্ষমতা থাকবে।
৩. মুদ্রা বা অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক অথচ অবাধ বিনিয়োগযোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে, অথবা এক প্রকারের মুদ্রা চালু থাকবে কিন্তু ফলপ্রসু ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থ পাচারের পথ বন্ধ রাখতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক রিজার্ভ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
১৮৮। 'আমার গ্রাম আমার শহর' এ বিষয়ের উপর সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : 'আমার গ্রাম আমার শহর' একটি প্রকল্প যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। 'আমার গ্রাম আমার শহর' প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মূলত গ্রাম ও শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার পার্থক্যগুলো কমিয়ে আনা হবে। এ প্রকল্পের মধ্যদিয়ে প্রতিটি গ্রামে উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্মত শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আধুনিক শহরের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এতে একদিকে যেমন জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে অন্যদিকে মানুষের গ্রাম থেকে শহরে আশার প্রবণতা কমবে। এসব কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে পল্লি অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। তাই 'আমার গ্রাম, আমার শহর' কার্যক্রম একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ।
১৮৯। স্থানীয় সরকার বলতে কী বোঝায়? কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে এর পার্থক্য কী?
উত্তর : স্থানীয় সরকার হলো জনপ্রশাসনের বা সরকারের এমন একটি রূপ, যা একটি প্রদত্ত রাষ্ট্রের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রশাসনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করে। অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন এলাকাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকাতে কর আরোপসহ সীমিত ক্ষমতা দান করে যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। তাকে স্থানীয় সরকার বলে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটি ফেডারেল সরকারের রূপ যা যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে। নিচে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে স্থানীয় সরকারের পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো
১. কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে উঁচু স্তরের আর স্থানীয় সরকার হলো সবচেয়ে নিম্ন স্তরের।
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি : পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশন ভিত্তিক রাষ্ট্র এবং এর সরকার হবে পার্লামেন্টারী ধরনের, যেখানে জনগণের সরাসরি ভোটে সব পর্যায়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে।
২. কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা : কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা কেবলমাত্র দুটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে যথা : দেশ রক্ষা এবং বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গরাষ্ট্রের ক্ষমতা থাকবে।
৩. মুদ্রা বা অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা সমগ্র দেশের জন্য দুটি পৃথক অথচ অবাধ বিনিয়োগযোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে, অথবা এক প্রকারের মুদ্রা চালু থাকবে কিন্তু ফলপ্রসু ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থ পাচারের পথ বন্ধ রাখতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য দুটি পৃথক রিজার্ভ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে।
১৮৮। 'আমার গ্রাম আমার শহর' এ বিষয়ের উপর সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : 'আমার গ্রাম আমার শহর' একটি প্রকল্প যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি। নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। 'আমার গ্রাম আমার শহর' প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে মূলত গ্রাম ও শহরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধার পার্থক্যগুলো কমিয়ে আনা হবে। এ প্রকল্পের মধ্যদিয়ে প্রতিটি গ্রামে উন্নত রাস্তাঘাট, যোগাযোগ ব্যবস্থা, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্মত শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে আধুনিক শহরের সব সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এতে একদিকে যেমন জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে অন্যদিকে মানুষের গ্রাম থেকে শহরে আশার প্রবণতা কমবে। এসব কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে পল্লি অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। তাই 'আমার গ্রাম, আমার শহর' কার্যক্রম একটি ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী উদ্যোগ।
১৮৯। স্থানীয় সরকার বলতে কী বোঝায়? কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে এর পার্থক্য কী?
উত্তর : স্থানীয় সরকার হলো জনপ্রশাসনের বা সরকারের এমন একটি রূপ, যা একটি প্রদত্ত রাষ্ট্রের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রশাসনের সর্বনিম্ন পর্যায়ে অবস্থান করে। অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন এলাকাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এলাকাতে কর আরোপসহ সীমিত ক্ষমতা দান করে যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। তাকে স্থানীয় সরকার বলে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার এমন একটি ফেডারেল সরকারের রূপ যা যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখে। নিচে কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে স্থানীয় সরকারের পার্থক্যগুলো তুলে ধরা হলো
১. কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সবচেয়ে উঁচু স্তরের আর স্থানীয় সরকার হলো সবচেয়ে নিম্ন স্তরের।
২. কেন্দ্রীয় সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করে আর স্থানীয় সরকার সেসব নীতিমালা অনুসরণ করে এবং তা বাস্তবায়ন করে।
৩. কেন্দ্রীয় সরকার যেকোনো বিষয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়ক সরঞ্জাম হিসেবে কাজ করে।
৪. কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপ্তি অনেক বড়। অন্যদিকে স্থানীয় সরকারের ব্যাপ্তি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ।
১৮৯। খাদ্য নিরাপত্তা বলতে কী বোঝায়? নিরাপদ খাদ্য বলতে কী বোঝায় লিখুন ।
উত্তর : খাদ্য নিরাপত্তা বলতে খাদ্যের লভ্যতা এবং মানুষের খাদ্য গ্রহণের অধিকারকে বোঝায়। খাদ্য নিরাপত্তা হলো খাদ্যের সেই স্তরের নিরাপত্তা যখন কোনো পরিবারের সদস্যদের অনাহারে বা ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করার আশঙ্কা না থাকে। ১৯৮৬ সালে বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য ও ক্ষুধা সংক্রান্ত এক রিপোর্টে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে উল্লেখ করে বলেন- 'খাদ্য নিরাপত্তা বলতে সকল মানুষ সমগ্র জীবনব্যাপী কার্যকর ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তাকে বোঝায়।
নিরাপদ খাদ্য বলতে খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌছানো পর্যন্ত কোনোভাবেই কলুষিত হয়না এবং স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় না এমন খাদ্যকে বোঝায়। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকা খাদ্যকেই বলে নিরাপদ খাদ্য।
১৯০। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে কী ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন, যার ব্যাপ্তি দীর্ঘ সময় ধরে হতে পারে তাকে জলবায়ু
পরিবর্তন বলে। জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের একটি ভয়াবহ | ৮ সমস্যা। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে যেসব দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। নিচে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবগুলো উল্লেখ করা হলো
১. জলবায়ু পরিবর্তনে বৃষ্টিপাত ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে। ২. পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে মাটিতে ও পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাবে। ৩. তাপমাত্রার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে।
৪. পানির অভাবে বিস্তীর্ণ এলাকা বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হবে।
৫. দেশে নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ, যেমন বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বেড়ে যাবে। ৬. খাবার পানির অভাব দেখা দিবে কেননা পানির স্তর অনেক নিচে চলে যাবে।
৭. সমুদ্রের পানির স্তরের উচ্চতা বেড়ে যাবে যার ফলে সমুদ্র পাড়ের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাবে। ৮. কৃষিতে উৎপাদন কমে আসবে এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যের সংকট দেখা দেবে।
১৯১। বাঙালির মুক্তি সনদ কী? কে, কখন, কোথায় এই মুক্তি সনদ ঘোষণা করেন?
উত্তর : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে বাঙালি ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন। দফাকে যুক্তরাজ্যের প্রথম সাংবিধানিক দলিল ১৫ জুন ১২১৫ স্বাক্ষরিত ম্যাগনাকার্টার সাথে তুলনা করা হয়। ছয় দফার প্রথম দফায় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানকে একটি সত্যিকার ফেডারেশন রূপে গড়ে তোলা এবং সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি করেন । ছয় দফার বাকি দফাগুলো হলো— কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রা বা অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা, রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা, বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক ক্ষমতা ও আবা সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছয় দফা আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয় দফা রচিত হয়।
১৯২। এসডিজি (SDG) কী? এর অভিলক্ষ্য (Goals) SDG বাস্তবায়নের মেয়াদকাল কত?
৩. কেন্দ্রীয় সরকার যেকোনো বিষয়ে প্রধান ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে স্থানীয় সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়ক সরঞ্জাম হিসেবে কাজ করে।
৪. কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপ্তি অনেক বড়। অন্যদিকে স্থানীয় সরকারের ব্যাপ্তি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সীমাবদ্ধ।
১৮৯। খাদ্য নিরাপত্তা বলতে কী বোঝায়? নিরাপদ খাদ্য বলতে কী বোঝায় লিখুন ।
উত্তর : খাদ্য নিরাপত্তা বলতে খাদ্যের লভ্যতা এবং মানুষের খাদ্য গ্রহণের অধিকারকে বোঝায়। খাদ্য নিরাপত্তা হলো খাদ্যের সেই স্তরের নিরাপত্তা যখন কোনো পরিবারের সদস্যদের অনাহারে বা ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিনাতিপাত করার আশঙ্কা না থাকে। ১৯৮৬ সালে বিশ্বব্যাংক দারিদ্র্য ও ক্ষুধা সংক্রান্ত এক রিপোর্টে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টিকে উল্লেখ করে বলেন- 'খাদ্য নিরাপত্তা বলতে সকল মানুষ সমগ্র জীবনব্যাপী কার্যকর ও স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য প্রাপ্তির নিশ্চয়তাকে বোঝায়।
নিরাপদ খাদ্য বলতে খাদ্য উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে শুরু করে ভোক্তার কাছে পৌছানো পর্যন্ত কোনোভাবেই কলুষিত হয়না এবং স্বাস্থ্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়ায় না এমন খাদ্যকে বোঝায়। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকা খাদ্যকেই বলে নিরাপদ খাদ্য।
১৯০। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে কী ধরনের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে সংক্ষেপে লিখুন।
উত্তর : কোনো জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদি ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন, যার ব্যাপ্তি দীর্ঘ সময় ধরে হতে পারে তাকে জলবায়ু
পরিবর্তন বলে। জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান বিশ্বের একটি ভয়াবহ | ৮ সমস্যা। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে যেসব দেশ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। নিচে বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবগুলো উল্লেখ করা হলো
১. জলবায়ু পরিবর্তনে বৃষ্টিপাত ব্যাপকভাবে হ্রাস পাবে। ২. পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে মাটিতে ও পানিতে লবণাক্ততার পরিমাণ বেড়ে যাবে। ৩. তাপমাত্রার পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে।
৪. পানির অভাবে বিস্তীর্ণ এলাকা বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হবে।
৫. দেশে নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ, যেমন বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি বেড়ে যাবে। ৬. খাবার পানির অভাব দেখা দিবে কেননা পানির স্তর অনেক নিচে চলে যাবে।
৭. সমুদ্রের পানির স্তরের উচ্চতা বেড়ে যাবে যার ফলে সমুদ্র পাড়ের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাবে। ৮. কৃষিতে উৎপাদন কমে আসবে এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যের সংকট দেখা দেবে।
১৯১। বাঙালির মুক্তি সনদ কী? কে, কখন, কোথায় এই মুক্তি সনদ ঘোষণা করেন?
উত্তর : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫-৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬ পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলসমূহের জাতীয় সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে বাঙালি ঐতিহাসিক ছয় দফা ঘোষণা করেন। দফাকে যুক্তরাজ্যের প্রথম সাংবিধানিক দলিল ১৫ জুন ১২১৫ স্বাক্ষরিত ম্যাগনাকার্টার সাথে তুলনা করা হয়। ছয় দফার প্রথম দফায় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানকে একটি সত্যিকার ফেডারেশন রূপে গড়ে তোলা এবং সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি করেন । ছয় দফার বাকি দফাগুলো হলো— কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা, মুদ্রা বা অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা, রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা, বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক ক্ষমতা ও আবা সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছয় দফা আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে ছয় দফা রচিত হয়।
১৯২। এসডিজি (SDG) কী? এর অভিলক্ষ্য (Goals) SDG বাস্তবায়নের মেয়াদকাল কত?
উত্তর : SDG এর পূর্ণরূপ Sustainable Development Goals, যার বাংলা অর্থ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য। এই সহদ উন্নয়ন লক্ষ্য বা MDGর মতো জাতিসংঘ কর্তৃক গৃ আরেকটি উন্নয়ন পরিক্রমা, যা ২০১৫ সালে এমডিজি স্থলে প্রতিস্থাপিত হয়। এসডিজি'র অভিলক্ষ্য ১৭টি। ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে এসডিজি'র বাস্তবায়ন শুরু হয়ে, তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০৩০ সাল নাগাদ।
১৯৩। আমাদের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি কে? জাতীয় সংসদ ভবনের মোট জমির পরিমাণ কত? সংসদের মেয়াদ কত বছর?
উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি এজনী বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক প্রফেসর লুই আই কান। তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯০১ এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৭ মার্চ ১৯৭৪। ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ৯ তলা বিশিষ্ট সংসদ ভবনটি ২১৫ একর জমির ওপর নির্মিত। ২৮ জানুয়ারি ১৯৮২ জাতীয় সংসদ ভবন উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশের এক কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদের মেয়াদকাল ৫ বছর।
১৯৪। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত 'ধীরে বহে মেঘন’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা কে? বিখ্যাত 'তিনকন্যা' শিল্পকর্মের শিল্পী কে?
উত্তর : ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত 'ধীরে বহে মেঘনা' চলচ্চিত্রের নির্মাতা আলমগীর কবির। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে'-এর নির্মাতাও আলমগীর কবির। বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিনকন্যা’-এর শিল্পী হলেন কামরুল হাসান।
১৯৫। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (Delta Plan) কী? এর বৈশিষ্ট্যগুলো লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সামষ্টিক পরিকল্পনা যা দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত বিবর্তনাধীন। সমস্যাগুলো বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে সহায়ত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের ক ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
উত্তম চর্চা অনুসরণে এই পরিকল্পনা নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় প্রণীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ব দ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০ আখ্যায়িত করেছেন। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা সম্পর্কিত দলিলাদি বিশ্লেষণ করলে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে । সেগুলো হলো— ১. ব-দ্বীপ পরিকল্পনা দেশের সমকালীন পঞ্চবার্ষিক
পরিকল্পনাসমূহতে ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের বিশেষায়িত প্রয়োজন ও সম্ভাবনাকে শানিত করেছে। ২. ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় চলমান পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্তির বিশেষ প্রকল্প বা কার্যক্রম অর্থায়িত অববাহিত হবে।
ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক ক্ষেত্রে সঞ্চয় বাড়িয়ে নিপুণতার বা অধিকতর উৎপাদনশীল ও কার্যক্রম লক্ষ্যানুগ হবে।
১৯৬। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং মৌলিক অধিকারের দুটি পার্থক্য লিখুন।
উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলতে আমরা সেসব নীতিকে বুঝি, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সামাজিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক এবং বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে সহায়তা করে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিকে আবার কর্মসূচিগত অধিকারও বলা হয়। কারণ এগুলো সরকারের বিবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মন্ত্রণা যোগায়। মৌলিক অধিকার বলতে আমরা সেসব অধিকারকে বুঝি যা কোনো দেশের সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং যা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
১৯৭। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং মৌলিক অধিকারের দুটি পার্থক্য হলো :
১. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সাংবিধানিক নিশ্চয়তা নেই, কিন্তু মৌলিক অধিকারের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা রয়েছে। ২. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার পারদর্শিতা দেখাতে না পারলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না, কিন্তু মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার পারদর্শিতা দেখাতে না পারলে মামলা করা যাবে।
১৯৩। আমাদের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি কে? জাতীয় সংসদ ভবনের মোট জমির পরিমাণ কত? সংসদের মেয়াদ কত বছর?
উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনের স্থপতি এজনী বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক প্রফেসর লুই আই কান। তিনি জন্ম গ্রহণ করেন ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯০১ এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৭ মার্চ ১৯৭৪। ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত ৯ তলা বিশিষ্ট সংসদ ভবনটি ২১৫ একর জমির ওপর নির্মিত। ২৮ জানুয়ারি ১৯৮২ জাতীয় সংসদ ভবন উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশের এক কক্ষ বিশিষ্ট জাতীয় সংসদের মেয়াদকাল ৫ বছর।
১৯৪। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে নির্মিত 'ধীরে বহে মেঘন’ চলচ্চিত্রের নির্মাতা কে? বিখ্যাত 'তিনকন্যা' শিল্পকর্মের শিল্পী কে?
উত্তর : ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় নির্মিত 'ধীরে বহে মেঘনা' চলচ্চিত্রের নির্মাতা আলমগীর কবির। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে'-এর নির্মাতাও আলমগীর কবির। বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিনকন্যা’-এর শিল্পী হলেন কামরুল হাসান।
১৯৫। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা (Delta Plan) কী? এর বৈশিষ্ট্যগুলো লিখুন।
উত্তর : বাংলাদেশের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সামষ্টিক পরিকল্পনা যা দেশের পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত বিবর্তনাধীন। সমস্যাগুলো বিবেচনা করে দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নকে সহায়ত করার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসের ক ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
উত্তম চর্চা অনুসরণে এই পরিকল্পনা নেদারল্যান্ডস সরকারের সহায়তায় প্রণীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১০০ বছরে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ব দ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০ আখ্যায়িত করেছেন। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা সম্পর্কিত দলিলাদি বিশ্লেষণ করলে বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য ফুটে ওঠে । সেগুলো হলো— ১. ব-দ্বীপ পরিকল্পনা দেশের সমকালীন পঞ্চবার্ষিক
পরিকল্পনাসমূহতে ব-দ্বীপ হিসেবে বাংলাদেশের বিশেষায়িত প্রয়োজন ও সম্ভাবনাকে শানিত করেছে। ২. ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আওতায় চলমান পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্তির বিশেষ প্রকল্প বা কার্যক্রম অর্থায়িত অববাহিত হবে।
ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক ক্ষেত্রে সঞ্চয় বাড়িয়ে নিপুণতার বা অধিকতর উৎপাদনশীল ও কার্যক্রম লক্ষ্যানুগ হবে।
১৯৬। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং মৌলিক অধিকারের দুটি পার্থক্য লিখুন।
উত্তর : রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বলতে আমরা সেসব নীতিকে বুঝি, যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সামাজিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক এবং বৈদেশিক নীতি নির্ধারণে সহায়তা করে। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিকে আবার কর্মসূচিগত অধিকারও বলা হয়। কারণ এগুলো সরকারের বিবিধ কর্মকাণ্ড পরিচালনায় মন্ত্রণা যোগায়। মৌলিক অধিকার বলতে আমরা সেসব অধিকারকে বুঝি যা কোনো দেশের সংবিধানে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং যা বাস্তবায়নের ব্যাপারে সাংবিধানিক নিশ্চয়তা দেয়া হয়।
১৯৭। রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি এবং মৌলিক অধিকারের দুটি পার্থক্য হলো :
১. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতির সাংবিধানিক নিশ্চয়তা নেই, কিন্তু মৌলিক অধিকারের সাংবিধানিক নিশ্চয়তা রয়েছে। ২. রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার পারদর্শিতা দেখাতে না পারলে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না, কিন্তু মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকার পারদর্শিতা দেখাতে না পারলে মামলা করা যাবে।
No comments